চোখের সংক্রমণে ঘরোয়া প্রতিকার

আরবান ডেস্ক
প্রকাশ : ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৩১ দুপুর

গরমে চোখে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা বেড়ে যায়। বিশেষ করে কনজাঙ্কটিভাইটিসের সংক্রমণ ঘটে এ সময়ে। মূলত ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়ার কারণে এই অসুখ হলেও কোনো কোনো ক্ষেত্রে ফুলের রেণু থেকে অ্যালার্জিও এই অসুখের কারণ।
ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, ক্ষতিকর ছত্রাকে চোখের মণির চারপাশে লাল রঙ ধরে। সেই সঙ্গে অনবরত পানি পড়া, জ¦ালা-যন্ত্রণা, পিচুটি, চুলকানি সব মিলিয়ে বড় কষ্টকর ব্যাপার! চিকিৎসাবিজ্ঞানে এই রোগেরই নাম কনজাঙ্কটিভাইটিস। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই প্রথমে এক চোখে সমস্যা শুরু হয়। পরে অন্য চোখেও সংক্রমণ ঘটে। চোখের সাদা অংশ ও মণির চারপাশই আক্রান্ত হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মানুষ এই রোগটিকে হাল্কাভাবে নেন। কিন্তু ঠিকমতো চিকিৎসা না হলে এই রোগ দীর্ঘমেয়াদি হতে পারে। বারবার হাত ধুলে, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকলে ঝুঁকি খানিকটা এড়ানো যায়। তবে একেবারেই এই রোগ হবে না, তা বলা যায় না। এই রোগ না হওয়ার কোনো ওষুধ কিংবা ভ্যাকসিন নেই। তাই সাবধানতাই একমাত্র পথ।
বাড়িতে কারও কনজাঙ্কটিভাইটিস হলে, তার ব্যবহার করা কোনো জিনিসপত্র, যেমন তোয়ালে, রুমাল, বিছানার চাদর ব্যবহার না করাই ভালো। আক্রান্তের থেকে দূরেই রাখতে হবে শিশুদের। অ্যাডিনোভাইরাসের সংক্রমণেও কনজাঙ্কটিভাইটিস হয়। কর্নিয়ায় ছোট ছোট দানা তৈরি হয়। যার ফলে দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে যায়, চোখ দিয়ে অনবরত পানি পড়তে থাকে, আঠালো তরল বার হয়, পিচুটি জমে যায় চোখে। সে ক্ষেত্রে নিজে থেকে আইড্রপ না দিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
কনজাঙ্কটিভাইটিস হলে চোখে বারবার পানির ঝাপটা দিতে পারেন। দিনে চার থেকে পাঁচ বার ঈষদুষ্ণ গরম পানিতে এক চিমটি লবণ দিয়ে সেই পানি তুলায় ভিজিয়ে চোখ পরিষ্কার করতে পারেন। তুলো চোখের ওপর রেখে গরম ভাপও নিতে পারেন। এতে আরাম পাওয়া যায়। বাইরে গেলে রোদচশমা পরা খুব জরুরি। আর বারবার চোখে হাত দেবেন না। সঙ্গে সব সময় পরিষ্কার রুমাল বা তুলা রাখতে হবে, সেটি দিয়ে চোখ পরিষ্কার করা। কনজাঙ্কটিভাইটিস হলে অ্যান্টিবায়োটিক ড্রপ ব্যবহার করা যেতে পারে, তবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে।