বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১১ বৈশাখ ১৪৩২
শিরোনাম

পোপ ফ্রান্সিসের উত্তরসূরি হিসেবে এগিয়ে কারা?


  আরবান ডেস্ক

প্রকাশ :  ২২ এপ্রিল ২০২৫, ০২:২২ দুপুর

ফাইল ছবি: এএফপি

পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুর পর তার উত্তরসূরি নির্বাচনের প্রক্রিয়া এখন গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। মৃত্যুর আগে বেশ কয়েক মাস অসুস্থ ছিলেন ক্যাথলিক খ্রিষ্টানদের প্রধান এই ধর্মগুরু। অনেক নিয়ন-নীতি মেনে পোপের শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। এখন নতুন পোপ নির্বাচিত হবেন ক্যাথলিক চার্চের শীর্ষ ধর্মযাজকদের ভোটে।

পোপের মৃত্যুর পর কী করা হয়?
মৃত্যুর পর বেশকিছু নিয়ন-নীতি মেনে পোপের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। ঐতিহ্যগতভাবে পোপের শেষকৃত্যের প্রক্রিয়াটি বেশ জটিল। তবে মারা যাওয়ার বেশ কিছুদিন আগে পোপ ফ্রান্সিস তার শেষকৃত্যের প্রক্রিয়াটি সহজ ও সংক্ষিপ্ত করার পরিকল্পনায় অনুমোদন দেন। এর আগে যেসব পোপরা মারা গেছেন, তাদেরকে সমাহিত করা হয়েছে সাইপ্রেস কাঠ, ওক কাঠ এবং সীসা দিয়ে তৈরি কফিনে। পোপ ফ্রান্সিস সেখানে দস্তা দিয়ে আবৃত একটি সাধারণ কাঠের কফিন বেছে নিয়েছেন।

সমাহিত করার আগে সর্বসাধারণের দেখার জন্য পোপের দেহকে এতদিন সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকায় একটি উঁচু প্ল্যাটফর্ম, যা ক্যাটাফাল্ক নামে পরিচিত, সেখানে রাখা হতো। সেই ঐতিহ্য ভেঙে পোপ ফ্রান্সিস নিজের মরদেহ কফিনের ভেতরে রেখে ঢাকনা খুলে রাখতে বলে গেছেন, যাতে শোকাহত ব্যক্তিরা সহজে শ্রদ্ধা জানাতে পারেন।

পোপদেরকে সাধারণত ভ্যাটিকান সিটির সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকায় সমাধিস্থ করা হয়। তবে এক শতাব্দীরও বেশি সময়ের মধ্যে ফ্রান্সিসই হতে যাচ্ছেন প্রথম কোনো পোপ যাকে ভ্যাটিকানের বাইরে সমাহিত করা হবে। পোপ ফ্রান্সিসের নির্দেশনা অনুযায়ী তাকে রোমের অন্যতম প্রধান ব্যাসিলিকা সেন্ট মারি মেজরে সমাহিত করা হবে। ব্যাসিলিকা এমন একটি গির্জা, যেটাকে বিশেষ তাৎপর্যস্থান হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে ভ্যাটিকান। মেজর ব্যাসিলিকার সঙ্গে পোপের একটি বিশেষ সংযোগ রয়েছে।

নতুন পোপ নির্বাচন করেন কারা?
ক্যাথলিক চার্চের শীর্ষ ধর্মযাজক যারা কলেজ অব কার্ডিনালস নামে পরিচিত, তারাই ভোট দিয়ে নতুন পোপ নির্বাচন করেন। এসব কার্ডিনালদের সকলেই পুরুষ। তারা সরাসরি পোপ কর্তৃক বিশপ হিসেবে নিযুক্ত হন। বর্তমানে মোট ২৫২ জন ক্যাথলিক কার্ডিনাল রয়েছেন, যাদের মধ্যে নতুন পোপ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন ১৩৫ জন।

অন্য কার্ডিনালদের বয়স ৮০ বছরের বেশি হওয়ায় তারা সরাসরি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। তবে নতুন পোপ হিসেবে কাকে নির্বাচিত করা উচিত, সেই বিতর্কে অংশ নিয়ে তারা নিজেদের মতামত জানাতে পারবেন।

নতুন পোপ বেছে নেওয়া হয় কীভাবে?
যখন একজন পোপ মারা যান অথবা পদত্যাগ করেন তখন ভ্যাটিকানে কার্ডিনালদের একটি সম্মেলন ডাকা হয়। তারপর কনক্লেভ অনুষ্ঠিত হয় যেটা পোপ নির্বাচনের সময় হিসাবে পরিচিত।

বর্তমান পোপের মৃত্যুর পর থেকে নতুন পোপ নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত মধ্যবর্তী সময়কালে কলেজ অব কার্ডিনালসই গির্জার যাবতীয় কর্মকাণ্ড পরিচালনার দায়িত্ব পালন করে থাকেন। পোপ নির্বাচনের ভোট অনুষ্ঠিত হয় চিত্রশিল্পী মাইকেলেঞ্জেলোর আঁকা বিখ্যাত সিস্টিন চ্যাপেলের ভেতরে। কঠোর গোপনীয়তার সঙ্গে সেখানে কার্ডিনালরা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেন।

নতুন পোপ নির্বাচনের এই প্রক্রিয়ায় বেশ কয়েক দিন সময় লেগে যেতে পারে। অতীতে এক সপ্তাহ, এমনকি এক মাস সময় ধরেও ভোট চলতে দেখা গেছে। ভোট চলাকালে কার্ডিনালদের মধ্যে কেউ কেউ মৃত্যুবরণ করেছেন এমন ঘটনার নজিরও আছে।

এই সময় নতুন পোপ নির্বাচন কতটুকু এগোলো, সেটি বোঝার একমাত্র উপায় হলো ধোঁয়া। নির্বাচন চলাকালে প্রতিবার ভোট শেষে নির্দিষ্ট চুল্লিতে ব্যালট পেপার পুড়িয়ে ফেলা হয়। এর ফলে দিনে দুবার যে ধোঁয়া বের হয় সেটাই নতুন পোপের বিষয়ে ইঙ্গিত দেয়। কালো ধোঁয়ার অর্থ হলো পোপ নির্বাচন হয়নি। আর সাদা ধোঁয়া দেখার মানে হলো নতুন পোপ নির্বাচিত হয়েছেন।

নতুন পোপের ঘোষণা আসে যেভাবে
সাদা ধোঁয়া দেখা যাওয়ার পর সাধারণত ঘন্টাখানেকের মধ্যেই নতুন পোপ ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরে সেন্ট পিটার্স স্কয়ারের বারান্দায় এসে দাঁড়ান। এরপর কনক্লেভে অংশগ্রহণকারী একজন জ্যেষ্ঠ কার্ডিনাল আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন পোপের বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানান। তিনি ল্যাটিন ভাষায় চিৎকার করে বলেন, হ্যাবেমাস পাপাম, বাংলায় যার অর্থ দাঁড়ায়-আমাদের একজন পোপ আছেন।

কার্ডিনাল এরপর নতুন পোপের নাম ঘোষণা করেন। এসময় নতুন পোপকে যে নামে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়ে থাকে সেটি তার আসল নাম হতে পারে, আবার নাও হতে পারে। পোপ ফ্রান্সিসই এক্ষেত্রে বড় উদাহরণ। তার প্রকৃত নাম ছিল জর্জ মারিও বার্গোগলিও। কিন্তু তের শতকের ধর্মপ্রচারক ও প্রাণী প্রেমিক অ্যাসিসির সেন্ট ফ্রান্সিসের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি নিজের নতুন নাম দেন পোপ ফ্রান্সিস। গত এক যুগ ধরে সারা পৃথিবীতে তিনি এই নামেই বেশি পরিচিত ছিলেন।

পোপ হওয়ার যোগ্যতা কী?
তাত্ত্বিকভাবে বলা যায়, ব্যাপ্টাইজ হওয়া যে কোনো রোমান ক্যাথলিক পুরুষই পোপ হতে পারেন। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, ভ্যাটিকানের কার্ডিনালরা তাদের নিজেদের মধ্য থেকেই একজনকে পোপ হিসেবে বেছে নিতে পছন্দ করেন। ২০১৩ সালের নির্বাচনে আর্জেন্টিনায় জন্মগ্রহণকারী জর্জ মারিও বার্গোগলিও পোপ হিসেবে নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে তিনি পোপ ফ্রান্সিস নামে পরিচিত হন।

দক্ষিণ আমেরিকা, যেখানে বিশ্বের প্রায় ২৮ শতাংশ ক্যাথলিক খ্রিষ্ট্রান বসবাস করে এমন দেশ থেকে প্রথমবারের মতো পোপ নির্বাচিত হন ফ্রান্সিস। কিন্তু অধিকাংশক্ষেত্রে দেখা যায় যে, নতুন পোপ নির্বাচনের ক্ষেত্রে কার্ডিনালরা সাধারণত একজন ইউরোপীয়, বিশেষ করে একজন ইতালিয়ান নাগরিককেই বেছে নেন। এখন পর্যন্ত নির্বাচিত ২৬৬ জন পোপের মধ্যে ২১৭ জনই এসেছেন ইতালি থেকে।

পোপ হওয়ার দৌড়ে এখন পর্যন্ত যারা এগিয়ে আছেন-

জঁ-মার্ক অ্যাভেলিন
৬৬ বছর বয়সী জঁ-মার্ক অ্যাভেলিন একজন ফরাসি নাগরিক। তিনি মার্সেইয়ের আর্চবিশপ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। স্থানীয় ক্যাথলিক মহলে তিনি ‘জন চতুর্বিংশ’ নামে পরিচিত। ১৯৬৯–এর দশকে গোলাকৃতির মুখের সংস্কারপন্থি পোপ জন ত্রয়োবিংশের সঙ্গে অ্যাভেলিনের চেহারার মিল রয়েছে। প্রয়াত পোপ ফ্রান্সিস একবার ব্যঙ্গ করে বলেছিলেন যে, জঁ-মার্ক অ্যাভেলিন সম্ভবত তার উত্তরসূরি হবেন।

অ্যাভেলিন বেশ সরল স্বভাবের। তিনি রসিকতা করতে পছন্দ করেন এবং পোপ ফ্রান্সিসের সঙ্গে তার আদর্শিক দিক থেকে বিশেষ করে অভিবাসন এবং মুসলিম বিশ্বের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে বেশ মিল রয়েছে। তিনি একজন বুদ্ধিজীবী হিসেবেও পরিচিত। দর্শনে ডিগ্রিধারী এই পণ্ডিত ধর্মতত্ত্বে পিএইচডি করেছেন।

কার্ডিনাল পিটাল এরদো
পোপ হওয়ার তালিকায় রয়েছেন কার্ডিনাল পিটাল এরদো। হাঙ্গেরির ৭২ বছর বয়সী এই কার্ডিনাল নতুন পোপ হিসেবে নির্বাচিত হলে তা হবে প্রত্যাশার চেয়ে বেশি কিছু। ২০১৩ সালে তিনি পোপ ফ্রান্সিসের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন। মন-মানসিকতায় তিনি কিছুটা রক্ষণশীল। তবে ফ্রান্সিসের উদার কর্মসূচির সঙ্গে তিনি তাল মিলিয়ে চলতে চেষ্টা করেছেন। তিনি ইতালীয় ভাষায় চমৎকার কথা বলতে পারেন। এর পাশাপাশি জার্মানি, ফরাসি, স্প্যানিশ ও রুশ ভাষাতেও তিনি কথা বলতে পারেন। একাধিক ইউরোপীয় ভাষা জানার কারণে তিনি পোপ হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন বলে মনে করা হয়।

কার্ডিনাল মারিও গ্রিচ
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) একটি ক্ষুদ্র দেশ মাল্টার ছোট দ্বীপ গোজোয় জন্মগ্রহণ করেন কার্ডিনাল মারিও গ্রেচ। তিনি একটি সাধারণ অবস্থান থেকে গুরুত্বপূর্ণ পদে পৌঁছেছেন। ৬৮ বছর বয়সী কার্ডিনালকে বিশপদের সিনডের মহাসচিব নিযুক্ত করেছিলেন পোপ ফ্রান্সিস। সিনডের মহাসচিব ভ্যাটিকানের বেশ গুরুত্বপূর্ণ পদ। শুরুর দিকে রক্ষণশীল থাকলেও পরে তিনি ফ্রান্সিসের সংস্কার কার্যক্রমের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিতে পরিণত হয়েছিলেন।

২০০৮ সালে মাল্টার বেশ কয়েকজন সমকামী নাগরিক ঘোষণা করেছিলেন যে তারা তৎকালীন পোপ বেনেডিক্টের এলজিবিটি বিরোধী অবস্থানের প্রতিবাদে চার্চ ত্যাগ করছেন। গ্রেচ সে সময় তাদের প্রতি খুব একটা সহানুভূতি প্রকাশ না করলেও ২০১৪ সালে ভ্যাটিকানে বক্তৃতা দিতে গিয়ে তিনি চার্চকে এলজিবিটি সদস্যদের প্রতি আরও বেশি গ্রহণযোগ্য হতে এবং সমসাময়িক পারিবারিক পরিস্থিতি মোকাবিলার নতুন উপায় খুঁজে বের করার জন্য সৃজনশীল হওয়ার আহ্বান জানান। পোপ ফ্রান্সিস তার এমন পদক্ষেপের প্রশংসা করেন এবং ভবিষ্যতে তার পদোন্নতির বিষয়টি গুরুত্ব দিয়েছেন।

কার্ডিনাল হুয়ান হোসে ওমেলা
স্পেনের বার্সেলোনার ৭৯ বছর বয়সী আর্চবিশপ কার্ডিনাল হুয়ান ওমেলা পোপ ফ্রান্সিসের খুবই পছন্দের একজন মানুষ। বিনয়ী এবং সদালাপী এই কার্ডিনাল উচ্চপদে থেকেও সাধারণ জীবনযাপন করেছেন। তিনি সামাজিক ন্যায়বিচার প্রচার করেছেন।

তিনি ২০২২ সালের এপ্রিলে ক্রাক্স নিউজ সাইটকে বলেন, আমাদের বাস্তবতা কেবল তাদের চোখ দিয়ে দেখতে হবে না যাদের কাছে সবচেয়ে বেশি সম্পদ আছে বরং দরিদ্রদের চোখ দিয়েও দেখতে হবে। তার এমন বক্তব্য বিশ্বের প্রতি পোপ ফ্রান্সিসের দৃষ্টিভঙ্গিরই প্রতিফলন ছিল।

তিনি ১৯৪৬ সালে উত্তর-পূর্ব স্পেনের ক্রেটাস গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭০ সালে ধর্মপ্রচারক হিসেবে নিযুক্ত হওয়ার পর তিনি বেশ কয়েকটি স্প্যানিশ প্যারিশে পুরোহিত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং কঙ্গো গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রেও এক বছর ধর্মপ্রচারক হিসেবে কাটিয়েছেন।

কার্ডিনাল পিয়েত্রো প্যারোলিন
প্যারোলিনকে প্রগতিশীল এবং রক্ষণশীলদের মধ্যে আপোষহীন প্রার্থী হিসেবে দেখা হয়। তিনি জীবনের বেশিরভাগ সময় চার্চের কূটনীতিক ছিলেন এবং ২০১৩ সাল থেকে পোপ ফ্রান্সিসের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এই পদটি প্রধানমন্ত্রীর মতো এবং ভ্যাটিকান শ্রেণিবিন্যাসে পোপের পরের স্থান বলে মনে করা হয়। নম্রভাষী প্যারোলিনের যাজক হিসেবে অভিজ্ঞতা কম। তবে তিনি বেশ কয়েকটি ভাষা জানেন। এটা তাকে পোপ হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে রাখবে বলে মনে করা হয়।

কার্ডিনাল পিটার কোডও অ্যাপিয়াহ টার্কসন
ঘানার একটি ছোট গ্রামে জন্মগ্রহণকারী কার্ডিনাল পিটার কোডও অ্যাপিয়াহ টার্কসনের দীর্ঘ যাজকীয় অভিজ্ঞতা রয়েছে। ভ্যাটিকানের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদে তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন। ৭৬ বছর বয়সী ভ্যাটিকানের এই কর্মকর্তার যোগাযোগে চমৎকার দক্ষতা রয়েছে। নির্বাচিত হলে সাব-সাহারা আফ্রিকা থেকে তিনিই হবেন প্রথম পোপ।

ত্তেও মারিয়া জুপ্পি
নতুন পোপ হওয়ার ক্ষেত্রে যাদের সম্ভাবনা রয়েছে, ইতালির নাগরিক মাত্তেও মারিয়া জুপ্পি তাদের মধ্যে এগিয়ে আছেন। পোপ ফ্রান্সিসের সঙ্গে ৬৯ বয়সী মাত্তেও মারিয়ার ঘনিষ্ঠতা ছিল। এ কারণে তাকে পোপ ফ্রান্সিসের পরবর্তী উত্তসূরি হিসেবে প্রথম সারিতে রাখা হয়েছে। ১৯৭৮ সালের পর ইতালি থেকে আর কোনো পোপ নির্বাচিত হননি।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত