ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৪, ৩১ আশ্বিন ১৪৩১
শিরোনাম

নেত্রকোনার খালিয়াজুরীতে বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষে নারী-পুরুষসহ আহত ৮


  মো: আরিফুল ইসলাম

প্রকাশ :  ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:৪৩ বিকাল

নেত্রকোনার খালিয়াজুরী উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে উপজেলা বিএনপির দু'পক্ষের সংঘর্ষে উপজেলার কৃষ্ণপুর এলাকায় ৮ জন আহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে কৃষ্ণপুর বাজারে মো. কায়েস মিয়ার লোকজনের সঙ্গে তারেক মিজান গ্রুপের লোকজনের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত কাল মঙ্গলবার কৃষি কমিটি গঠন নিয়ে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষ সংঘর্ষে লিপ্ত হয় । এতে উভয়পক্ষই লাঠিসোটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এই ঘটনায় শুক্কুর আলী এক পর্যায়ে একটি ভবনের বেড়িয়ে থাকা রড ও তারাকাটার উপর গিয়ে পড়লে পরলে বাম পায়ে আঘাতপ্রাপ্ত হন। এছাড়াও উভয়পক্ষের ৮ জন আহত হন। আহতরা খালিয়াজুরী হাসপাতালে ভর্তি হন। তবে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

আহত ব্যক্তিরা হলেন, কৃষ্ণপুর গ্রামের আলী হোসেনের ছেলে হাসাইন (১৯) ও ফাহিম মিয়া (১৫), সোহাগ মিয়ার ছেলে রফিকুল ইসলাম (১৬), মহসিন মিয়ার ছেলে হাসিম (১৫), মৃত কনা মিয়ার ছেলে ফজল আমিন (৩৫), আক্কল আলীর ছেলে শুক্কর আলী (৪২), আ. হাসিমের ছেলে মো. রুবেল মিয়া (৩২) এবং মতিউর রহমানের স্ত্রী নাপিয়া বেগম (৩৫)।

এ বিষয়ে আহত শুক্কর আলী বলেন, আমি এ বিষয়ে অবগত নই। হঠাৎ করে কায়েস মিয়ার লোকজন নিয়ে রাত সাড়ে ১১টার দিকে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমার বাড়িতে আক্রমণ করে এবং আমার লোকজনকে মারধর ও বাড়িঘর ভাংচুর করে তারা।

অন্যপক্ষ মো. কায়েস মিয়া জানায়, কৃষি কমিটি গঠন করতে দুপক্ষের বাকবিতণ্ডার জেরে এমন সংঘর্ষ হয়েছে। তবে উভয়পক্ষই আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে। আমি এলাকায় নানান অনিয়মের প্রতিবাদ করায় ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি তারেক মিজান ও সম্পাদক এনামুল হক সোহেল আমাকে প্রতিপক্ষ মনে করে। আর একারণেই আমার লোকজনের ওপর উদ্দেশ হামলা করা হয়েছে । আমি এই হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। 

খালিয়াজুরী উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মো. এনামুল হক ছোটন বলেন, ছোট একটি বিষয় নিয়ে এমন ঘটনা দুঃখজনক। এ বিষয়ে খালিয়াজুরী বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক মো. মাহবুবুর রহমান কেস্ট জানান, এমন একটি ঘটনা শুনেছি। দলের অন্যদের সাথে কথা বলব, যাতে এমন ধরনের কোনো ঘটনা না ঘটে এবং স্থানীয়ভাবে বসে মীমাংসা করে দেব। 

খালিয়াজুরী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মকবুল হোসেন জানান, হাসপাতালে আহত রোগীদের দেখতে গিয়েছিলাম। তবে এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। কেউ যদি লিখিত অভিযোগ করেন তাহলে তদন্তসাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত