বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫, ১৬ শ্রাবণ ১৪৩২
শিরোনাম

তিন নির্বাচন পর্যালোচনায় গঠিত কমিটিকে ‘কমিশনে’ রূপান্তর


  আরবান ডেস্ক

প্রকাশ :  ৩০ জুলাই ২০২৫, ১২:৫৮ দুপুর

২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে নানা অভিযোগ পর্যালোচনা ও সংশ্লিষ্ট সংস্থার ভূমিকা বিশ্লেষণে গঠিত পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটিকে কমিশনে রূপান্তর করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।

মঙ্গলবার মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আব্দুর রশীদ স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়।

নতুন প্রজ্ঞাপনের বিষয়ে প্রশ্ন করলে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের একান্ত সচিব জয়নাল আবদিন গণমাধ্যমকে বলেন, আগের কমিটিকে আরও শক্তিশালী আইনি ভিত্তি দেওয়ার জন্য কমিশনে রূপান্তর করা হয়েছে। বাকি বিষয়গুলো আগের মতই আছে।

কমিশনের সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, হাই কোর্ট বিভাগের সাবেক বিচারপতি শামীম হাসনাইনকে।

এছাড়া সরকারের সাবেক গ্রেড-১ কর্মকর্তা শামীম আল মামুন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কাজী মাহফুজুল হক (সুপণ), ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের আইনজীবী ব্যারিস্টার তাজরিয়ান আকরাম হোসাইন এবং নির্বাচন বিশ্লেষক মো. আব্দুল আলীম সদস্য হিসেবে এই কমিশনে থাকছেন।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত ২০১৪, ১৮ ও ২৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে দেশ-বিদেশে ব্যাপক সমালোচনা হয়েছে। এসব নির্বাচনে নানা কৌশলে জনগণের ভোটাধিকার খর্ব করে একটি বিশেষ দলকে নির্বাচিত করার অভিযোগ রয়েছে। এরই প্রেক্ষাপটে উত্থাপিত অভিযোগগুলো পর্যালোচনার মাধ্যমে ভবিষ্যতে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানে করণীয় নির্ধারণ করতে সরকার নিম্নরূপে একটি কমিশন গঠন করছে।

প্রজ্ঞাপনে কমিশনের কার্যপরিধি উল্লেখ করে বলা হয়, ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিষয়ে দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষক, নাগরিক সংগঠন, তদারকি প্রতিষ্ঠান এবং গণমাধ্যমে উত্থাপিত অভিযোগ বিশ্লেষণ; নির্বাচনে দুর্নীতি, অনিয়ম ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ এবং এর নিরপেক্ষতা ও গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে বিশেষজ্ঞ মতামত পর্যালোচনা; তৎকালীন ক্ষমতাসীন দলের ভূমিকা ও রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি সংক্রান্ত অভিযোগ বিশ্লেষণ; নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সকল সরকারি প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার ভূমিকা পর্যালোচনা; আইন প্রয়োগকারী ও গোয়েন্দা সংস্থার ভূমিকা বিশ্লেষণ; তৎকালীন নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে উত্থাপিত আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ যাচাই ও অনুসন্ধান; নির্বাচন অনিয়মের দায়-দায়িত্ব নির্ধারণ; ভবিষ্যতে সুষ্ঠু ও মানসম্পন্ন নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সুপারিশ প্রণয়ন করতে পারবে।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের পর আওয়ামী লীগের অধীনে অনুষ্ঠিত এই তিন নির্বাচনকে পর্যায়ক্রমে ‘বিনা ভোটের সংসদ’, ‘নীশিরাতের নির্বাচন’ ও ‘আমি আর ডামি নির্বাচন’ নামে সমালোচিত হতে দেখা গেছে। ২০১৪ সালের নির্বাচনে সিইসি ছিলেন কাজী রকিব উদ্দিন আহমদ, ২০১৮ সালে কে এম নূরুল হুদা এবং ২০২৪ সালের নির্বাচনে ছিলেন কাজী হাবিবুল আউয়াল।

এ বিষয়ে হাই কোর্টের এক রায়ে বলা হয়, তিন নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের আস্থা ধ্বংস করা হয়েছে। এমনকি গত জুনে বিএনপির করা এক মামলায় সংশ্লিষ্ট নির্বাচন কমিশনারদের পাশাপাশি শেখ হাসিনাকেও আসামি করা হয়। কে এম নূরুল হুদা ও কাজী হাবিবুল আউয়ালকে ইতোমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত