গাইবান্ধায় লেপ-তোষক তৈরি কাজে ব্যস্ত কারিগর ধুনকররা
আসাদুজ্জামান রুবেল
প্রকাশ : ২৬ নভেম্বর ২০২৫, ০৫:১৮ বিকাল
_original_1764064876.jpg)
ঋতুচক্রের পরিক্রমায় ঘটেছে শীতের আগমন। শীত নিবারণে যদিও মানুষ এখন সারাবছরই শীতের লেপ বানিয়ে থাকেন। আবহাওয়া পরিবর্তনের সাথে সাথে এসব তৈরিতে মানুষ একটু বেশিই ঝুঁকে পড়েন। শীতের আগমনে গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার সর্বত্রই ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন লেপ-তোষক তৈরির কারি গর ধুনকররা।গত কয়েকদিনের ব্যবধানে শীতের তীব্রতা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি অব্যাহত। শীত আগমনের সাথে উপজেলা শহর ছাড়াও প্রত্যন্তপল্লী এলাকায় লেপ-তোষক তৈরিতে ধুনকররা ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার ও জনসমাগম চিহিৃতপয়েন্ট সমূহে বিক্রির জন্য লেপ-তোষক তৈরি করে মজুদ করেছেন ধুনকররা।তৈরি এবং একইসাথে বিক্রিও করছেন বেশ ভালোই। প্রতিবছর নভেম্বর মাস থেকেই লেপ-তোষকের এসব দোকানে ক্রেতাসাধারণের পদচারণার ভীড় বৃদ্ধি পেতেথাকে।ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে জানুয়ারি মাস পর্যন্ত লেপ-তোষক বিক্রির মৌসুম চলে বেশ
জমজমাট। কেউ কেউ দোকানে বসে আবার অনেক ধুনকর গ্রামে-গ্রামে ঘুরে পুরাতন
লেপ-তোষক নতুন করে তৈরী করে দিয়ে থাকেন। পলাশবাড়ী পৌরশহরের এসএম হাইস্কুল মার্কেট দ্বিতল ভবনে,উপজেলা পরিষদ চত্বরের টাউন হল বারান্দা ছাড়াও উপজেলার ঢোলভাঙ্গা,মাঠের হাট,কোমরপুর,ফরিকহাট,তালুকজামি
রওশন মিয়া জানান,কয়েক বছর ধরে উপজেলা সদরের টাউনহলের বারান্দায় লেপ-তোষক তৈরির কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছি। গত বছর গুলোয় লেপ-তোষকের চাহিদা একটু বেশিই ছিল। শীত মৌসুম শুরুতে কাজের চাপ অনেকটা বেশী। তিনি আরো জানান, এবছর লেপের কাপড় ৫০-৭০ টাকা ও তোষকের কাপড় ৫৫-১২০ টাকা গজ।গার্মেন্টস্ তুলা প্রতি কেজব ৫০-১৬০ এবং শিমুল তুলা ৪০০ টাকা।লেপের মজুরী ৩০০-৪০০ টাকা
এবং তোষক ২৫০-৩০০ টাকা।এজন্য তৈরি লেপ-তোষক বিক্রি করে আগের মত আর লাভ হয় না।এখন অনেকেই নতুন লেপ-তোষক তৈরি করে নেয়ার পাশাপাশি পুরাতন লেপ নতুন করে তৈরি করে নিচ্ছেন অনেকেই। শীতের আগমনে অনেক পরিবারই তাদের পুরনোলেপ-তোষক খুলে তুলা পরিস্কার তথা ধুনিয়ে নতুন কাপড় দিয়ে তৈরি করাচ্ছেন।
পৌরশহরের শিমুলিয়া গ্রামের বেবী বেগম,পৌর-শহরের আছিয়া বেগম, জগদীশ রায় বলেন,নতুন লেপ তৈরিতে এখন মোটা অংকের টাকা লাগে। এজন্য পুরাতন লেপের তুলার সাথে প্রয়োজনীয়
নতুন তুলা মিশিয়ে লেপ তৈরি করে নিচ্ছি।এতে করে ব্যয় অনেকটা সাশ্রয় হয়। লেপ-তোষকের কাপড়ের দাম বৃদ্ধির সাথে ধুনকর-দের মজুরীও বেড়ে গেছে বেশ।তুলা-সুতা,কাপড়ের উচ্চমূল্য এবং কারিগরদের মজুরি মিলিয়ে গত বছরের তুলনায় এবার ব্যয় অনেকটা বেশি। এজন্য লেপ-তোষকের দামও বেড়ে গেছে। ক্রেতারা নতুন অর্ডারে নিরুৎসাহিত হয়ে বিকল্প পথ খুঁজছেন।
পলাশবাড়ী পৌরশহরের মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের সামনে লেপ-তোষক বিক্রেতা রাজু মিয়া জানান, বর্তমানে তুলার দাম আগের চেয়ে অনেক বেশি। আগে যে মূল্যে লেপ-তোষক বিক্রি করতাম বর্তমানে তা বিক্রি হচ্ছে অনেক বেশী দামে। তাই অনেকেই শীত নিবারণের জন্য লেপের বদলে ্ক্ম্ব্ল কিনছেন। বাজারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে দেশী-বিদেশী নানা রংবেরঙের কম্বল পাওয়া যাচ্ছে।কিছু কিছু চায়না কম্বল তুলনামূলক দাম সহনীয়পর্যায় হওয়ায় চাহিদা ক্রমেই বাড়ছে।

_medium_1764218292.jpg)
_medium_1764064423.jpg)
_medium_1764155571.jpg)
_medium_1764155496.jpg)


