জোহা’র ‘এক লাখ কর্মী’ দাবি—জামায়াতের প্রতিক্রিয়া, নির্বাচনী মাঠে উত্তাপ

আরবান ডেস্ক
প্রকাশ : ১১ অক্টোবর ২০২৫, ০৪:১৮ দুপুর
_original_1760177911.jpg)
মো. আমানুল্লাহ: নওগাঁ-২ (ধামইরহাট–পত্নীতলা) আসনে নির্বাচনী উত্তাপ দিন দিন বাড়ছে। গতকাল শুক্রবার রাতে ডিবিসি নিউজের ইলেকশন এক্সপ্রেস অনুষ্ঠানে বিএনপির কেন্দ্রীয় কৃষিবিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য মো. সামসুজ্জোহা খান জোহা দাবি করেন,
“আমার একলা প্রায় এক লাখ কর্মী রয়েছে।”
তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা জোহা’র এই বক্তব্যকে ‘অবাস্তব ও অতিরঞ্জিত’ হিসেবে দেখছেন। তাদের মতে, “মাঠে নামলে জামায়াতের কর্মীরা তাসের মতো উড়ে যাবে”—এই ধরনের মন্তব্য বাস্তবতার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।
নওগাঁ-২ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা প্রায় ৩ লাখ ৫৫ হাজার। এই পরিসংখ্যানে জোহা’র এক লাখ কর্মীর দাবি রাজনৈতিক অঙ্গনে বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
অন্যদিকে, বিএনপির আরও তিন সম্ভাব্য প্রার্থীও মাঠে সক্রিয় রয়েছেন—
সাবেক জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি নাজিবুল্লাহ চৌধুরী,
সাবেক ছাত্রনেতা ইঞ্জিনিয়ার মুসাবির সাফি,
এবং আগ্রাদ্বিগুণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইসমাইল হোসেন মোস্তাক।
তারা নিজ নিজ এলাকায় কর্মীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন এবং নিজেদের অবস্থানকে “দৃঢ়” বলে দাবি করছেন। এতে রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠেছে—
“যদি জোহা সাহেবের এক লাখ কর্মী সত্যিই থাকে, তবে বাকিদের কর্মীবাহিনী কোথায়?”
অন্যদিকে, জামায়াতে ইসলামীর স্থানীয় নেতৃবৃন্দ বলেছেন, তাদের সাংগঠনিক ভিত্তি দীর্ঘদিনের ও শক্তিশালী। তারা দাবি করেন,
“আমরা মাঠে জনগণের ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি, বিজয়ের আলামত এখন স্পষ্ট। আমাদের কর্মীরা সংগঠিত এবং যেকোনো পরিস্থিতিতে প্রতিক্রিয়া জানাতে প্রস্তুত।”
সবমিলিয়ে, নওগাঁ-২ আসনটি এখন উত্তরাঞ্চলের সবচেয়ে আলোচিত নির্বাচনী কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। প্রার্থীদের বক্তব্য, কর্মীসংখ্যা ও মাঠপর্যায়ের বাস্তবতা—সব মিলিয়ে এখানকার ভোটযুদ্ধ ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে।