শেরপুরে সৎ ভাইয়ের পরিবারের বিরুদ্ধে সালিশী জমি দখলের অভিযোগ

রফিক মজিদ, শেরপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২২ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৪৮ দুপুর

শেরপুরের শ্রীবরদীতে এক সৎ ভাইয়ের পরিবারের বিরুদ্ধে জোর করে জায়গা দখল করে ওয়াল নির্মাণ করার অভিযোগ উঠেছে। শ্রীবরদী পৌর শহরের উত্তর বাজার (সাতানী) এলাকার মৃত জমির উদ্দিনের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটেছে।
অভিযোগ উঠেছে, ওই বাড়ির মৃত জমির উদ্দিন আহমেদ এর প্রথম সংসারের পুত্র মৃত হামিদুর রহমানের ছেলে শাহরিয়া রহমান, তার মা ও বোন দ্বিতীয় সংসারের সন্তানদের ওয়ারিশকৃত জায়গা জোর করে দখল করে সেখানে ওয়াল নির্মাণ করছে।
অভিযোগ কারী শাহজাহান আনসারী বলেন, আমার বাবার নামে রেকর্ডকৃত এই জমিটি যার দাগ নং ১৭১৭ । আমার বাবা মৃত্যু হওয়ায় আমাদের দুই মা প্রথম পক্ষের ওয়ারিশ ১ ছেলে ও তিন মেয়ে। ২য় পক্ষে ১ ছেলে তিন মেয়ে এবং ২য় পক্ষের মা জীবিত থাকায় সেও ওয়ারিশ । প্রথম পক্ষের মা বাবার মৃত্যুর আগেই মারা যাওয়ার ওয়ারিশ হয় নি। এই সম্পত্তিতে একটি টিন শেডের ঘর ছিল । আমার বড় ভাই হামিদুর রহমান ও তার ৩ বোনের হিস্যাসহ ১৮২০ পয়েন্ট বাড়ির সামনের দিকে কিছু খাস জমিসহ নিয়ে বাসা করে। সামনের অংশ আমাদের ছিল। বর্তমানে ভাইয়ের পরিবার আমাদের পূর্বের ঘর ভেঙে, গাছ কেটে জোরপূর্বক ওয়াল নির্মাণ করছে।
এ বিষয়ে বাদী শাহজাহান আনসারী পক্ষ গত ২৪ মার্চ আদালতে ১৪৪ ধারা জারি করার আবেদন করলে আদালত আগামী ১৯ মে দুই পক্ষ কে আদালত হাজির হতে বলেছে। সেই সাথে শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষায় কোনরকম কাজ না করে যার যার অবস্থানে থাকার জন্য শ্রীবরদী থানা পুলিশ উভয় পক্ষকে অনুরোধ করেন।
এ ব্যাপারে শ্রীবরদী থানা পুলিশ দুই পক্ষ কে জমিতে যাওয়া নিষেধ করলেও তারা মিস্ত্রী দিয়ে নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন বলে বাদী বাদী শাহজাহান আনসারী অভিযোগ করেছেন।
অভিযুক্ত হামিদুর রহমানের স্ত্রী রাজিয়া সুলতানা এ ব্যাপারে কোন কথা বলতে রাজি হননি।
এ ব্যাপারে শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার জাহিদ বলেন, বিষয়টি নিয়ে বাদী আদালতে ১৪৪ ধারা জাতির আবেদন করলে আদালত থেকে স্থানীয় ভূমি অফিসকে ২০ কর্ম দিবসের মধ্যে সরজমিন তদন্ত সাপেক্ষে প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দেন। আদালতের সেই নোটিশ আমরা বিবাদীকে দিয়ে আসছিলাম এবং শান্তির শৃঙ্খলা রক্ষায় দুই পক্ষকে জমিতে না যাওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছিল। এরপরেও যদি নির্মাণ কাজ করতে থাকে তবে সেক্ষেত্রে বিষয়টা দেখবেন স্থানীয় ভূমি অফিস। ভূমি অফিস থেকে প্রতিবেদন পাঠালে আদালত পরবর্তী নির্দেশনা দিবে।