ঢাকা, বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ৩১ আশ্বিন ১৪৩১
শিরোনাম

ডেঙ্গু প্রতিরোধে বিএনপি নেতাকর্মীরা মাঠে, সরকারকেও বড় উদ্যোগ নিতে হবে: রিজভী


  আরবান ডেস্ক

প্রকাশ :  ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:১৫ বিকাল

সোমবার দুপুরে ঢাকা নয়াপল্টনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সরকারকে আহ্বান জানিয়ে বলেন ডেঙ্গু প্রতিরোধে বিএনপির নেতাকর্মীরা মাঠে কাজ করছে। সরকারকে আরও বেশি উদ্যোগ নিতে হবে।

রিজভী বলেন, আমরা ইতোমধ্যে ডেঙ্গু মোকাবিলার কাজ শুরু করেছি। আমাদের চিকিৎসকরাও কাজ শুরু করেছেন। গত সিটি করপোরেশনে মেয়র পদে ধানের শীষের প্রার্থী তাবিথ আউয়াল ও ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন ডেঙ্গু সচেতনতায় কাজ করে যাচ্ছেন। ডেঙ্গু রোগীদের জন্য নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ব্লাড সংগ্রহের কাজ শুরু হয়েছে। এছাড়াও ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা সহায়তায় হটলাইন চালু করা হয়েছে।

তিনি বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে বিএনপিপন্থি চিকিৎসকরা যেমন ছাত্র আন্দোলনে আহতদের পাশে দাঁড়িয়েছেন, তেমনি ডেঙ্গু আক্রান্ত নগরবাসীসহ দেশবাসীর পক্ষে দাঁড়িয়েছেন। এই জন্য সরকারকেও বড় উদ্যোগ নিতে হবে। 

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, স্বৈরাচারের আমলে যেসব সরঞ্জামাদি কেনা হয়েছিল তা নিম্নমানের। করোনার সময়ে আমরা দেখেছি এ ঘটনা। টাকা আত্মসাৎ করেছে ফ্যাসিস্ট সরকার। দেশের হাতেগোনা কয়েকটি হাসপাতালে অক্সিজেন ছিল। অক্সিজেন না পেয়ে মানুষকে কাতরাতে দেখেছি। মাস্ক থেকে শুরু করে সব মেশিনারিজ অত্যন্ত নিম্নমানের ছিল। করোনার সময়ে অনেকের চাকরি চলে গেছে। তাদের পুনর্বাসন নিয়ে ভাবা হয়নি। কিন্তু অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তো জনবান্ধব, এই সরকারের উচিত ছিল ডেঙ্গু প্রতিরোধে আরও সক্রিয় হওয়া। ডেঙ্গু পুরনো একটি রোগ, এজন্য আগাম প্রতিরোধের ব্যবস্থা নেওয়া দরকার ছিল। ফ্যাসিবাদী আমল থেকেই বেসরকারি উদ্যোগে বিএনপি ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প করে সেবা দিয়ে আসছে। জনসমর্থিত সরকার হয়ে ডেঙ্গুতে জীবনহানি ঠেকাতে সরকার কী কী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিল?

রিজভী আরও বলেন ,আমরা কয়টা ফ্লাইওভার করলাম, তাতে মানুষের জীবন বাঁচবে না। মানুষের জীবন বাঁচাতে যেসব কাজ করা দরকার আগের স্বৈরশাসক তা করেনি। সামর্থ্য অনুযায়ী আমরা করে যাচ্ছি। ডেঙ্গুর প্রকোপ না কমা পর্যন্ত জনসচেতনতা ও সেবামূলক কার্যক্রম আরও বেগবান করা হবে।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বয়স দুই মাসের বেশি হয়ে গেছে উল্লে­খ করে তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি, জনগণের ক্ষমতা জনগণের হাতে ফিরে আসবে। নির্বাচিত সরকারই একমাত্র জনগণের জন্য কাজ করতে পারে। যেখানে মানুষের বেঁচে থাকার প্রশ্ন, সেখানে নির্বাচিত সরকার কাজ করতে পারে। বন্যায় সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে ব্যাপক কাজ হয়েছে।’

সংবাদ সম্মেলনে তাবিথ আউয়াল বলেন, ডেঙ্গু বা এডিস মশা নিয়ে আমরা সবাই দলগত ও সামাজিকভাবে বেশ চিন্তিত। এই অবস্থায় জনগণকে সহযোগিতা করতে আমার নানা কর্মসূচি করছি, তা চলমান থাকবে। পাশাপাশি আরও যে নতুন নতুন আইডিয়া পাবো- বিশেষ করে চিকিৎসক, দলীয় নেতাকর্মীদের কাছ থেকে তা-ও এই কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করব। জাসাসও মানুষের মাঝে সচেতনতা বাড়াতে তাদের শিল্পীদের নিয়ে গান পরিবেশন করবে। 

ইশরাক হোসেন বলেন, ডেঙ্গু সচেতনতায় দুই সপ্তাহ ধরে আমরা নগরবাসীকে সচেতন করার জন্য বিভিন্ন লিফলেট বিতরণ করে যাচ্ছি। সেই সঙ্গে এডিস লার্ভা ধ্বংস করার জন্যও কার্যক্রম হাতে নিয়েছি।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট আবদুল সালাম আজাদ, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর শরাফত আলী সপু প্রমুখ।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত