রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫, ২৭ আশ্বিন ১৪৩২
শিরোনাম

কে হচ্ছেন জামায়াতের নতুন আমির


  আরবান ডেস্ক

প্রকাশ :  ১১ অক্টোবর ২০২৫, ১০:৫৪ দুপুর

জামায়াতে ইসলামীতে নতুন আমির নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হতে যাচ্ছে। বর্তমান আমির ডা. শফিকুর রহমানের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ডিসেম্বর মাসে। দলীয় গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, প্রতি তিন বছর পরপর এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এবারও সেই নিয়মে ১৫ অক্টোবর থেকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে ভোটগ্রহণ। দেশজুড়ে থাকা জামায়াতের এক লাখ পাঁচ হাজারের বেশি রুকন (সদস্য) গোপন ভোটের মাধ্যমে নতুন আমির নির্বাচন করবেন।
 
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, এবার আমির নির্বাচনে আলোচনায় রয়েছেন পাঁচজন নেতা, বর্তমান আমির ডা. শফিকুর রহমান, সিনিয়র নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ এবং সাবেক ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম আজহারুল ইসলাম।
 
জামায়াতের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, ভোট শুরুর আগে কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরার সদস্যরা তিনজনের একটি সম্ভাব্য প্যানেল নির্ধারণ করবেন। সাধারণত ওই প্যানেল থেকেই একজন নির্বাচিত হন, যদিও রুকনরা চাইলে প্যানেলের বাইরে থেকেও কাউকে ভোট দিতে পারেন। প্যানেলের নাম ভোট শুরুর আগে পর্যন্ত গোপন রাখা হয়। প্রতিটি জেলায় দলীয় নির্বাচন কমিশনের তত্ত্বাবধানে ভোট অনুষ্ঠিত হবে, যা চলবে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত। এরপর গণনা ও অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা শেষে ফলাফল ঘোষণা করা হবে। নভেম্বরেই নতুন আমির শপথ নেবেন বলে জানা গেছে।

 
দলীয় গঠনতন্ত্রের ১৫ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে, আমির নির্বাচনের জন্য বিদায়ী কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরার সদস্যরা তিনজনের একটি প্যানেল মনোনয়ন দেবেন, তবে রুকনরা চাইলে অন্য কাউকেও ভোট দিতে পারবেন। নির্বাচিত ব্যক্তি প্রধান নির্বাচন কমিশনারের উপস্থিতিতে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সামনে শপথ গ্রহণ করবেন।
 
জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও মিডিয়া বিভাগের প্রধান অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের জানান, “এবার ২০২৬-২০২৮ মেয়াদের জন্য নতুন আমির নির্বাচিত হবেন। এখানে নির্দিষ্ট প্রার্থী থাকে না। মজলিসে শুরা মনোনীত তিন সদস্যের প্যানেল ঘোষণা করা হবে, আর রুকনরা তাদের মধ্য থেকে বা বাইরে থেকে কাউকে বেছে নিতে পারবেন।”
 
দলীয় অভ্যন্তরীণ সূত্রে জানা গেছে, বর্তমান আমির ডা. শফিকুর রহমান মাঠপর্যায়ে সক্রিয়তা, সিদ্ধান্ত গ্রহণে গতি ও মানবিক আচরণের কারণে দলের রুকন ও সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। বিশেষ করে গত বছরের ৫ আগস্টের পর দলীয় কর্মকাণ্ডে তাঁর ভূমিকা প্রশংসিত হয়েছে। তাঁর নেতৃত্বে দলের সাংগঠনিক অবস্থা আগের চেয়ে সুদৃঢ় হয়েছে, ফলে অনেকেই ধারণা করছেন তিনি এবারও নির্বাচিত হতে পারেন।
 
তবে বিকল্প হিসেবে সাবেক ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম আজহারুল ইসলামের প্রতিও দলের কিছু অংশের সহানুভূতি রয়েছে। তিনি দীর্ঘ কারাবাসের পর সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছেন।
 
উল্লেখ্য, ডা. শফিকুর রহমান প্রথমবার ২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর জামায়াতের আমির নির্বাচিত হন এবং ২০২০ সালের ৫ ডিসেম্বর শপথ নেন। ২০২২ সালের ২৭ অক্টোবর তিনি দ্বিতীয় মেয়াদে পুনর্নির্বাচিত হন। এবার নির্বাচিত হলে এটি হবে তাঁর টানা তৃতীয় মেয়াদ।
 
সূত্র- বাংলাদেশ প্রতিদিন
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত