বেসরকারি নিরাপত্তাকর্মী হবে ঈদে পুলিশের সহযোগী ফোর্স ,পাবে গ্রেপ্তারের ক্ষমতা

আরবান ডেস্ক
প্রকাশ : ০৮ মার্চ ২০২৫, ০২:৪৪ দুপুর
_original_1741423425.jpg)
আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে রাজধানীর বাসাবাড়ি ও মার্কেটের নিরাপত্তায় পুলিশের সহযোগী হিসেবে বিভিন্ন বেসরকারি নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা কাজ করবেন। তাঁদের পুলিশের মতো গ্রেপ্তারি ক্ষমতা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।
আজ শনিবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ডিএমপি কমিশনার।
সাজ্জাত আলী বলেন, ঢাকা মেট্রোপলিটন অ্যাক্টে কমিশনারকে যে কাউকে পুলিশের মতো কাজ করার দায়িত্ব দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে। সেই ক্ষমতা বলে, বেসরকারি নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগ দেবে ডিএমপি কমিশনার।
ডিএমপি কমিশনার ব্যাখ্যা করে বলেন, রমজান ও ঈদ উপলক্ষে অনেক রাত পর্যন্ত ঢাকা মহানগরীর মার্কেট, শপিংমলগুলো খোলা থাকে। তবে আমাদের পুলিশের স্বল্পতা রয়েছে। নিরাপত্তা নিশ্চিতে রাজধানীর বিভিন্ন আবাসিক এলাকা, শপিং মল ও মার্কেটগুলোতে অক্সিলারি পুলিশ ফোর্স নিয়োগ দিবে ডিএমপি।
তিনি বলেন, ‘আবাসিক এলাকা, বিভিন্ন মার্কেট, শপিং মলে নিয়োজিত বেসরকারি নিরাপত্তা কর্মীদের অক্সিলারি (সহযোগী) পুলিশ ফোর্স হিসেবে কাজ করবেন। তাঁদের ক্ষমতা থাকবে গ্রেপ্তারেরও। তাঁদের হাতে ডিএমপির একটি একটি ব্যান্ড বাঁধা থাকবে। সেটাতে তাঁদের পরিচয় থাকবে, এভাবে তাঁদের আলাদা করে শনাক্ত করা যাবে।’
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘সন্ধ্যা থেকে ঢাকাবাসী মুসল্লিরা মসজিদে যান। দেড় দুই ঘণ্টা তারাবির নামাজের সময় যায়। ওই সময় ঢাকা শহরে বিভিন্ন অলিগলিতে জন শূন্যতা তৈরি হয়। বিশেষ করে পুরুষ মানুষ তারাবি নামাজে থাকেন। এই সময় আপনারা বাড়ির ফ্ল্যাট দোকান সযত্নে রেখে আসবেন। নিরাপত্তাটা খেয়াল করবেন। আশা করছি ১৫ রমজান থেকে ঢাকাবাসীর অনেকে ঈদ উপলক্ষে গ্রামে স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করতে যাবেন।’
তিনি বলেন, ‘আমি ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার হিসেবে আপনাদের জানাতে চাই, অনুরোধ করতে চাই আপনারা যখন বাড়ি যাবেন, তখন আপনার বাড়ি, ফ্ল্যাট দোকান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা নিজ দায়িত্বে করে যাবেন। আমরা আপনাদের সঙ্গে আছি। আমাদের পুলিশের স্বল্পতা আছে। আমাদের লোকও অনেকে ছুটিতে যাবে, যেতে চায়। যারা ব্যারাকে থাকে, তারা দীর্ঘ সময় পরিবার ছাড়া থাকেন, তাদের এটা পারসেন্টেজ সরকারের নির্দেশে ছুটি দিতে হয়।’
শপিং সেন্টারগুলো অনেক রাত পর্যন্ত খোলা থাকবে জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেন, বিভিন্ন শপিং মল শপিং সেন্টার ও ও গেট দিয়ে ঘেরা বিভিন্ন আবাসিক এরিয়াতে মেট্রোপলিটন পুলিশ আইন বলে অক্সিলারি (সহযোগী) পুলিশ ফোর্স নিয়োগের ক্ষমতা আমার আছে। সেই ক্ষমতা মোতাবেক আমি বেসরকারি নিরাপত্তা কর্মীদের অক্সিলারি পুলিশ ফোর্স হিসেবে নিয়োগ দিয়েছি। তাদের হাতে একটি ব্যান্ড থাকবে। লেখা থাকবে ‘সহায়ক পুলিশ কর্মকর্তা’। আইন মোতাবেক তিনি দায়িত্ব পালন ও গ্রেপ্তারের ক্ষমতা পাবেন। পুলিশ অফিসারকে আইনগতভাবে যে প্রোটেকশন পেতেন এই অক্সিলারি ফোর্সের সদস্যরাও প্রোটেকশন পাবেন।
সম্প্রতি ‘মব জাস্টিস’–এর বিষয়ে এ পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘কেউ আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না। কোথাও কোনো তথ্য থাকলে পুলিশকে জানান। পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) রেজাউল করিম মল্লিক, যুগ্ম কমিশনার রবিউল (ডিবি) ইসলাম ও মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম, রমনার ডিসি মাসুদ আলম।