ঢাকা, বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ৩১ আশ্বিন ১৪৩১
শিরোনাম

নেত্রকোণার দূর্গাপুরে প্রায় শত কোটি টাকার আমন ধানের ক্ষতি, নি:স্ব কৃষক


  মো: আরিফুল ইসলাম

প্রকাশ :  ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:৫২ বিকাল

গত কয়েকদিন ধরে ঢল ও বৃষ্টিপাত বন্ধ থাকায় নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলায় গত কয়েকদিন ধরে পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টিপাত না হওয়াই সোমেশ্বরী নদীর পানি দ্রুত কমতে শুরু করেছে। নিম্নাঞ্চলের পানি ধীরে ধীরে নামার সাথে সাথেই ভেসে উঠছে ফসলি জমির ক্ষয়ক্ষতির চিত্র। এবার ঢলের পানিতে তলিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাড়ি-ঘর, রাস্তা-ঘাট সহ বাদ যায়নি পুকুরের মাছ। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আমন ধানের।

উপজেলা কৃষি অফিসে তথ্য মতে, চলতি মৌসুমে ঢলের পানিতে তলিয়ে গিয়েছিল প্রায় ১০ হাজার হেক্টর জমি। তার মধ্যে পানি কমে তিন হাজার হেক্টর জমির ধান রক্ষা পেলেও পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সাত হাজার হেক্টর রোপা আমন ধান। সরকারি হিসাবে যার মূল্য দাঁড়িয়েছে প্রায় ৯৭ কোটি টাকা। মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলা কৃষি অফিসার নিপা বিশ্বাস এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি আরও জানান, উপজেলার সাতটি ইউনিয়নে এ বছর ষোল হাজার চারশত বিশ হেক্টর জমিতে আমন ধানের আবাদ করা হয়। এর মধ্যে পাঁচটি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলে ঢলের পানিতে তলিয়ে পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৭ হাজার হেক্টর আমন ক্ষেত ও ৫০ হেক্টর জমির শাকসবজি।

গাওকান্দিয়া গ্রামের সাইদুল ইসলাম বলেন, ধান ক্ষেত সব পঁচে গেছে, যা আছে এখনো তা পানির নিচে। ঢল আমাদের নি:স্ব করে দিয়ে গেছে।

একই ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামের জলিল মিয়া বলেন, জমি কইরাই পোলাপান গুলারে লইয়া বাঁইচা আছি। এহন পানিতে তো সব শেষ, কি হইবো আমাদের আল্লাহই জানেন।

গাঁওকান্দিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য (প্যানেল চেয়ারম্যান) নুরুল আমীন বলেন, ঢলের পর বাড়িঘর ও আমন ক্ষেত থেকে ধীরে ধীরে পানি কমতেছে, কিন্ত আশ-পাশে যে ক্ষতি হয়েছে তা গত পাঁচ বছরেও পুষিয়ে নেওয়া যাবে না। ক্ষেতে যা ধান আছে সবই নষ্ট হয়ে গেছে।

দুর্গাপুরের উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন ,সাম্প্রতিক অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে এই উপজেলায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আমন ধানের। সরকার কৃষি বিভাগের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদেরকে প্রণোদনার মাধ্যমে সহযোগীতা আওতায় আনা হবে

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত