মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১ আশ্বিন ১৪৩২
শিরোনাম

ঝাল খেলে পেট জ্বালার কারণ ও প্রতিকার


  আরবান ডেস্ক

প্রকাশ :  ১৩ আগস্ট ২০২৫, ১২:৩৬ দুপুর

ছবি: সংগৃহীত

ঝাল খেতে ভালোবাসেন না এমন মানুষ খুব কমই পাওয়া যায়। তবে অনেকেই ঝাল খাওয়ার পরপরই অস্বস্তি অনুভব করেন—পেটে জ্বালাভাব, বুকের মধ্যে পোড়া ভাব, গ্যাস বা অম্বলের সমস্যা দেখা দেয়। এমনটা কেন হয়? আর কিভাবে তা প্রতিরোধ করা যায়? চলুন জানি বিস্তারিত।

ঝাল খাবারে থাকে ক্যাপসাইসিন (Capsaicin) নামক একটি উপাদান, যা মরিচের ঝালভাবের জন্য দায়ী। এটি পাকস্থলীতে পৌঁছে তার প্রাচীরকে উত্তেজিত করে ও কিছু শারীরিক প্রতিক্রিয়া তৈরি করে—

ফলাফল: অতিরিক্ত অ্যাসিড নিঃসরণ: ক্যাপসাইসিন পাকস্থলীর অ্যাসিড নিঃসরণ বাড়িয়ে দেয়, ফলে পেটের দেয়ালে জ্বালাভাব সৃষ্টি হয়।

মিউকাস স্তর ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া: ঝাল খেলে পাকস্থলীর প্রাকৃতিক সুরক্ষাবলয় (মিউকাস) পাতলা হয়ে যায়, ফলে অ্যাসিড সরাসরি পেটের টিস্যুতে আঘাত করে।

অ্যাসিড রিফ্লাক্স (GERD): অতিরিক্ত অ্যাসিড উপরের দিকে উঠে গিয়ে বুক ও গলায় জ্বালাভাব তৈরি করে।

ঝাল সহ্য না হওয়ার জীবনধারাগত কিছু কারণ: অনিয়মিত বা দেরিতে খাবার খাওয়া

একসঙ্গে বেশি ঝাল ও তেল খাওয়া

খালি পেটে ঝাল খাওয়া

ধূমপান বা অ্যালকোহল সেবন

ঘুমানোর আগে ভারী ঝাল খাবার খাওয়া

প্রতিকার ও প্রতিরোধের উপায়: খাবারের অভ্যাসে পরিবর্তন আনুন: ঝাল কম খান বা দই, শসা বা দুধের সঙ্গে খান।

ফাইবারযুক্ত খাবার খান: যেমন—সবজি, ছোলা বা শাকসবজি।

ওষুধ: ওমিপ্রাজল বা অ্যান্টাসিড জাতীয় ওষুধ চিকিৎসকের পরামর্শে গ্রহণ করুন।

খাওয়ার পরপরই শোবেন না: ঝাল খাবার খাওয়ার পর ২-৩ ঘণ্টা হাঁটাচলা করুন।

প্রাকৃতিক প্রতিকার:

হালকা গরম পানিতে আদা ও মধু মিশিয়ে খাওয়া উপকারী।

ঠাণ্ডা দুধ পান করলেও তাৎক্ষণিক আরাম পাওয়া যায়।

 

চিকিৎসকের পরামর্শ নিন যখন: পেট জ্বলা নিয়মিত হচ্ছে

গলা পর্যন্ত অ্যাসিড উঠে আসছে

ওষুধেও আরাম পাওয়া যাচ্ছে না

শেষ কথা: ঝাল খাওয়ায় সমস্যা থাকতেই পারে, তবে তা সবার ক্ষেত্রে সমান নয়। নিজের সহ্যক্ষমতা বুঝে খাওয়া, স্বাস্থ্যকর খাবারের অভ্যাস ও সময়মতো খাওয়ার মাধ্যমে সহজেই এই সমস্যা এড়ানো সম্ভব।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত