আছিয়ার ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত আসামীদের দ্রুত ফাঁসির দাবিতে পূর্বধলায় বিক্ষোভ

নাহিদ আলম, স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ : ১৪ মার্চ ২০২৫, ০৩:২১ দুপুর

মাগুরায় আছিয়ার ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত চার আসামীর দ্রুত ফাঁসির দাবিতে নেত্রকোনার পূর্বধলায় বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে ছাত্র-জনতা।
শুক্রবার (১৪ মার্চ) জুম্মা নামাজ শেষে পূর্বধলা জামে মসজিদ ইসলামিয়া মাদ্রাসা থেকে মিছিলটি বের হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে পূর্বধলা বাজারের ষ্টেশন মোড়ে সংক্ষিপ্ত প্রতিবাদ সমাবেশ করে।
বিক্ষোভ মিছিলের নেতৃত্ব দেন- হুমায়ুন তাজওয়ার পল্লব, সাকিব আব্দুল্লাহ, ফজলে রাব্বি, রাশেদ ইসলাম, , ইমতিয়াজ আহমেদ সজীব, রাফিন আহমেদ, সুলেমান কবির পাপ্পু, শুভ, সাকিব প্রমুখ।
এ সময় তারা, আমার সোনার বাংলায় ধর্ষকের ঠাঁই নাই। আছিয়ার রক্ত বৃথা যেতে দিব না। ফাঁসি ফাঁসি ফাঁসি চাই, ধর্ষকের ফাঁসি চাই। তুমি কে আমি কে আছিয়া, আছিয়াসহ বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে ধর্ষকের শাস্তি দাবি করেন।
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন, মাগুরায় যে শিশুটি ধর্ষণের শিকার হয়েছিল তার দেশের প্রতিটি মানুষ জানে। শুধু আছিয়া নয় বিগত সময়ে বাংলাদেশে অগণিত ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে-যার মধ্যে এখনো পর্যন্ত কোনো একটি ঘটনার বিচারের দৃষ্টান্ত স্থাপন হয়নি।
আমরা অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আছিয়ার খুনি ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক প্রকাশ্য বিচার দাবি করছি এবং প্রচলিত নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ আইন সংশোধন করে বিচারপ্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করার দাবি জানাচ্ছি। যাতে এমন পাশবিক অপরাধ করার সাহস আর কেউ না করে।
এসময় তারা ধর্ষকদের প্রকাশ্যে শাস্তি দেয়া হলে এমন অনেক অপরাধ রোধ করা সম্ভব বলে জানান।
উল্লেখ্য, গত ৬ মার্চ মাগুরা শহরে বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয় ওই শিশুটি। পরদিন তাকে মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ওই দিন দুপুরেই উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে রাতেই পাঠানো হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
এরপর গত শুক্রবার রাতে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। সংকটাপন্ন শিশুটিকে গত শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (পিআইসিইউ) থেকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। পরদিন রোববার শিশুটিকে সিএমএইচে পেডিয়াট্রিক আইসিইউতে নেওয়া হয়। গতকাল ১৩ মার্চ চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।