রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৩ ফাল্গুন ১৪৩১
শিরোনাম

আজ সাগরদাঁড়িতে মধুমেলার উদ্বোধন


  আ.শ.ম. এহসানুল হোসেন তাইফুর

প্রকাশ :  ২৪ জানুয়ারী ২০২৫, ০৭:৪০ বিকাল

মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের ২০১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আজ (শুক্রবার) ২৪ জানুয়ারি সাগরদাঁড়িতে মধুমেলা শুরু হবে। বাংলা সাহিত্যের প্রবাদ পুরুষ আধুনিক বাংলা কাব্যের রূপকার অমিত্রাক্ষর ছন্দের জনক ও সনেট প্রবর্তক মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে সপ্তাহব্যাপী মধুমেলার উদ্বোধন করবেন, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। যশোর জেলা প্রশাসনের আয়োজনে সাগরদাঁড়িতে মধুমেলা উপলক্ষ্যে নেওয়া হয়েছে নানা কর্মসূচী। আজ শুক্রবার বিকাল ৪ টায় মধুমেলা উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে চলবে আগামী ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত।

মধুমেলা উদযাপন কমিটির সভাপতি যশোর জেলা প্রশাসক মোঃ আজাহারুল ইসলামের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী দিনে বিশেষ অতিথি হিসেবে অংশ নেবেন যশোর পুলিশ সুপার মোঃ জিয়াউদ্দিন আহম্মেদ, যশোর সরকারি মাইকেল মধুসূদন কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. খন্দোকার এহসানুল কবির, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও কেশবপুর উপজেলা সভাপতি আবুল হোসেন আজাদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, বাংলাদেশ জামায়েতে ইসলামী যশোর জেলা আমির অধ্যাপক গোলাম রসুল, যশোর প্রেসক্লাবের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন, যশোর পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান ও সাবেক পিপি অ্যাডভোকেট ইসহক, যশোর ইন্সটিটিউটের সাধারণ সম্পাদক ডাঃ আবুল কালাম আজাদ লিটু, যশোর প্রাচ্যসংর্ঘের প্রতিষ্ঠাতা লেখক গবেষক বেনজীন খান, প্রত্নতত্ব অধিদপ্তর খুলনা বিভাগের আঞ্চলিক পরিচালক লাভলী ইয়াসমিন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেশবপুরের আমির অধ্যাপক মোঃ মোক্তার আলী ও যশোর বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব জেসিনা মুর্শিদ প্রাপ্তি। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখবেন মধুমেলা উদ্যাপন কমিটির সদস্য সচিব ও কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন। 

মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলার সাগরদাঁড়ি গ্রামে ১৮২৪ সালের ২৫ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম রাজনারায়ণ দত্ত, মা জাহূবী দেবী। মাইকেল মধুসূদন বাংলা ভাষায় সনেট ও অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তক। তার সর্বশ্রেষ্ঠ কীর্তি অমিত্রাক্ষর ছন্দে রামায়ণের উপাখ্যান অবলম্বনে রচিত মেঘনাদবধ কাব্য নামক মহাকাব্য। তার অন্যান্য উল্লেখযোগ্য গ্রন্থাবলি- দ্য ক্যাপটিভ লেডি, শর্মিষ্ঠা, বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রোঁ, একেই কি বলে সভ্যতা, তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য, বীরাঙ্গনা কাব্য, ব্রজাঙ্গনা কাব্য, চতুর্দশপদী কবিতাবলী, হেকটর বধ ইত্যাদি। ১৮৭৩ সালের ২৯ জুন দুপুর ২টায় মারা যান মহাকবি মধুসূদন দত্ত। মধুমেলা উদ্যাপনে মেলার মাঠে কঠোর নিরাপত্তা বলয় থাকছে। মেলাকে আকর্ষণীয় করে তুলতে থাকছে যাত্রা, সার্কাস, জাদু, পুতুল নাচ, মৃত্যুকূপসহ বিভিন্ন ধরণের শত শত ছোট ছোট পসরার দোকান। হস্ত শিল্প ও শিশুদের বিনোদনের সকল ব্যবস্থা রাখাও হয়েছে। প্রায় ৪৪ লাখ টাকায় মেলার মাঠ ইজারা পেয়েছেন সাগরদাঁড়ি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আকরাম হোসেন খান। মূলত সারা বছর কবিকে নিয়ে আলোচনা বা গবেষণা না থাকলেও মাঘ মাসের শুরুতেই জন্মে কবির প্রতি ভালোবাসা। তাই এসময় দেশ বিদেশের পর্যটক ও অস্যখ্য পিকনিক পার্টিসহ দূর-দূরান্ত থেকে হাজার হাজার কবি প্রেমীর আগমন ঘটে থাকে মধুকবির নিভৃত পল্লী সাগরদাঁড়িতে। প্রতিদিন মধুমঞ্চে থাকছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও কবির জীবনীর ওপর আলোচনা। 

মধুমেলা উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব ও কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাকির হোসেন বলেন, কবির জন্মবার্ষিকী ও মধুমেলা উপলক্ষ্যে সকল প্রস্তুতি ইতিমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে। মেলা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নের জন্য আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় সব ধরণের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।  

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত