বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২২ মাঘ ১৪৩১
শিরোনাম

ফিলিস্তিনিদের শতাধিক ভবন গুঁড়িয়ে দিল ইসরায়েল


  আরবান ডেস্ক

প্রকাশ :  ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০১:৪২ দুপুর

ছবি: সংগৃহীত

অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড পশ্চিম তীরের জেনিনে এবার শতাধিক ভবন গুঁড়িয়ে দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। গতকাল রোববার এই অভিযান চালায় ইসরায়েল। দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইসরায়েল কাতজের সরাসরি তত্ত্বাবধানে এই অভিযান চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। 

লেবাননের সংবাদমাধ্যম আল-মায়েদিন জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনী রোববার বলেছে, তারা জেনিনে ১০০ টির বেশি ভবন ধ্বংস করেছে। এই ব্যাপক ধ্বংস অভিযান পশ্চিম তীরের দখলকৃত অঞ্চলে চলমান সামরিক অভিযানের অংশ। এই অভিযানে এরই মধ্যে ফিলিস্তিনিদের ব্যাপক অবকাঠামোগত ক্ষতি হয়েছে এবং বিপুল পরিমাণ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। 

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, জেনিনে এই প্রথম এমন ধ্বংস অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইসরায়েল কাতজের সরাসরি তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয়েছে।

ফিলিস্তিনি গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী রোববার জেনিন শরণার্থীশিবিরে একাধিক ভবনে হামলা চালায়। স্থানীয় সূত্রগুলো জানিয়েছে, শিবিরের পূর্ব অংশের প্রায় ২০টি ভবনকে বিস্ফোরক দিয়ে একযোগে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। জেনিনের সরকারি হাসপাতালের পরিচালক ডা. উইসাম বাকর ওয়াফা সংবাদ সংস্থাকে নিশ্চিত করেছেন যে, বিস্ফোরণে কারণে হাসপাতালের কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তবে হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। 

জেনিন শরণার্থীশিবিরে বহুতল আবাসিক ভবন ধ্বংস করার ফলে অনেক পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়েছে। এটি আগে থেকে চলা মানবিক সংকটকে আরও গভীরতর করেছে। ইসরায়েলি বাহিনী ১৩ দিন ধরে জেনিন এবং এর শরণার্থীশিবিরে সামরিক আক্রমণ চালাচ্ছে। এর ফলে এখন পর্যন্ত ২৫ জন নিহত, বিপুলসংখ্যক ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন। এ ছাড়া গ্রেপ্তার করা হয়েছে অনেককে এবং বিপুল পরিমাণ অবকাঠামো ধ্বংস করা হয়েছে।

গতকাল রোববার সকালে এক ইসরায়েলি স্নাইপার জেনিন শরণার্থীশিবিরের প্রবেশমুখে ৭৩ বছর বয়সী ওয়ালিদ আল-লাহলুহকে হত্যা করে। অন্যদিকে আল-জাব্রিয়াত এলাকার আরেক ফিলিস্তিনিকে ঊরুতে গুলি করে আহত করে ইসরায়েলিরা।

তার আগে, গত শনিবার পূর্ব জেনিন এবং কাবাতিয়া শহরের দক্ষিণাংশে পাঁচ ফিলিস্তিনি নিহত হয় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায়। নিহতদের মধ্যে এক শিশুও ছিল। জেনিন শরণার্থীশিবির এবং আল-হাদাফ এলাকায় প্রায় ১৫ হাজার মানুষকে জোর করে তাদের বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করা হয়েছে।

জেনিনের হাসপাতালগুলোও একটি মারাত্মক পানির সংকটের মুখোমুখি। কারণ, ইসরায়েলি বাহিনী পানি সরবরাহ লাইনের ওপর আক্রমণ করে ধ্বংস করে দিয়েছে। ফলে শহরের ৩৫ শতাংশ জনগণ পানি বঞ্চিত হয়ে পড়েছে। 

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত