বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫, ১ শ্রাবণ ১৪৩২
শিরোনাম

যেসব কাজে ওজু করতে হয়


  আরবান ডেস্ক

প্রকাশ :  ১৬ জুলাই ২০২৫, ১১:৩৪ দুপুর

প্রতীকী ছবি

পবিত্রতা অর্জনের নিয়তে নির্দিষ্ট অঙ্গসমূহে পানি ব্যবহার করাকে অজু বলা হয়। কোরআন-হাদিসে পবিত্রতার অর্জনের জন্য ওজু করার কথা এসেছে। ওজু প্রধানত তিন প্রকার; ফরজ, ওয়াজিব ও মোস্তাহাব। আসুন, এ ব্যাপারে আরও জেনে নিই। 

যেসব কারণে অজু করা ফরজ
১. নামাজ আদায়ের জন্য, যদি নফল নামাজও হয়। (বুখারি: ১৩২) 
২. জানাজার জন্য। (সুনানে কুবরা লিল বায়হাকি: ৪৩৫) 
৩. সেজদায়ে তেলাওয়াতের জন্য। (সুনানে কুবরা লিল বায়হাকি: ৪৩৫) 
৪. পবিত্র কোরআন স্পর্শ করার জন্য। অনুরূপভাবে অজু ছাড়া ব্যক্তি যদি পবিত্র কোরআনের আয়াত লেখা দেয়াল, কাগজ, টাকা—যেটাই ছুঁতে চাইবে, তার জন্য অজু করা ফরজ। (সুরা ওয়াকিয়া: ৭৯, মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা: ১/১১৩) 

যে কাজে অজু করা ওয়াজিব
১. শুধু একটি বিষয়ের জন্য অজু করা ওয়াজিব। তা হলো- কাবা ঘরের তাওয়াফ করা। (তিরমিজি: ৮৮৩)

যেসব ক্ষেত্রে অজু করা মোস্তাহাব
১. পবিত্রতার সঙ্গে ঘুমানোর জন্য। (বুখারি: ২৩৯) 
২. ঘুম থেকে জাগ্রত হলে। তখন শুধু মোস্তাহাবই নয়, বরং সুন্নত (সুনানে কুবরা লিল বায়হাকি: ৫৮৫) 
৩. সবসময় অজু অবস্থায় থাকার জন্য। (ইবনে মাজাহ: ২৭৩) 
৪. সওয়াবের নিয়তে অজু থাকা অবস্থায় অজু করা। 
৫. গিবত ও মিথ্যা কথার আশ্রয় নেওয়ার পর। (মুসলিম: ৩৬০) 
৬. মন্দ ও অশ্লীল কবিতা পাঠের পর। (মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা: ১/১৩৫) 
৭. নামাজ ছাড়া অন্য অবস্থায় অট্টহাসি দেওয়ার পর। (মুসনাদে আহমদ: ৯৩০১) তবে নামাজে অট্টহাসি দিলে অজু ভেঙে যায়। (দারাকুতনি: ৬১৫) 
৮. মৃতকে গোসল দেওয়ার পর। (সুনানে কুবরা লিল বায়হাকি: ১৫১৬) 
৯. মৃতের লাশ ওঠানোর জন্য। (সুনানে কুবরা লিল বায়হাকি: ১৫০৩) 
১০. প্রতি নামাজের জন্য নতুন অজু করা। (মুসনাদে আহমদ: ৭৫০৪, বুখারি: ২০৭) 
১১. ফরজ গোসল করার আগে। (বুখারি: ২৪০) 
১২. গোসল ফরজ হয়েছে, এমন ব্যক্তির খাওয়া, পান করা ও ঘুমানোর আগে। (মুসলিম: ৪৬১) 
১৩. রাগের সময়। (আবু দাউদ: ৪১৫২) 
১৪. কোরআন তেলাওয়াতের সময়। (সুনানে কুবরা লিল বায়হাকি: ৪৩৫) 
১৫. হাদিস পড়া ও বর্ণনা করার সময়। (আদাবুল উলামা ওয়াল মুতাআল্লিমিনি: ১/৬) 
১৬. ইসলামি জ্ঞান অর্জনের সময়। (তিরমিজি: ২৭২৩) 
১৭. আজান দেওয়ার সময়। (মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা: ১/২১১) 
১৮. ইকামত দেওয়ার সময়। (মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা: ১/২১১) 
১৯. খুতবা দেওয়ার সময়। (তিরমিজি: ২৭২৩) 
২০. মহানবী (স.)-এর কবর জেয়ারতের সময়। (সুরা নিসা: ৬৪) 
২১. অকুফে আরাফা তথা আরাফায় থাকা অবস্থায়। (বুখারি: ১৪২৪) 

২২. সাফা ও মারওয়ায় সায়ি করার সময়। (বুখারি: ১৫১০)
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত