ঢাকা, রবিবার, ০৫ জানুয়ারি ২০২৫, ২১ পৌষ ১৪৩১
শিরোনাম

‘গণ-অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র’ কর্মসূচি স্থগিত, শহীদ মিনারে আজ ‘মার্চ ফর ইউনিটি’


  আরবান ডেস্ক

প্রকাশ :  ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৩১ দুপুর

রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ‘গণ-অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র’ কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে। তবে এর পরিবর্তে আজ মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ‘মার্চ ফর ইউনিটি’ কর্মসূচি পালন করবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। কর্মসূচিতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করার জন্য জনগণকে আহবান জানিয়েছে সংগঠনটি।
 
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত পৌনে ২ টায় সংবাদ সম্মেলনে কর্মসূচির কথা জানান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব আরিফ সোহেল।
 
লিখিত বক্তব্যে আরিফ সোহেল বলেন, জুলাই-আগস্টে সংগঠিত গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে আবির্ভূত জন- আকাঙ্ক্ষা তথা ফ্যাসিবাদি ব্যবস্থার বিলোপ ও নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত কায়েমের প্রতিশ্রুতির ভিত্তিতে নতুন বাংলাদেশ এক ঐতিহাসিক পটভূমিতে আবির্ভূত হয়েছে। হাজারো শহীদ ও আহত যোদ্ধাদের আত্মত্যাগের স্বীকৃতি ও জন-আকাঙ্ক্ষার দলিলস্বরূপ ‘জুলাইয়ের ঘোষণাপত্র’ অত্যাবশ্যক ছিলো। এই ঘোষণাপত্র প্রণয়নের ঐতিহাসিক দায় জুলাই গণঅভ্যুত্থানের নেতৃত্বদানকারী সংগঠন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উপর বর্তায়। 
 
তিনি বলেন, নানা প্রতিকূলতা সত্ত্বেও আমরা, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, বাংলাদেশের ছাত্র-জনতার পক্ষে এই ঐতিহাসিক ঘোষণাপত্রের প্রণয়ন ও ঘোষণার দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলাম।আমাদের উদ্যোগের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের আপামর ছাত্র-জনতার মধ্যে স্বতঃস্ফূর্ত ও ইতিবাচক সাড়া সঞ্চারিত হয়েছে। এ অবস্থায় ছাত্র-জনতার আহবানে রাষ্ট্রীয় পর্যায় থেকে জাতীয় ঐক্যমতের ভিত্তিতে জুলাই ঘোষণাপত্র প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ছাত্র-জনতা এই সময়পোযোগী উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাচ্ছে। এর ধারাবাহিকতায় কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে ‘মার্চ ফর ইউনিটি’ কর্মসূচি ঘোষণা করা হলো। 
 
এর আগে রাত পৌনে ১ টার দিকে রাজধানীর বাংলামোটরের রূপায়ন টাওয়ারে সংগঠনটির কার্যালয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মূখ্য সংগঠক আবদুল হান্নান মাসউদ সাংবাদিকদের বলেন, আমরা এই গণঅভ্যুত্থানের পক্ষে ঘোষণাপত্র দিতে চেয়েছি, রাষ্ট্রকে বলেছি রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে যেন আমাদের সহায়তা দেয়া হয়। আমরা রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে গিয়েছি যেন সকলে আমাদের এখানে সমর্থন জানায়। কারণ ঘোষণাপত্র একটি ঐতিহাসিক দলিল। কিন্তু এই ঐতিহাসিক দলিল যেন আমরা প্রস্তাব করতে না পারি সে ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের বাধার সৃষ্টি করা হয়েছে।
 
তিনি বলেন, আমরা প্রাথমিকভাবে বিজয় লাভ করেছি।সরকার আমাদের এই ঘোষণাপত্রের ব্যাপারে সমর্থন দিয়েছে। আমরা আমাদের পরবর্তী কর্মসূচি দিয়েছি আমরা শহীদ মিনারে বিপ্লবী জনতা একত্রিত হব। সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণাপত্র আসবে। কিন্তু তাই বলে আমাদের একত্রিত হওয়া বন্ধ হয়ে যাবে না। 
 
তিনি বলেন, এই ঘোষণাপত্র যেন আমরা করতে না পারি সেজন্য দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র হয়েছে। ষড়যন্ত্রে পেরেক মেরে দিয়েছে আমাদের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। সরকার বলেছে সকলের পক্ষ থেকে তারা ঘোষণাপত্র দিবে। কিন্তু আমরা আগামীকাল (মঙ্গলবার) ঘোষণাপত্রের পক্ষে সারা দেশের মানুষকে রাজপথে নেমে আসার আহ্বান জানাই।
 
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত