গারো পাহাড়ে বড়দিনের প্রস্তুতি
ক্লোডিয়া নকরেক কেয়া
প্রকাশ : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:০৫ দুপুর
শীত মাঝে এলো বড়দিন এলো বুঝি ওই ফিরে ,বাঙ্গালির ঘরে ঘরে কুয়াশারও জাল ছিড়ে এলো বুঝি ওই ফিরে। কুয়াশার জাল ছিড়ে উৎসবের আলো ছড়িয়ে ২৫ ডিসেম্বর গো-শালায় জন্ম নিবে ছোট্ট শিশু যীশু। তাই যীশুকে বরণ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে প্রতিটি খ্রিস্টান পরিবার আর এই প্রস্তুতির কমতি নেই গারো পাহাড়েও। প্রতিটি বাড়িতে বইছে উৎসবের আমেজ। কাজের সুবাদে যারা শহরে বিভিন্ন জায়গায় থাকে তারা পরিবারের সাথে বড়দিন উদযাপন করার জন্য বাড়ি আসতে শুরু করেছে পরিবারের বড় থেকে ছোট্ট ছেলে মেয়েরা কিনেছে নতুন জামা কাপড়।
নালিতাবাড়ির কয়েকটি গারো পল্লি ঘুরে দেখা গেছে বাড়ি ঘর আঙিনা সব চক চকে তক তকে করে সাজানো হচ্ছে রঙিন সাজে, বানানো হচ্ছে ছোট্ট যীশুকে বরণ করার জন্য গোশালা ঘর। গোশালা ঘরটি সাজানো হয় জেরুজালেম শহরের বেথেলহাম যেখানে গোয়াল ঘরে কুমারী মেরির কোলে যীশুর জন্ম হয়েছিল সেই আদলে। বারোমারি মিশনের প্রধান পুরোহিত ফাদার তরুন বনোয়ারি জানান এবার রোমান ক্যাথলিক সম্প্রদায়ের নালিতাবাড়ীতে ৩টি গীর্জায় বড়দিনের মূল আনুষ্ঠানিকতা হবে।
চার্চ অব বাংলাদেশ সম্প্রদায়ের পাদ্রি মৃদুল চাম্বুগং জানান দুটি গীর্জায় তাদের বড়দিনের মুল আনুষ্ঠানিকতা হবে। এছাড়াও জিবিসি, এজি এসব মন্ডলির বড়দিনের আনুষ্ঠানিকতা যার যার এলাকায় অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা যায়।
ইতোমধ্যে শেরপুর জেলার জেলা প্রশাসক এবং জেলা পুলিশ সুপার, শেরপুর জেলার খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের নেতাদের নিয়ে বড়দিন উদযাপন নিরাপদ করার লক্ষ্যে মতবিনিময় সভা করেছেন এবং বড়দিন উদযাপন যেন সুশৃঙ্খল এবং নিরাপদ হয় সে ব্যাপারে সকল সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।
পুলিশ সুপার সভায় বড়দিনে যাতে কোন পটকা, আতশ বাজি এবং ফানুস উড়ানো না হয় এবং নেশা জাতীয় দ্রব্য পরিবহন না করা হয় সে ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন। বড়দিন উদযাপনকে কেন্দ্র করে ভারত থেকে যেনো অবৈধভাবে কেউ প্রবেশ করতে না পারে সে ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।