‘প্ল্যাটফর্মটা থেকে যাওয়ার ডিমেরিটস এখনো ভোগ করছি’

আরবান ডেস্ক
প্রকাশ : ২৯ জুলাই ২০২৫, ১২:৪৭ দুপুর

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক মুখপাত্র উমামা ফাতেমা গতকাল এক দীর্ঘ ফেসবুক লাইভে সংগঠনটির বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ এনেছেন। দৈনিক পত্রিকাসমূহ, অনলাইন পোর্টাল, এমনকি টেলিভিশনের আলোচনার পুরোভাগে কাল থেকে জায়গা করে নেন এই তিনি। স্যোশাল মিডিয়াতেও বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষেরা এ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
ছেড়ে আসা সংগঠনের নেতা-কর্মীদের কর্মকাণ্ডে চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের চেতনা ম্লান হয়েছে বলেই মনে করেন তিনি। সেকারণে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নামক প্ল্যাটফর্মটি থেকে যাওয়ার কারণে অনেকগুলো ডিমেরিটস এখনো ভোগ করতে হচ্ছে মন্তব্য উমামার।
গতকাল রবিবার রাতে ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্ট থেকে লাইভে এসে দুই ঘণ্টা ২৪ মিনিট কথা বলেন উমামা। এসময় তাকে কাঁদতেও দেখা যায়।
লাইভে উমামা বলেছেন, ‘সমন্বয়ক পরিচয়টিকে নেতিবাচক কাজে ব্যবহার করাটা যে অভ্যুত্থানের পর পরই শুরু হয়েছিল। ৫ আগস্টের পরদিন সকালবেলা থেকেই দেখি, সমন্বয়ক পরিচয়ে নাকি একেকজন একেক জায়গায় গিয়ে নাকি দখল করছে! আমি এক রকম অবাক হয়ে যাই যে গতকাল পর্যন্ত তো সমন্বয়ক পরিচয়টা দিতেই চাইছিল না আর আজকে থেকে শুনছি সবাই সমন্বয়ক এই পরিচয়ে চাঁদাবাজি-দখল চলছে৷...আমার মনে হচ্ছিল, এখন কি রক্ষীবাহিনীর মতো সমন্বয়কবাহিনী তৈরি হচ্ছে নাকি! সে সময় আমার মনে হয়েছিল, এখন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন প্ল্যাটফর্মটার আর দরকারটা কী, এখন তো সবাইকে অ্যাকোমোডেট করা নিয়ে ভাবা উচিত৷ আমার চিন্তা ছিল এই প্ল্যাটফর্মটাকে আরও ব্রড ও ডিসেন্ট্রালাইজ করে ফেলা উচিত৷ আমি মনে করি না, এটা ভুল চিন্তা ছিল৷ এই প্ল্যাটফর্মটা ওই সময় থেকে যাওয়ার অনেকগুলো ডিমেরিটস আমরা এখনো ভোগ করছি৷ কিন্তু ওই সময় এ কথাটা বলে আমি অনেক মানুষকে শত্রু বানিয়ে ফেলেছি৷’
‘জুলাই একটা অনেক বড় ধরনের অভিজ্ঞতা ছিল৷ কিন্তু আমি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র হওয়ার পর প্রথম আবিষ্কার করেছি যে এগুলো দিয়ে লোকজন নানা কিছু করছে৷ আমার কখনো মাথায়ই আসেনি যে এগুলো দিয়ে টাকা-পয়সা ইনকাম করা যায়৷ তাহলে হোয়াই ইন দ্য আর্থ এটাকে আমি একটা মানি মেকিং মেশিনে পরিণত করতে যাব? কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে সেটা হয়েছে৷ খুবই কমন, খুবই রেগুলার বেসিসেই হয়েছে’-বলেন সংগঠনের সাবেক মুখপাত্র।