শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৭ ভাদ্র ১৪৩২
শিরোনাম

নেপালের নিয়ন্ত্রণ নিলো সেনাবাহিনী


  আরবান ডেস্ক

প্রকাশ :  ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:৪৩ দুপুর

নেপালে ‘জেন-জি’ বিক্ষোভের মধ্য দিয়ে কেপি শর্মা অলি সরকারের পতন ঘটার পর নতুন একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠন নিয়ে আলোচনা চলছে। ওই বিক্ষোভের পর দেশটির কার্যভার সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তারা রাষ্ট্রপতির সুরক্ষাসহ নতুন সরকার গঠনের ব্যাপারে জোর দিয়েছে। দেশটির সংসদ কার্যকর রয়েছে। ফলে সাংবিধানিক নিয়মের মধ্য দিয়েই নতুন সরকার গঠনের প্রক্রিয়া চলছে। সূত্র : বিবিসি, রয়টার্স, দ্য উইক।

প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি পদত্যাগ করার পর তিনি কোথায় রয়েছেন, তা এখনো জানা যায়নি। তিনি দেশ ত্যাগ করেছেন, নাকি সেনাবাহিনীর নিরাপত্তা হেফাজতে আছেন- সে ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এদিকে প্রেসিডেন্ট রামচন্দ্র পাওদেলের কার্যালয় থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল বলা হয়, অলির পদত্যাগ গ্রহণ করা হয়েছে। তবে পরবর্তী ব্যবস্থা ঠিক না হওয়া পর্যন্ত তাঁকে দায়িত্বে বহাল থাকতে অনুরোধ করা হয়েছে। এদিকে সেনাবাহিনীর তরফ থেকে প্রচারিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টা থেকে সেনাবাহিনী দেশের নিরাপত্তা কার্যক্রমের দায়িত্ব নিয়েছে। নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মাঠে নেমেছে সেনাবাহিনী। এক ভিডিও বার্তায় নেপালের সেনাপ্রধান জেনারেল অশোক রাজ সিগদেল চলমান সংকটের সমাধান খুঁজে বের করতে বিক্ষোভকারীদের আলোচনার টেবিলে বসার আহ্বান জানিয়েছেন। একই সঙ্গে প্রেসিডেন্ট রামচন্দ্র পাওদেলও বলেছেন, চলমান সংকটের একটি শান্তিপূর্ণ সমাধান খুঁজে পেতে সহযোগিতার জন্য তরুণ বিক্ষোভকারীদের আলোচনায় বসার আহ্বান জানাচ্ছি। তিনি বলেন, ‘একটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায়, নাগরিকদের উত্থাপিত দাবিগুলো আলোচনা ও সংলাপের মাধ্যমে সমাধান করা যায়, যেখানে জেন-জি প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণও থাকতে পারে।’

নেপালের সেনাপ্রধান বলেছেন, জাতীয় ঐক্য ও ভৌগোলিক অখণ্ডতা রক্ষায় সেনাবাহিনী প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বিক্ষোভে ব্যাপক প্রাণহানি ও সম্পদের ক্ষতি হয়েছে। এ অবস্থায় বিক্ষোভকারীদের সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানানো হচ্ছে। পাশাপাশি সেনাবাহিনী হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, সহিংসতা ও ভাঙচুরে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এরই মধ্যে লুটপাট ও হামলার অভিযোগে ২৭ জনকে গ্রেপ্তার এবং ৩১টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। কাঠমান্ডুজুড়ে একাধিক সেনা চেকপয়েন্ট স্থাপন করা হয়েছে। যানবাহনের পরিচয়পত্র পরীক্ষা করা হচ্ছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, লাউডস্পিকারে সেনারা ঘোষণা দিচ্ছে, ‘অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণ নয়, ঘরে থাকুন।’ নেপাল সেনাবাহিনীর মুখপাত্র রাজারাম বসনেত জানিয়েছেন, তারা মূলত সেসব উপাদানকে নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন, যারা সুযোগ নিয়ে লুটপাট ও আগুন লাগাচ্ছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত