জামালপুরে অপরাধী সংশোধন ও পুনর্বাসন সমিতির প্রশিক্ষণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত

মো: খোরশেদ আলম, স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ : ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:৫৭ দুপুর

অপরাধী সংশোধন ও পুনর্বাসন সমিতি ও প্রবেশন অফিসারের কার্যালয়, জামালপুর কর্তৃক আয়োজিত “কাউন্সেলিং, ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষা এবং জীবন দক্ষতা উন্নয়ন” শীর্ষক প্রশিক্ষণ-২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে আজ মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) শহর সমাজসেবা কার্যালয়, দেওয়ানপাড়ায়।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোঃ গোলাম মোস্তফা, উপসচিব।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মোঃ রোকোনুল ইসলাম, উপপরিচালক, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়, জামালপুর। উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জামালপুর জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার সৈয়দ রফিকুল ইসলাম, পিপিএম সেবা।
অনুষ্ঠান সঞ্চানালয়ে ছিলেন শহর সমাজসেবা অফিসার মো: ফারুক মিয়া। শহর সমাজসেবা অফিসার ফারুক মিয়া বলেন, অপরাধী সংশোধন ও পুনর্বাসন সমিতি জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের অধীনে পরিচালিত হয়। এটি সমাজসেবা অধিদপ্তরের একটি শাখা, যা অপরাধী ও ঝুঁকিপূর্ণ শিশুদের সংশোধন ও সমাজে পুনর্বাসনের লক্ষ্যে কাজ করছে। কোর্টের মাধ্যমে দণ্ড স্থগিত রেখে প্রবেশনের মাধ্যমে তাদের এখানে পাঠানো হয়, যাতে তারা নতুন করে জীবনে ফিরে আসতে পারে।
জামালপুর জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার সৈয়দ রফিকুল ইসলাম পিপিএম সেবা মহোদয় তার বক্তব্যে বলেন, “যে অপরাধ সমাজকে প্রভাবিত করে, সেগুলোই সামাজিক অপরাধ। একটি অপরাধ সমাজকে কলুষিত করে তুললে তার প্রভাবে আরও বহু অপরাধ জন্ম নেয়। এজন্য সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। সমাজের নানা ব্যত্যয় ও বৈষম্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রত্যক্ষ করছে এবং তার প্রতিরোধে কাজ করছে।”
তিনি আরও উল্লেখ করেন, “জুয়া সমাজের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। তথাকথিত উচ্চবিত্ত বা ‘হোয়াইট কালার’ অপরাধীরাই সমাজ ও দেশের জন্য সবচেয়ে বেশি হুমকি। তাই সবাইকে সচেতন হতে হবে। ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলতে হবে এবং ব্যক্তিগতভাবে সংশোধনের চেষ্টা করতে হবে—সমাজের জন্য, বাবা-মায়ের জন্য, সন্তানের জন্য, দেশের জন্য।”
পুলিশ সুপার উপস্থিত সকলের উদ্দ্যেশে বলেন, “আপনাদের হয়তো ছোটখাটো ব্যত্যয়ের কারণে এখানে আসতে হয়েছে। তবে এখান থেকে বিদায় নেওয়ার সময় অন্তত কিছু শিক্ষা নিয়ে যেতে হবে। যদি এই কথাগুলো আপনাদের হৃদয় স্পর্শ করে, তবে তা-ই জীবন পরিবর্তনের জন্য যথেষ্ট।”
তিনি আরও বলেন, সমাজসেবা হলো এমন একটি ক্ষেত্র, যেখানে ভিন্ন ধর্মাবলম্বী, ভিন্ন শ্রেণির ও ভিন্নপেশার মানুষকে একত্রিত করে সেবামূলক কাজ করা হয়। সমাজে নানা অনৈতিক কার্যক্রম বিদ্যমান, আর বাংলাদেশ পুলিশ সেই অনৈতিক কর্মকাণ্ডগুলো চিহ্নিত করে প্রতিরোধে কাজ করছে।