বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২২ মাঘ ১৪৩১
শিরোনাম

জাবি শিক্ষার্থীদের ভর্তি পরীক্ষায় পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে গণঅনশন


  আরবান ডেস্ক

প্রকাশ :  ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০২:৪২ দুপুর

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ভর্তি পরীক্ষায় পোষ্য কোটা সম্পূর্ণরূপে বাতিলের দাবিতে আমৃত্যু গণঅনশন করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী। রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে 'বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন' ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনের সামনে ৭ জন শিক্ষার্থী এ অনশন শুরু করেন। 

অনশনরত শিক্ষার্থীরা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের ৪৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. নাহিদ হাসান, একই ব্যাচের গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী নাসিম আল তারিক, মার্কেটিং বিভাগের ৫০ ব্যাচের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ রায়হান, গনিত বিভাগের ৫০ ব্যাচের শিক্ষার্থী গালিব হাসান, নৃবিজ্ঞান বিভাগের ৫০ ব্যাচের শিক্ষার্থী নাজমুল হাসান লিমন, ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (আইবিএ- জেইউ) ৫০ ব্যাচের শিক্ষার্থী ফারহানা বিনতে জিগার ফারিনা এবং ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ৫১ ব্যাচের শিক্ষার্থী নাদিয়া রহমান অন্বেষা ও কাজী মেহরাব। 

‘অযৌক্তিক’ পোষ্য কোটা বাতিল না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়ে অনশনরত শিক্ষার্থী নাদিয়া রহমান অন্বেষা বলেন, ২০২৪ সালে কোটা সংস্কারের জন্য যে আন্দোলনটি শুরু হয়েছিল, সেটি ছিল কোটার যৌক্তিক সংস্কারের আন্দোলন। আমরা সকল অযৌক্তিক কোটার বিলুপ্তি চেয়েছিলাম। অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে আমরা দেখতে পাই, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন শহীদদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে প্রশাসনে আসীন হয়ে ‘অযৌক্তিক’ পোষ্য কোটা বহাল রাখার মাধ্যমে শহীদদের রক্তের সাথে বেঈমানি করছেন। সেই জায়গা থেকেই আমরা আজ আমরণ গণঅনশন পালন করছি। আমাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের এই কর্মসূচি চলবে।

গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে পোষ্য কোটার কোনো যৌক্তিকতা নেই বলে উল্লেখ করে অনশনরত শিক্ষার্থী নাজমুল ইসলাম লিমন বলেন, বৈষম্যহীন একটি বাংলাদেশ গড়ার জন্য আমরা রাজপথে নেমে এসেছিলাম, অনেকে শহীদ হয়েছে, আহত হয়েছে। কিন্তু আমরা দেখতে পাই বিশ্ববিদ্যালয়ে আজও পোষ্য কোটা রয়ে গেছে। এর ফলে অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী আছে যারা অধিক নম্বর পেয়েও শুধুমাত্র পোষ্য কোটার কারণে বিশ্ববিদ্যালযয়ে ভর্তির সুযোগ পাচ্ছে না। গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে পোষ্য কোটার কোনো যৌক্তিকতা নেই। 

তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা মেধার ভিত্তিতে ভর্তি হবে এবং দেশ ও জাতির জন্য অবদান রাখবে। আমরা চাই এই অযৌক্তিক পোষ্য কোটা বাতিল করতে হবে এবং যতক্ষণ না বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এই  অযৌক্তিক পোষ্য কোটা বাতিল করবে ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের এই গণঅনশন চলবে।

এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জাবি শাখার সদস্য সচিব তৌহিদ সিয়াম বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনও অযৌক্তিক পোষ্য কোটা বিদ্যমান। আমরা দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনের কাছে এই পোষ্য কোটা সম্পূর্ণরূপে বাতিলের দাবি জানিয়ে আসছি। যেহেতু এই কোটার কোনো যৌক্তিকতা নেই, সেহেতু এটি সংস্কারের প্রয়োজন আছে বলে আমরা মনে করি না। এটা সম্পূর্ণরূপে বাতিল করতে হবে। 

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত