শেরপুরে কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত
রফিক মজিদ, শেরপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৭ জানুয়ারী ২০২৫, ০২:৩৯ দুপুর
ভোজন প্রিয় বাঙালির শীত মানেই পিঠা খাওয়ার মৌসুম। অগ্রহায়ণের নতুন ধানের চালের পিঠা না খেলে অসম্পূর্ণ থাকে বাঙালিয়ানা। একসময় শহর বা গ্রামের ঘরে ঘরে তৈরি হতো ভাপা, পুলি, চিতই ও তেলের পিঠাসহ বাহারি ও নানা স্বাদের পিঠা। বাড়ি বাড়ি ধূম পড়তো পিঠা খাওয়া। তবে সম্প্রতি আধুনিক ইন্টারনেটের যুগে ইউটিউব থেকে বাড়ির মা-বোনেরা নানা রেসিপি দেখে রেসিপি তৈরিতে ঝুঁকে পড়েছে। ফলে দেশীয় সব পিঠা তৈরি এখন আর বাসা বাড়িতে খুব একটা তৈরি হয় না। তবে এই পিঠার মেলা বসেছিল শেরপুরের শাহীন ক্যাডেট স্কুল প্রাঙ্গণে। প্রায় দেড় শতাধিক বাহারি রকমের ও স্বাদের পিঠার নয়টি স্টল বসেছিল এখানে। আয়োজকদের স্টলে মুখরিত হয়ে উঠেছিল এ পিঠা উৎসব প্রাঙ্গণ।
শেরপুরে শাহীন স্কুল এর আয়োজনে ৭ জানুয়ারি মঙ্গলবার সকালে শহরের সজবরখিলাস্থ শাহীন স্কুল মাঠে কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা ও পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সম্প্রতি শাহীন স্কুল এর আয়োজনে জেলার ১৩০ টি স্কুলের প্রথম থেকে দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের মাঝে টেনেলপুল ও সাধারণ জ্ঞানের পৃথক দু’টি গ্রুপে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ২৪৬ জন শিক্ষার্থী পুরস্কার পান।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনানী বাজার শাখার পরিচালক খায়রুল ইসলাম এর সঞ্চালনায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন শাহীন স্কুল জামালপুর শাখার অধ্যক্ষ মোঃ আব্দুল গফুর। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন শাহীন শিক্ষা পরিবারের চেয়ারম্যান মুহম্মদ মাছুদুল আমীন শাহীন। এ সময় স্বাগত বক্তব্য রাখেন শাহীন স্কুলের শহরের সজবরখিলাস্থ শাখা পরিচালক মোঃ মাজহারুল ইসলাম হিমেল।
শাহীন স্কুল কর্তৃপক্ষ জানায়, প্রতি বছরের ন্যায় এবারও পিঠা উৎসবে আটটি স্টলে ভাপা, পুলি, চিতই, পাটিসাপটা, তেলের পিঠা, মোঠা পিঠ, ফুল পিঠা, মাংসপুলি, মাছ পিঠা, মিষ্টি কুমড়া পিঠা, আপেল পিঠা, বেগুনি পিঠা, ভেজিটেবিল রোল, নকশী পিঠা, চিকেন রোল, পোয়া পিঠা, লেমন পিঠা, বরফি পিঠা, গোলাপজাম, কদম ভোগ সহ প্রায় শতাধিক রকমের বাহারি পিঠা পসরা বসানো হয়।
এসময় স্কুলের শিক্ষার্থী অভিভাবক এবং শহরের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ওই পিঠা উৎসবে এসে পিঠা ক্রয় করে খান এবং অনেকেই বাড়ির জন্য নিয়ে যায়। মেলায় এসে শিক্ষার্থীরা বাড়ি পিঠার খেয়ে বেশ আনন্দ উপভোগ করেন।অনেক পিঠা প্রেমীরা মেলায় এসে ঘুরে ঘুরে বাহারি সব পিঠা দেখেন এবং তাদের বন্ধু-বান্ধবদের নিয়ে আড্ডায় মেতে উঠেন। পিঠার স্টল মালিকরাও জানান বেশ ভালোই বিক্রি হয়েছে। এমন আয়োজন প্রতিবছরই করার দাবি জানায় অনেকেই।
স্কুলের শিক্ষক এবং স্টল ব্যবসায়ীরা জানায়, এখানে এই স্কুল থেকে প্রতি বছরই পিঠা উৎসবে আয়োজন করা হয়। এবার বিগত বছরের চেয়ে সবচেয়ে বেশি সারা মিলেছে এবং আগামী দিনেও এর ধারাবাহিকতা থাকবে বলে মনে করছেন তারা। পিঠা উৎসবের বিশেষ আকর্ষণ ছিল প্রতিটা স্টল থেকে কমপক্ষে ২০ টাকার পিঠা কিনলে একটি করে কুপন দেয়া হয়। সে কুপনে প্রথম পুরস্কার এলইডি টেলিভিশন রাখা হয়েছিল।