মিয়ানমারের বিরল খনিজে নজর যুক্তরাষ্ট্রের

আরবান ডেস্ক
প্রকাশ : ২৯ জুলাই ২০২৫, ১২:৫০ দুপুর
_original_1753771841.jpg)
মিয়ানমারের বিরল খনিজ সম্পদের দিকে চোখ পড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের। মিয়ানমারের বিরল খনিজে চীনের কর্তৃত্ব সরিয়ে নিতে এবার ট্রাম্প প্রশাসন হাত মেলাচ্ছে মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে। এমনকি দেশটির ওপর আরোপ করা নিষেধাজ্ঞাগুলোতে আসছে শিথিলতা, হচ্ছে প্রত্যাহারও। চারটি সূত্র বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছে।
সূত্রদের ভাষ্য অনুযায়ী, মিয়ানমারের বিরল খনিজে কর্তৃত্ব নিতে খনি অঞ্চলগুলোতে থাকা জাতিগত বিদ্রোহীদের সঙ্গে চুক্তি করতে হতে পারে ট্রাম্প প্রশাসনকে। তবে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি ওয়াশিংটন। এদিকে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এসব পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সরবরাহ সংক্রান্ত বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে।
মিয়ানমারের বিরল খনিজ হাতে পেতে যেসব প্রস্তাব ট্রাম্প প্রশাসনের সামনে এসেছে তার মধ্যে একটি হলো, মিয়ানমারের সামরিক জান্তার সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে দেশটির বিদ্রোহী গ্রুপ দ্য কাচিন ইন্ডিপেনডেন্স আর্মির (কেআইএ) সঙ্গে শান্তিচুক্তিতে পৌঁছানো। অন্য একটি প্রস্তাবে বলা হচ্ছে, জান্তাকে উপেক্ষা করে সরাসরি কাচিন বিদ্রোহীদের সঙ্গে কাজ করা উচিত যুক্তরাষ্ট্রের।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালে মিয়ানমারের গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাতের পর থেকে দেশটির সামরিক নেতাদের সঙ্গে সরাসরি আলোচনার পথ এড়িয়ে চলছে ওয়াশিংটন। এখন এসব প্রস্তাব ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সামনে তুলে ধরেছেন একজন মার্কিন ব্যবসায়িক লবিস্ট, অং সান সু চির সাবেক এক উপদেষ্টা, কাচিন বিদ্রোহীদের সঙ্গে পরোক্ষ সংলাপে যুক্ত কয়েকজন এবং কিছু বাইরের বিশেষজ্ঞ।
চীনের সঙ্গে কৌশলগত প্রতিযোগিতার প্রেক্ষাপটে বিরল খনিজের মজুতকে বেশ গুরুত্ব দিচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন। যুক্তরাষ্ট্র এই খনিজ আমদানির ওপর অধিক মাত্রায় নির্ভরশীল। অন্যদিকে আন্তর্জাতিক জ্বালানি সংস্থার (আইইএ) তথ্য বলছে, বিশ্বজুড়ে ৯০ শতাংশ বিরল খনিজ সরবরাহের ক্ষমতা চীনের হাতে।
বিরল খনিজ আলোচনা নিয়ে মিয়ানমারের জান্তা সরকারের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র যদি কোনোভাবে সম্পৃক্ত হয়, তাহলে তা হবে দেশটির নীতিতে এক বড় ধরনের মোড়। কারণ, মিয়ানমারের সামরিক নেতাদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে এবং রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর চালানো সহিংসতাকে ওয়াশিংটন ‘গণহত্যা’ ও ‘মানবতাবিরোধী অপরাধ’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে।