কলমাকান্দায় তুচ্ছ ঘটনায় হামলা ভাংচুর লুটপাটের অভিযোগ, মামলা করায় বাদিকে হুমকি

নেত্রকোনার কলমাকান্দায় গত ৫ জুন দুপুরে বাড়ি-ঘরে হামলা করে লুটপাট ও ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে।

এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের পর হত্যার হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন মামলার বাদি মোসা. হেলেনা আক্তার (৪১)। তিনি জেলার কলমাকান্দা উপজেলার দক্ষিণ কান্দাপাড়া গ্রামের মো. আব্দুল আমিনের স্ত্রী। এ ঘটনায় মামলা করায় বাদিকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হয় বলে অভিযোগ। 

মামলার আসামীরা হলেন একই এলাকার আবুল কাসেমের ছেলে মো. ফয়সাল মিয়া (২০), মৃত আবু সাহেদের ছেলে মো. আবু হাসান মিয়া (২৯), মৃত আব্দুল মন্নাফ আকন্দের ছেলে মো. আবু সাহিদ আকন্দ ওরফে মোস্তাক মিয়া (৫৫) ও মো. মজিবুর রহমান আকন্দ ওরফে আমিনুল ইসলাম (৬৫), মৃত সাহেব আলীর ছেলের মো. আবুল কাসেম (৪৫), মৃত আব্দুল মন্নাফের ছেলে মো. হাবিবুর রহমান আকন্দ (৬২), মো. হাবিবুর রহমান আকন্দের ছেলে মো. জহিরুল ইসলাম রনি (১৯) ও মো. সানি আকন্দ (২৬), মো. হাবিবুর রহমান আকন্দের ছেলে মো. জাহিদুল ইসলাম মুন্না (২০),  মৃত আব্দুল মন্নাফ আকন্দের ছেলে মো. সাইকুল আকন্দ সহ অজ্ঞাত ৩/৪ জন।
এলাকাবাসী ও মামলা সূত্রে জানা যায়, জেলার কলমাকান্দা উপজেলার দক্ষিণ কান্দাপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে বাদির বাড়ি। মাঠে প্রতিপক্ষের লোকজন প্রায়ই ফুটবল এবং ক্রিকেট খেলে। ফুটবল এবং ক্রিকেট খেলার ফলে প্রায়ই বাড়ির লোকজনের উপর ফুটবল এবং ক্রিকেট বল পরে আহত হয়। এতে বাধা দিলে বাড়িতে ঢুকে মারপিট করার অভিযোগ ওঠে। গত ৫ জুন আবারও বল খেলার উদ্দেশ্যে মাঠে গিয়ে বল দিয়ে বাদির বাড়িঘর ভাংচুর করে।

জানতে চাইলে মামলার বাদি হেলেনা আক্তার বলেন, ''তারা হামলা করে আমার বাড়িঘর ভাংচুর করে। এ সময় প্রতিবাদ করলে আমি ও আমার ছেলে মো. আ. হেলিমের ওপর হামলা করে গুরুতর আহত করে।

আমার দেবর মো. এমদাদুল হক সলি ও মো. বাবুল মিয়ার মাথায় কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। পরে তারা শোকেসের ড্রয়ার ভেঙ্গে দেড় ভরি ওজনের স্বর্ণের গলার হার ও নগদ ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা নিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা আমাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। 

কলমাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. লুৎফর রহমান বলেন, মামলা তদন্ত হচ্ছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।