বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫, ১৬ শ্রাবণ ১৪৩২
শিরোনাম

নান্দাইলের পল্লীতে ভূমি দস্যুদের তান্ডবে বাড়ি ছাড়া একটি পরিবার


  আরবান ডেস্ক

প্রকাশ :  ২৭ জুলাই ২০২৫, ১২:০৪ দুপুর

ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার চন্ডীপাশা ইউনিয়নস্থ নিজবানাইল গ্রামের বাসিন্দা মরহুম হাবিবুল্লাহ আকন্দ এর পরিবাররের লোকজনদেরকে একই গ্রামের বাসিন্দা ও প্রতিবেশী সন্ত্রাশী ভূমি দস্যু ও চাদাবাজ  শাহীন, তুহিন, বায়েজিদ ও তার লোকজন অত্যাচার ও মারধোর করে বলপূর্বক বাড়ি ছাড়া করে তাদের বসত ঘরে তালা লাগিয়ে তাদের দাবীকৃত ৫ লাখ টাকা চাঁদা না দেয়ার কারনেই এ সন্ত্রাসী ঘটনা চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

অভিযোগে প্রকাশ তিন মাস যাবত মরহুম হাবিবুল্লাহ আকন্দের সন্তানরা ঘরবাড়ীতে যেতে পারে নাই। পবিত্র ঈদুল আযহার দিনেও তাদেরকে বাড়িতে ঢোকতে দেওয়া হয়নি। এমনকি ফসলী জমিতেও চাষাবাদ করতে পারছে না। বর্গাচাষিরা জমিতে চাষাবাদ করতে গেলে তাদেরকেও চাষাবাদ করতে দিচ্ছে না।বর্গাচাষিদেরকেও খুনের হুমকি দিচ্ছে। এতে চলতি মৌসুমে জমিতে ফসল আবাদ করা চরম অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। বাড়িতে থাকা আম,কাঁঠাল, নারিকেল,সুপারী, কলা ও পুকুরের মাছ লুট করে নিয়ে গেছে। এতে করে প্রায় লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি সাধিত হয়েছে।

মধ্যযুগীয় ও বর্বরোচিত কায়দায় হামলা, মারধোর, বসত ঘরে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার পৈশাচিক ঘটনায় মরহুম হাবিব উল্লাহ আকন্দ এর লোকজন প্রশাসনের কাছে একাধিক অভিযোগ করেও এর কোন সমাধান বা প্রতিকার পায়নি। উল্লেখ্য ছাত্রলীগ নেতা তুহিন আকন্দ নিরব ওরফে তুহিন বিগত ৫ আগস্ট ২০২৪ এর পূর্বে ঢাকার ফার্মগেট এলাকার ও ঢাকা উত্তর যুবলীগের সাবেক সভাপতি র্শীষ সন্ত্রাশী ও সাবেক প্রধান মন্ত্রী বেগম খালেদাজিয়ার গাড়িতে হামলাকারী সৈয়দ মিজানুর রহমান মিজান এর সহযোগী হিসাবে কাজ করতো। সেই আলোচিত ৫ই আগস্ট এর পর নিজ এলাকায় বাড়িতে এসে  তুহিন উল্লেখিত ঘটনাবলিতে লিপ্ত রয়েছে রয়েছে বলে জানা গেছে।

আশংকাগ্রস্ত নিরিহ লোকজন চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

এসব মর্মান্তিক পৈশাচিক ঘটনায় নান্দাইল মডেল থানায় শাহীন,তুহিন,বায়েজিদসহ অন্যান্য সহযোগিদেরকে আসামী করে গত মে মাসে ১৬(৫)২০২৫ নং মামলা দায়ের করা হয়। উক্ত মামলার আসামীগণ আদালত থেকে জামিনে মুক্ত হয়ে আরও ভয়ংকর মূর্তি ধারণ করেছে। অতি সম্প্রতি মরহুম হাবিবুল্লাহ আকন্দ এর কনিষ্ট পুত্র মোঃ জিয়াউর রহমানকে বায়েজিদ নান্দাইল পৌরসভার সামনে তার মোটর সাইকেলের চাকায় পিষ্ট করে হত্যার অপচেষ্টা চালায়। জিয়াউর টের পেয়ে দৌড়ে লাফ দিয়ে প্রানে রক্ষা পায়।

মরহুম হাবিুল্লাহ আকন্দ এর মেজু ছেলে ব্যবসায়ী ছায়েদুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি জানান সন্ত্রাসী তুহিন, শাহীন, বায়েজিদ ও তাদের বাহিনীর অত্যাচারে বাড়িতে যেতে পারছি না। আমাকে ও আমাদের পরিবারের লোকজনকে খুন ও অপহরণের হুমকি দিচ্ছে। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছি। উল্লেখিত পরিবারের বর্গাচাষি নূর উদ্দিন ও আজিজুল হক জানান আমি মরহুম হাবিবুল্লাহ আকন্দ এর পরিবারের লোকজনদের জমিতে আমন ধান চাষের জন্য বীজতলা পরিষ্কার করতে গেলে উল্লেখিত সন্ত্রাশীদল আমাকে কাজ করতে বাঁধা দিয়ে বলে আর কোনদিন জমিতে আসলে হাত পা কেটে ফেলবো।

এলাকাবাসী নিরীহ ও শান্তিপ্রিয় পরিবারের লোকজনকে রক্ষার জন্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এ বিষয়ে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন নান্দাইল উপজেলা শাখার নেতৃবৃন্দ বিষয়টি চরম মানবাধিকার লঙ্গল হয়েছে বলে জানান।

 

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত