পূর্বধলায় ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিষপানের মাধ্যমে ফাঁসানোর অভিযোগ, প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

নাহিদ আলম, স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ : ১৫ জুলাই ২০২৫, ১১:০৬ রাত

নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার ৬নং সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান বুলবুল ১, ২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য নাজমা আক্তার (৩৫) এর বিরুদ্ধে বিষপান করে তাকে ফাঁসানোর অভিযোগ এনেছেন।
এ অভিযোগে তিনি মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) সন্ধ্যায় ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলন করেন।
চেয়ারম্যান অভিযোগ করে বলেন, “নাজমা আক্তার দীর্ঘদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও সাংবাদিকদের মাধ্যমে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে আসছেন। আজ তিনি বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন এবং সেটিকে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হিসেবে প্রচার করছেন।”
তিনি আরও জানান, ২০২২ সালের ডিসেম্বরেও নাজমা আক্তার তার বিরুদ্ধে একই ধরনের মিথ্যা অভিযোগ তুলেছিলেন, যার প্রমাণ না পাওয়ায় পরে অভিযোগ প্রত্যাহার করতে বাধ্য হন।
চেয়ারম্যান দাবি করেন, পরিষদের বরাদ্দ থেকে কাউকে বঞ্চিত না করে বরং নাজমা আক্তারকে অতিরিক্ত সুবিধা দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, “যদি কেউ তার অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেন, আমি তা মেনে নেব।”
তিনি আরও অভিযোগ করেন, নাজমা আক্তার একটি মার্ডার মামলায় ‘হুকুমদাতা’ হিসেবে অভিযুক্ত এবং তার চারিত্রিক বিষয় নিয়েও পরিষদের অন্যান্য সদস্যরা অবগত।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ইউপি সচিব রাজিব সরকার, উদ্যোক্তা হুমায়ূন কবির, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য জরিনা ও নুরুন্নাহারসহ ১ থেকে ৯ নং ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্যরা। তারা সকলেই চেয়ারম্যানের বক্তব্যের প্রতি সমর্থন জানান।
এর আগে আজ দুপুর ২ টার দিকে নাজমা আক্তার একটি ফেসবুক ভিডিও বার্তায় ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনিয়ম, মানসিক নির্যাতন ও সামাজিকভাবে হেয় করার অভিযোগ তোলেন এবং আত্মহত্যার হুমকি দেন। এরপর বিকাল ৩টার দিকে উপজেলা পরিষদ চত্বরে তিনি বিষপান করেন।
তাকে পরিবারের সদস্যরা আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে পূর্বধলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। বর্তমানে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন এবং তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলে পরিবার সূত্রে জানা গেছে।
পরিষদের অন্যান্য সদস্যরা জানান, নাজমা আক্তার সবচেয়ে বেশি সুবিধা পেয়েছেন। সাম্প্রতিক সময়ে সকল সদস্যকে ৬টি করে ভিজিডি কার্ড দেওয়া হলেও তাকে দেওয়া হয় ৭টি কার্ড। তাই তার এমন আচরণে তারা বিস্মিত।
নাজমা আক্তার অসুস্থ থাকায় এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।