মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫, ২৬ ফাল্গুন ১৪৩১
শিরোনাম

হালুয়াঘাটে সন্ত্রাসী হামলার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন


  মো: আব্দুল খালেক

প্রকাশ :  ০৯ মার্চ ২০২৫, ০৮:৩৯ রাত

ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটের আমতৈল ইউনিয়নের নাগলা ফকির বাড়ির হারুনুর রশিদের পুত্র ইসমাঈল হোসেন রবিন ফকির (২৫) এর উপর স্বৈরাচার আওয়ামীলীগ সরকারের দোসর ও ক্যাডার বাহিনীর হাতে গত ৫ মার্চ বুধবার ইফতারির সময় প্রকাশ্যে দেশীয় অস্ত্র রামদা, চা পাতি, কুড়াল, দা, শাবল দিয়ে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে নাগলা জামে মসজিদে কুপিয়ে যখম করা হয়।

এ ঘটনায় আসামীদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবিতে ১১ নং আমতৈল ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগনের ব্যানারে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রবিবার (৯ মার্চ) বিকেলে নাগলা বাজার (হালুয়াঘাট-ময়মনসিংহ) আঞ্চলিক সড়কের পাশে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। 

মানববন্ধনে বক্তব্যে লিজা আক্তার বলেন, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে রুস্তম ফকির ও তার ছেলে রাছেল ফকির, সায়েম, আকরাম, দিপু, জুয়েল, আশিক, মোত্তাকিন, আকবর আলী, কামাল ও রিফাত প্রকাশ্যে রবিনের উপর হামলা করে। 

রবিন নিজেকে বাঁচাতে মসজিদে ঢুকে পরলেও হামলাকারীরা তাকে সেখানেও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করে। এখন সে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। আমরা এ ঘটনায় তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।

নজরুল ইসলাম বলেন, হামলায় প্রধান পরিকল্পনাকারী ও গ্রেফতারকৃত প্রধান আসামী রাছেল ফকির ঢাকা সেগুনবাগিচায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড অফিসে এম এল এস (পিওন) পদে চাকুরী করে। সে ডিউটি ফাঁকি দিয়ে মাসের বেশীরভাগ সময় বাড়িতে অবস্থান করে। গত বুধবার সে বাড়িতে অবস্থান করে রবিনকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলায় নেতৃত্ব দেয়। পরে পালিয়ে যাওয়ার সময় তাকে ফুলপুর থেকে থানা পুলিশ গ্রেফতার করে। এই রাছেল এলাকায় গরুর খামার দিয়েছে। পাশাপাশি নামে-বেনামে বিভিন্ন জায়গায় জমি ক্রয় করেছে। তার বিপক্ষে কেউ গেলেই সে তার উপর নিজস্ব গুন্ডাবাহিনী দিয়ে হামলা করে। এর আগেও তার বিরুদ্ধে কথা বলায় রবিনের উপর আরো দুইবার হামলা করে রাসেল। 

স্থানীয় নাগলা বাজার জামে মসজিদের উপদেষ্টা আলহাজ্ব হাফিজ উদ্দিন ফকির বলেন, রুস্তম আলী আওয়ামীলীগের সরকারের আমলে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে মসজিদের সভাপতি হন। মসজিদের অর্থের কোন হিসেব না দিয়ে প্রায় ৭ থেকে ৮ লক্ষ টাকা রুস্তম আলী আত্মসাৎ করেন। এ বিষয়ে প্রতিবাদ করে রবিন।

মসজিদ কমিটি নিয়ে রুস্তম আলীর সাথে রবিনের বিরোধ সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যেই রুস্তম আলী ও তার ছেলেসহ পরিবারের লোকজন এ নৃশংস হামলা চালায়। আমি ফেরাতে গেলে আমার উপরও হামলা করে। ভাগ্যক্রমে আমি বেঁচে যাই।

এ বিষয়ে জানতে রুস্তম ফকিরের বাড়িতে গিয়ে কাউকে না পাওয়া গেলেও রাছেল ফকিরের স্ত্রী মৌ বলেন, আমার স্বামীর সাথে রবিনের বিরোধ ছিল। রাছেল ফকির সরকারি চাকুরী করে ছুটি নিয়ে বুধবার বাড়িতে এসেছিল কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেদিন সে ছুটি নিয়ে আসেনি। এ বিষয়ে তিনি আর কোন কথা বলতে রাজি হননি।

 

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত