বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫, ২৭ ফাল্গুন ১৪৩১
শিরোনাম

ইসরাইলের বিরুদ্ধে জাতিসংঘের কড়া নিন্দা


  আরবান ডেস্ক

প্রকাশ :  ১১ মার্চ ২০২৫, ১১:২১ দুপুর

জাতিসংঘ সোমবার ইসরাইলের গাজায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করার সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছে এবং হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, এই পদক্ষেপ যুদ্ধবিধ্বস্ত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের বেসামরিক নাগরিকদের জন্য মারাত্মক পরিণতি বয়ে আনবে।  
সোমবার (১০ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।

ইসরাইল ইতোমধ্যেই গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশ বন্ধ করেছে এবং এবার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে। এতে গাজার একমাত্র পানিশোধনাগারও কার্যত অচল হয়ে পড়েছে, যা হামাসের ওপর চাপ প্রয়োগের একটি কৌশল হিসেবে দেখা হচ্ছে।  

জাতিসংঘের মানবাধিকার দফতরের মুখপাত্র সাইফ মাগাঙ্গো এএফপিকে দেওয়া এক ইমেইল বিবৃতিতে বলেন, ইসরাইলের সিদ্ধান্ত অত্যন্ত উদ্বেগজনক, কারণ এটি গাজার জনগণের ওপর আরও মানবিক সংকট চাপিয়ে দিচ্ছে।  তিনি বলেন, গাজায় মানবিক সহায়তা ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার পর বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা পরিস্থিতিকে আরও বিপজ্জনক করে তুলেছে।  

তিনি আরও জানান, বিদ্যুৎ না থাকলে এবং জ্বালানি প্রবেশ বন্ধ থাকলে গাজার অবশিষ্ট পানিশোধনাগার, হাসপাতাল ও বেকারিগুলো বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে পড়বে, যা সাধারণ জনগণের জন্য ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনবে।  

যুদ্ধবিরতি আইন লঙ্ঘন করছে ইসরাইল  

মাগাঙ্গো বলেন, ইসরাইল যেহেতু গাজায় দখলদার শক্তি হিসেবে রয়েছে, তাই আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে ফিলিস্তিনি জনগণের মৌলিক চাহিদা নিশ্চিত করার দায়িত্ব তার রয়েছে।  

তিনি সতর্ক করে বলেন, একটি সশস্ত্র গোষ্ঠীর ওপর চাপ প্রয়োগের উদ্দেশ্যে সাধারণ জনগণের জন্য মৌলিক চাহিদার পথ বন্ধ করা হলে তা আন্তর্জাতিক আইনে ‘সমষ্টিগত শাস্তি’ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে, যা অত্যন্ত গুরুতর উদ্বেগের বিষয়।  

যুদ্ধবিরতির ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত  

এদিকে, সোমবার ইসরাইলি আলোচক দল কাতারের উদ্দেশে রওনা হয়েছে, যেখানে গাজা যুদ্ধবিরতি বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা হবে।  

এর আগে যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপ ১ মার্চ শেষ হয়, তবে যুদ্ধ বন্ধ করতে আরও ধাপের বিষয়ে কোনো চূড়ান্ত চুক্তি হয়নি। যুদ্ধ বন্ধে কোনো স্থায়ী সমাধান এখনো দেখা যাচ্ছে না।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত