বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২২ মাঘ ১৪৩১
শিরোনাম

ইউএনও ইমদাদুল তালুকদারের এক বছরে সাফল্যের ঝুড়িতে অনেক ফল


  সমরেন্দ্র বিশ্বশর্মা, কেন্দুয়া প্রতিনিধি

প্রকাশ :  ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০২:৪১ দুপুর

খুশি করার জন্য বাড়িয়ে বলা নয়। যা কেন্দুয়া উপজেলার সকল শ্রেনী পেশার মানুষের মুখে মুখে ফিরছে, সেই কথা গুলোই একত্রিত করে পাঠকের সামনে তোলে ধরার চেষ্টা করছি। জামালপুর জেলার কৃতী সন্তান ইমদাদুল হক তালুকদার লোকজ সংস্কৃতির চারণভুমি কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে কর্মে যোগদানের আগেই এই এলাকার সাহিত্য সংস্কৃতি, রাজনৈতিক ইতিহাস, ঐতিহ্য, কষ্টি কালচার সম্পর্কে সম্যক ধারনা নিয়েই এই জনপথে আগমন করেন।

তিনি যেদিন কেন্দুয়ায় এসেছেন, সেদিন প্রথমেই তাঁকে ফুলদিয়ে বরণ করেছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ নুরুল ইসলাম ও কেন্দুয়ার ভারপ্রাপ্ত ইউএনও শাহ আলম। সেদিন মিডিয়ার পক্ষ থেকে তাঁর হাতে বই তোলে দিয়েছিলেন চারণ সাংবাদিক পুরষ্কার প্রাপ্ত সমকাল সাংবাদিক সমরেন্দ্র বিশ^শর্মা। যোগদানকালে তিনি বলেছিলেন, আমি সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করতে এসেছি। যদি আপনারা আন্তরিক সহযোগিতা করেন, তবে আমি সেভাবেই এগিয়ে যাবো।

আলোচনায় আছে, যেখানেই হাত দেন তিনি, সেখানেই সোনা ফলে। যোগদানের কিছুদিন পর উপজেলা প্রশাসরের আয়োজনে মরনোত্তর একুশে পদকপ্রাপ্ত বাউল সাধক জালাল উদ্দিন খাঁর ১৩০ তম জন্মদিন উপলক্ষে ৩ দিন ব্যাপি জালাল মেলা সম্পন্ন করেন। এই জালাল মেলার মাধ্যমে বাউল, শিল্পী, সংস্কৃতিকর্মী, সাহিত্যপ্রেমী, সহ সকল শ্রেনী পেশার মানুষের মধ্যে যে মেল বন্ধন সুচিত হয়েছে তা গরবিনী কেন্দুয়ার ইতিহাসে সাফল্যের এক নতুন
পালক যুক্ত হয়েছে।

গত নভেম্বর মাসে কেন্দুয়া উপজেলা প্রেসক্লাবের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে “বড় হবো আমরা, বড় হবে দেশ” শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে নতুন প্রজন্মের উদ্দেশ্যে অনেক গুরুত্বপূর্ন আলোচনা করে নতুনদের প্রেরনা দিয়েছেন। কিছুদিন আগে নওপাড়া ইউনিয়নের জুড়াইল গ্রামবাসীর মাঝে একটি সরকারি বিলের দখল নিয়ে বিরোধের অবসান ঘটান তিনি। অথচ প্রতিবছর এই বিলের ঘটনা নিয়ে ধাওয়া, পাল্টা ধাওয়া, সংঘর্ষ লেগেই থাকতো। কিন্তু ইউএনও ইমদাদুল হক তালুকদারের নেতৃত্বে
সেই সমস্যার সমাধান হয়ে জনমনে শান্তি ফিরে এসেছে।

কেন্দুয়ায় সাদ ও জুবায়ের পন্থীদের মধ্যে আর্দশগত বিষয় নিয়ে যে টান টান উত্তেজনা চলছিল, তা দুপক্ষের নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনা করে শান্তির পরিবেশ সৃষ্টি করেছেন তিনি। এতে আন্তরিক সহয়োগিতা করছেন স্থানীয় গন্যসান্য ব্যাক্তিবর্গ। গত ১০ জানুয়ারী ২০২৫ তাঁর উদ্যোগে নিয়ে দীর্ঘ আট বছর ধরে কেন্দুয়া প্রেসক্লাব ও কেন্দুয়া উপজেলা প্রেসক্লাবের নামাকরন নিয়ে যে জটিলতা চলে আসছিল, তা উভয় পক্ষের নেতবৃন্দের সাথে কথা বলে চিরতরে সমাধান করে দেন। যা কেন্দুয়ার গনমাধ্যম কর্মীদের মধ্যে শান্তি, সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি, ও ঐক্যের একটি নাম কেন্দুয়া উপজেলা মিডিয়া ক্লাব।

এই বিষয়টি অত্যন্ত বিচক্ষনতার নাথে উভয় পক্ষকে সম্মান জানিয়ে যেভাবে সমাধান করা হয়েছে তা সারাদেশে একটি উদাহরণ দেওয়ার মতো বিষয়। ৫ আগষ্টের পর বাশাটী উচ্চবিদ্যালয় সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রদের নাম করে বহিরাগত ছাত্ররা যে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টির পায়তারা চালাচ্ছিল, তিনি সেইসব পরিস্থিতি দক্ষতার সাথে কঠোরভাবে মোকাবেলা করেছেন। যেজন্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমুহে মোটামুটি শান্তির পরিবেশ বজায় রয়েছে। জনাব ইমদাদুল হক তালুকদার তাঁর চিন্তা, চেতনা, মেধা, মননের মাধ্যমে সামগ্রীক কেন্দুয়ার শত সমস্যার সমাধান করেছেন, যা সমগ্র কেন্দুয়াবাসীর হৃদয়ে চিরজাগরুক হয়ে থাকবে। আর এসব সমস্যার সমাধান কল্পেই এক বছরে সাফল্যের ঝুড়িতে অনেক ফল সংগ্রহ করেছেন তিনি। কেন্দুয়া উপজেলা মিডিয়া ক্লাবের সভাপতি সমরেন্দ্র বিশ^শর্মাসহ সকলেই আশা করে বলেন, জনবান্ধব এই কর্মকর্তা সাফল্যের সিঁড়ি বেয়ে এগিয়ে যাবেন সৌভাগ্যের স্বর্ণ শিখরে। তারা জনাব ইমদাদুল হক তালুকদারের সাফল্যে লোকজ সংস্কৃতির রাজধানী কেন্দুয়াবাসীর পক্ষ থেকে লাখো কোটি স্নিগ্ধ ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত