গাজায় শান্তি ফেরাতে ট্রাম্প-সিসির সভাপতিত্বে বিশ্বনেতাদের বৈঠক

আরবান ডেস্ক
প্রকাশ : ১২ অক্টোবর ২০২৫, ১১:২৯ দুপুর
_original_1760246930.jpg)
গাজায় দীর্ঘদিনের রক্তক্ষয়ী সংঘাতের অবসানে নতুন উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। আগামী সোমবার (১৩ অক্টোবর) মিশরের পর্যটন শহর শারম আল-শেখে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বহুপক্ষীয় একটি শান্তি সম্মেলন। সম্মেলনের যৌথ সভাপতিত্ব করবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি।
মিশরের প্রেসিডেন্ট দফতর শনিবার (১২ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এ সম্মেলনে বিশ্বের ২০টিরও বেশি দেশের শীর্ষ নেতা অংশ নেবেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ, ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি এবং স্পেনের পেদ্রো সানচেজ।
বিবৃতিতে বলা হয়, সম্মেলনের মূল লক্ষ্য হচ্ছে গাজা উপত্যকার যুদ্ধ চূড়ান্তভাবে থামানো, মধ্যপ্রাচ্যে টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং একটি স্থিতিশীল আঞ্চলিক কাঠামো গড়ে তোলা।
তবে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু কিংবা হামাসের কোনো প্রতিনিধি এই সম্মেলনে থাকবেন কিনা, তা এখনো পরিষ্কার নয়।
সম্মেলনের ঘোষণাটি এমন সময়ে এলো, যখন গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলে বাস্তুচ্যুত মানুষরা ধ্বংসস্তূপের মধ্যেও ঘরে ফেরার চেষ্টা করছেন। কয়েক সপ্তাহ ধরে চালানো ইসরাইলি বোমাবর্ষণে অঞ্চলটি ধ্বংসপ্রাপ্ত হলেও যুদ্ধবিরতির পর অনেকেই তাদের পুরোনো বাড়িতে ফিরে যাচ্ছেন।
এর আগে গত মাসের শেষ দিকে নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের সময় আরব ও মুসলিম দেশগুলোর নেতাদের সঙ্গে আলাদা বৈঠকে বসেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। পরবর্তীতে ২৯ সেপ্টেম্বর ওয়াশিংটনে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি উপস্থাপন করেন একটি ২০ দফার শান্তি প্রস্তাব।
এই প্রস্তাবকে ঘিরেই গত সপ্তাহে শারম আল-শেখে যুক্তরাষ্ট্র, কাতার ও মিশরের মধ্যস্থতায় হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে পরোক্ষ আলোচনা শুরু হয়। তিনদিনের আলোচনা শেষে, বুধবার (৮ অক্টোবর) রাতে দুই পক্ষ যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবের প্রথম ধাপে সম্মত হয়।
অবশেষে শুক্রবার (১০ অক্টোবর) ইসরাইলি সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধবিরতি অনুমোদন করে। সেই রাত থেকেই গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয় এবং সেনা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া শুরু হয় বলে জানিয়েছে আইডিএফ (ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী)।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই সম্মেলন মধ্যপ্রাচ্যে শান্তির নতুন দিগন্ত উন্মোচনের সম্ভাবনা তৈরি করতে পারে-যদিও এতে সব পক্ষের সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত না হলে সাফল্য নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাবে।