দীর্ঘ ১৭ বছর পর মুক্তি পেলেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর

আজাদ ইমরান শরীফ
প্রকাশ : ১৭ জানুয়ারী ২০২৫, ০২:১৬ দুপুর
_original_1737041439.jpg)
সব মামলায় খালাস পেয়ে দীর্ঘ ১৭ বছর কারাবাসের পর কারামুক্ত হয়েছেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নেত্রকোনা ৪ আসনের এমপি লুৎফুজ্জামান বাবর।
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুর পৌনে ২টায় তিনি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার (কেরানীগঞ্জ) থেকে ছাড়া পান ।
প্রায় ১৭ বছর কারাগারে ছিলেন লুৎফুজ্জামান বাবর। এর মধ্যে কয়েকবার অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাও নিয়েছেন তিনি।
কারামুক্তির পর কারা ফটকে ফুলের মালা দিয়ে তাকে বরণ করে নেন স্বজন ও নেতাকর্মীরা।
মিডিয়া সূত্রে জানা যায়-ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন) ও আসামিদের করা আপিলের ওপর শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি নাসরিন আক্তারের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ আলোচিত ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় বাবরকে খালাস দিয়ে রায় ঘোষণা করেন।
আদালতে বাবরের পক্ষে আইনজীবী শিশির মনির খালাস চেয়ে এ আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুলতানা আক্তার রুবী ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো: আসিফ ইমরান জিসান।
এর আগে গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর বহুল আলোচিত চট্টগ্রামে ১০ ট্রাক অস্ত্র চোরাচালানের ঘটনায় করা মামলায় লুৎফুজ্জামান বাবরকে খালাস দেন হাইকোর্ট।
নেত্রকোনা ৪আসনের অসংখ্য নেতাকর্মী গত কাল থেকে কেন্দ্রীয় কারাগারের আশেপাশের এলাকায় অবস্থান নেন প্রিয় নেতাকে একনজর দেখার জন্য।
বাবরের মুক্তিতে তার নির্বাচনী এলাকা মোহনগঞ্জ, মদন ও খালিয়াজুড়িতে দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ আনন্দ মিছিল করে।তার মুক্তিতে সাধারণ মানুষের মাঝে উচ্ছ্বসিত ভাব লক্ষ্য করা যায়।তিনি ভাটি বাংলার সিংহ পুরুষ বলেও খ্যাত। তাই তার মুক্তিতে দল মত নির্বিশেষে সকল স্তরের মানুষ খুশিতে আনন্দ মিছিল বের করে।
বাবরের রাজনৈতিক জীবন: লুৎফুজ্জামান বাবর ১৯৯১ সালের পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আনারস প্রতীক নিয়ে নেত্রকোনা-৪ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
এরপর ১৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৬ সালের ষষ্ঠ ও ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রার্থী হিসেবে নেত্রকোনা-৪ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। অষ্টম সংসদে তিনি স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৯৬ সালের ১২ জুন সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রার্থী হিসেবে ও ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আনারস প্রতীক নিয়ে নেত্রকোনা-৪ আসন থেকে নির্বাচনে লড়ে তিনি পরাজিত হন।