পূর্বধলায় এবারের এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলে বিপর্যয়! কমেছে জিপিএ-৫

মো: জায়েজুল ইসলাম
প্রকাশ : ১২ জুলাই ২০২৫, ০৩:৩৪ দুপুর

নেত্রকোণার পূর্বধলায় সারা দেশের মত এবারের এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলে বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। বিগত যে কোন বছরের তুলনায় কমেছে জিপিএ-৫ পাওয়ার সংখ্যাও। এসএসসি পরীক্ষার এমন ফলাফলে হতাশ হয়েছেন শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে এ বছর উপজেলার ৩৭টি প্রতিষ্ঠান থেকে ২ হাজার ৬৭৩জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছে। তার মধ্যে ১হাজার ৬৫৭জন শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে আর ১হাজার ১৬জন শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হয়েছে। তার মধ্যে ১৭টি প্রতিষ্ঠান থেকে ২০৪জন শিক্ষার্থী জিপিএ ৫ পেলেও ২০টি প্রতিষ্ঠান থেকে কেউ জিপিএ ৫ পায়নি। ফলাফলে দেখা যায়, জিপিএ ৫ এর দিক থেকে পূর্বধলা জগৎমনি সরকারী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এ বছর ৮৪ জন শিক্ষার্থী জিপিএ ৫ পেয়ে উপজেলায় শীর্ষ স্থানে রয়েছে। জালশুকা কুমুদগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের ৫৮জন জিপিএ ৫ পেয়ে ২য় স্থানে রয়েছে। আর হিরনপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১২জন জিপিএ ৫ পেয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে।
এছাড়া অন্যান্য বিদ্যালয় থেকে ১টি থেকে শুরু করে বিভিন্ন সংখ্যায় জিপিএ ৫ পেয়েছে। পাশের হারের দিক থেকে পূর্বধলায় জগৎমণি সরকারী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৮৯.৮৮, জালশুকা কুমুদগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৮০.৯১, ভাগ উত্তীর্ণ হয়েছে। ঘাগড়া দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৭২.২৯ ভাগ শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে। উপজেলার সর্বোচ্চ নাম্বার পেয়ে শীর্ষ স্থানে রয়েছে পূর্বধলা জগৎমণি সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আলিউল বারী জয়। তার প্রাপ্ত নম্বর ১২৪৮। এছাড়া অনেক বিদ্যালয়েই এবারের ফলাফলে ধস নেমেছে। মেঘশিমুল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৫০জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহন করে মাত্র ৯জন পাশ করেছে। পাশের হার মাত্র ১৮ ভাগ, জিপিএ ৫ নেই। পূর্বধলা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৩৩জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহন করে মাত্র ৭জন শিক্ষার্থী উত্তীর্ন হয়েছে। পাশের হার ২১.২১, জিপিএ ৫ নেই। কাপাশিয়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৪৩জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে মাত্র ১২জন শিক্ষার্থী পাশ করেছে। পাশের হার ২৭.৯১, জিপিএ ৫ নেই। উপজেলার হোগলা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৮৪জন শিক্ষার্থীর মধ্যে মাত্র ২৪জন শিক্ষার্থী পাশ করেছে। পাশের হার ২৮.৫৭, তবে এই বিদ্যালয় থেকে জিপিএ ৫ পেয়েছে ৯জন।
শিক্ষার্থী অভিভাবক মো: হেলাল উদ্দিন বলেন, এমন ফলাফল মেনে নেওয়ার মত না। তবে এর জন্য এককভাবে কাউকে দায়ী করা যাবে না। আগামীতে শিক্ষার্থীদের মোবাইল ফোন, টিকটক, গেইম খেলায় আসক্তি কমিয়ে লেখাপড়ায় অধিক মনোযোগী হতে হবে।
উপজেলার হোগলা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো: হীরা মিয়া জানান, শিক্ষার্থীদের এমন ফলাফলে আমরা হতাশ। তবে এই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে আগামীতে যাতে এমন ফলাফলের পুনরাবৃত্তি না হয় সে জন্য নিয়মিত ক্লাস করা, অতিরিক্ত ক্লাস নেওয়ার মাধ্যমে সর্বাত্তক চেষ্টা করা হবে।
উপজলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো: আবু বকর সিদ্দিক বলেন, আগামীতে উপজেলায় শিক্ষার হার বাড়াতে বিদ্যালয়ের নিয়মিত মনিটরিং আরো জোরদার করা হবে। অভিভাবকদের প্রতি তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের অধিক পাঠে মনযোগী হওয়ার জন্য আভিাবকদের খেয়াল রাখার আহবান জানান।