মোহনগঞ্জে নারীকে হিপ্রোটাইস করে স্বর্ণ রুপা লুট

মোঃ হাসান খান
প্রকাশ : ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ০১:৪৯ দুপুর
_original_1745727139.jpg)
নেত্রকোণার মোহনগঞ্জের পৌর শহরে পরিবারের এক নারী সদস্যকে অজ্ঞান করে স্বর্ণ রূপার লুটের ঘটনা ঘটেছে।
শিক্ষা জরিপের তথ্য সংগ্রহের কথা বলে বাড়িতে ঢুকে। গৃহীনিকে অজ্ঞান করে চার ভরি স্বর্ণের অলংকার ও পাঁচ ভরি রূপার অলংকার লুট করে নিয়ে গেছে। ধারণা করা হচ্ছে তারা অজ্ঞান পার্টির দুই নারী সদস্য।
শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) দুপুর ১টা থেকে দেড়টার দিকে পৌরসভার মাইলোড়া ঈশ্বর শাহর বাড়ীর নূরউত্তম রায়ের স্ত্রী সোমা রায় (৩৫) এর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে ভুক্তভোগী সোমা রানী রায় জানান, দুইজন মহিলা একজন একটু বেশি বয়সের আরেকজন একটু কম বয়সের। একজনের পড়নে থ্রী পিছ আরেকজনের পড়নে শাড়ী পড়া ছিল। তাদের বয়স ২৫ থেকে ২৬ বছর হবে। একজন হিন্দু ধর্মের আরেকজন বোরকা পড়া অবস্থায় ছিল। আমি বাসার সামনে ছিলাম তারা আমাকে এসে বলে আমরা শিক্ষা জরিপের তথ্য সংগ্রহ করতে এসেছি। তখন আমার সামনে থ্রী পিছ পড়া নারী তার পড়নের ওড়না ঝাড়া দেয় সাথে সাথেই আমার চোখের মাঝে কি একটা পদার্থ পড়ে যায়। পরে বাসার ভিতরে ঢুকে প্রথমেই আমাকে জিজ্ঞেস করে আপনার কোনো স্বর্ণের জিনিস নেই আমি বলি আছে। তখন তারা বলে কোথায় আমি বলি বালিশের ভিতরে। পরে বালিশটি তারা ছুরি দিয়ে কেটে চার ভরি স্বর্ণের গলার চেইন তিনটি, ছয়টি কানের দুল, দুইটি কানের টানা, হাতের একটি ব্রেসলেট, গলার একটি নেকলেস, হাতের পলা দুইটি, হাতের বাওতি একটি এবং পাঁচ ভরি রুপার এক জোড়া নূপুর নিয়ে চলে যায়।
পরে তার ছেলে বাথরুম থেকে এসে দেখে তার মা সোমা রানী রায় অচেতন অবস্থায় পড়ে আছে। পরে ডাকাডাকি করার এক পর্যায়ে অন্য বাসার লোকজন এসে সোমা রানীকে মাথায় পানি দিয়ে সুস্থ করে তুলেন।
নুরউত্তম রায় এর বড় ভাই উত্তম রায় বলেন, আমারা বাড়িতে ছিলাম না। ময়মনসিংহ থেকে এসে দেখি সোমা রানী রায়কে অজ্ঞান করে বালিশ কেটে বালিশের ভিতর থেকে স্বর্ণের অলংকার লুট করে নিয়ে গেছে দুইজন নারী সদস্য।
স্থানীয় বাসিন্দা টিপু সুলতান বলেন, এটি একটি অনেক বড় ঘটনা। প্রশাসনের উচিত তদন্ত করে অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার জোর দাবি জানাচ্ছি। যাতে পরবর্তীতে এমন ঘটনা আর না ঘটে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সত্যতা নিশ্চিত করেন মোহনগঞ্জ থানা উপপরিদর্শক (এসআই) মো. রবিউল আওয়াল জানান, খবর পেয়ে ভুক্তভোগীর সোমা রানী রায়ের বাড়ি পরিদর্শন করা হয়েছে। দুইটি মহিলা এসে সোমা রানী রায়কে ডেকে বলে আমরা জরিপের কাজে আসছি। তখন সোমা রানী তাদের কাছাকাছি যেতেই ওড়না ঝাড়া দিতেই কিছু একটি পদার্থ তার নাকে যেতেই সে হিপ্রোটাইস হয়ে যায়।
মোহনগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আমিনুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে থানায় এখনো অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। (এসআই) রবিউল আওয়াল ঘটনাস্থলে গিয়েছিল। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।