শেরপুরে অসুস্থ নেতা-কর্মীদের বাড়িতে গিয়ে খোঁজ-খবর নিচ্ছেন বিএনপি নেতা রুবেল

রফিক মজিদ, শেরপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৫ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:০৩ বিকাল

শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার গৌরিপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ও সাবেক ইউপি সদস্য মো. তোফাজ্জল হোসেন (৭৫)। তিনি বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এমন সংবাদ পেয়ে এ ইউনিয়নের ভারুয়া গ্রামে ওই নেতার বাড়িতে ছুটে যান বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও শেরপুর-৩ (শ্রীবরদী-ঝিনাইগাতি) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মো. মাহমুদুল হক রুবেল।
শুধু তোফাজ্জল নই, গত রমজান মাস থেকে শুরু করে এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত তোফাজ্জলের মতো তার নির্বাচনী এলাকায় বিভিন্ন ইউনিয়নের অর্ধশতাধিক অসুস্থ নেতা-কর্মীর বাড়িতে গিয়ে তাদের খোঁজ-খবর নেন তিনি। একই সঙ্গে তাদেরকে উন্নত চিকিৎনার জন্যে পরামর্শের পাশাপাশি আর্থিক সহায়তাও প্রদান করেন বিএনপির এ নেতা। এছাড়া বিভিন্ন এলাকায় মৃত্যুবরণকারী নেতা-কর্মী বা তাদের আত্মীয় স্বজনদের কবর জিয়ারত করে পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানান তিনি।
এবার রমজান মাসে তার নির্বাচনী দুই উপজেলার অন্তত ২৫টি স্থানে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের সম্মানে আয়োজিত ইফতার ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন সাবেক এ সংসদ সদস্য।
ঝিনাইগাতী উপজেলার গৌরিপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো. আব্দুল করিম বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ হয়ে পড়ে আছি। শুক্রবার (৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় সাবেক এমপি রুবেল আমার খোঁজ-খবর নিতে বাড়ি আসেন। শুনাম ওনি আরও অনেক অসুস্থ নেতা-কর্মীদের বাড়ি যাচ্ছে। তার এমন কাজে জিমিয়ে পড়া তৃণমূলের নেতা-কর্মীরদের মাঝে উচ্ছ্বাস জাগছে।
শ্রীরবদী উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মামুন দুলাল বলেন, সম্প্রতি শ্রীরবদী উপজেলায় কমপক্ষে ৩০ জন অসুস্থ নেতা-কর্মীদের বাড়িতে গিয়ে তাদের খোঁজ-খবরসহ চিকিৎসা সহায়তা দিয়েছেন। পাশাপাশি বিভিন্ন সময়ে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের কবর জিয়ারতসহ তাদের পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানিয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য রুবেল সাহেব।
বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য মো. মাহমুদুল হক রুবেল বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকারের অত্যাচারে হাট-বাজারের কোন চায়ের দোকানে বসে চাও খেতে পারি নাই। তৃণমূল কর্মীরা স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে বহু কর্মীকে মিথ্যা মামলায় কারাবরণও করতে হয়েছে। এছাড়া নানাভাবে হয়রানির স্বীকার হয়েছেন অনেক কর্মী।’
তিনি আরও বলেন, স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকারের পুলিশ বাহিনীর বাঁধার জন্যে বিভিন্ন এলাকায় জানাযা নামাজেও অংশগ্রহণ করতে পারি নাই। তাই তাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে এসব ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনাসহ পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি। এছাড়া অনেক নেতা-কর্মী অসুস্থ হয়ে পড়ে থাকায় তাদেও খোঁজ-খবর নিতেও বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন বিএনপির এ নেতা। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ত্যাগী নেতাদের ও তাদের পরিবারকেও যথাযথ মূল্যায়ন করা হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।