শেরপুরে টাইফয়েড ভ্যাকসিন নিবে ৩ লাখ ৮৩ হাজার শিশু

রফিক মজিদ, শেরপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৯ অক্টোবর ২০২৫, ১১:১৩ দুপুর

টাইফয়েড জ্বরের প্রাদুর্ভাব রোধে আগামী ১২ অক্টোবর থেকে সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি (ইপিআই) এর আওতায় দেশব্যাপী টাইফয়েড টিকাদান (ভ্যাকসিন) ক্যাম্পেইন শুরু করছে সরকার। যেখানে শেরপুরে টাইফয়েড টিকাদানের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৩ লাখ ৮৩ হাজার শিশু।
বুধবার (৮ অক্টোবর) বিকেলে ৫টায় শেরপুর সিভিল সার্জন কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান, জেলা সিভিল সার্জন ডা. মুহাম্মদ শাহিন।
প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত ১৫ বছরের কম বয়সী শিক্ষার্থীকে তাদের নিজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে টাইফয়েড টিকা দেওয়া হবে। এছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বহির্ভূত ০৯ মাস থেকে ১৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের বিদ্যমান ইপিআইয়ের স্থায়ী ও অস্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রে টিকা দেওয়া হবে।
টাইফয়েড টিকাদান কার্যক্রম চলবে ১২ অক্টোবর থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত মোট ১৮ কর্মদিবস। এর মধ্যে প্রথম সপ্তাহে (১২–৩০ অক্টোবর) শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও স্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রে এবং পরবর্তী দুই সপ্তাহে (১–১৩ নভেম্বর) কমিউনিটিতে (গ্রাম ও শহরাঞ্চলে) টিকাদান কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
শেরপুর জেলায় টাইফয়েড টিকার মোট লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ লাখ ৮৩ হাজার ১৯৪ শিশু। শেরপুর জেলায় এখন পযন্ত ৫৮ শতাংশ রেজিষ্ট্রেশন সম্পন্ন হয়েছে। এর মধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ২ লাখ ৪২ হাজার ৬৩৪ এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বাইরে ১ লাখ ৪০হাজার ৭৫৬ জন শিশুকে টিকা দেওয়া হবে। এছাড়া শেরপুর জেলায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মোট টিকা কেন্দ্রের সংখ্যা ১ লাখ ৬৮০টি এবং স্থায়ী টিকা কেন্দ্রের সংখ্যা ১ লাখ ৩৫০।
সিভিল সার্জন ডা. শাহিন বলেন, টাইফয়েড জ্বর একটি প্রতিরোধযোগ্য সংক্রামক রোগ। শিশুদের সুরক্ষায় সরকার বিনামূল্যে টাইফয়েড টিকা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। আগামী ১২ অক্টোবর থেকে সারা দেশে এ কর্মসূচি বাস্তবায়িত হবে।
তিনি আরও বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুমোদিত এই টিকা নিরাপদ ও কার্যকর। সরকারের এই ক্যাম্পেইন শুধু শিশুদের জীবন রক্ষা নয়, বরং দীর্ঘমেয়াদে টাইফয়েডজনিত অসুস্থতা ও মৃত্যুহার কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
অনুষ্ঠান শেষে টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন সফলভাবে বাস্তবায়নে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও গণমাধ্যমের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
এ সময় শেরপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি কাকন রেজা, কার্যনির্বাহী সভাপতি রফিক মজিদ, সাধারণ সম্পাদক মাসুদ হাসান বাদলসহ প্রেসক্লাবের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ এবং জেলার বিভিন্ন গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।