মুন্সীগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে মঞ্চস্থ হলো নাটক "নির্বর্তন"  

৩ জানুয়ারি মুন্সীগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে মঞ্চস্থ হলো হিরণ কিরণ থিয়েটারের ২৩তম প্রযোজনা "নির্বর্তন" নাটকের ৩য় মঞ্চায়ন। নাটকটির রচনা ও নির্দেশনা দিয়েছেন নাট্যকার, নির্দেশক, অভিনেতা, জাহাঙ্গীর আলম ঢালী। নাটকটিতে মূল চরিত্রে অভিনয় করেন, নিমাতা ও অভিনেতা তুষার চন্দ্র রায়, মোহাম্মদ শামীম শেখ, রথিন দাস, তাসফিয়া তন্নী,  অনিক পাল ও মুকুল রানী সাহা। এছাড়াও আরও অভিনয় করেন, ড্যাফরিন খান পুতুল, পুনম রায়, জীবন ঢালী, মো. ফারদিন, আকিব মাহমুদ, ইসরাফিল সরকার, মাহমুদুল হাসান, সীমান্ত বাইজিদ, শাহরিয়ার আহমেদ, মনিকা আক্তার আয়েশা, মাহি ইসলাম বৃষ্টি, দিয়া সাহা, তিথি রায়।

 

 

"নির্বর্তন" নাটকটিতে ফুটে উঠেছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ভুল বিচারের শিকার হওয়া মানুষের চিত্র।

 

দুই ভাই-বোন নাহিদ ও তন্নীর খুব ছোট বয়সে তাদের মা ও বাবা মারা যান। তন্নীর সকল দায়িত্ব তার বড় ভাই নাহিদ পালন করেন। নাহিদ সংস্কৃতি চর্চা করেন নৃত্যের শিক্ষক এবং একাউন্টিং মাস্টার্স পরীক্ষা দিয়েছেন। 

 

শহরের ২ পরিবারের সাথে জায়গা সম্পত্তি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে ঝামেলা থাকে। তাই ক্ষোভের বশবর্তী হয়ে একটি পরিবার নাহিদকে  মিথ্যা খুনের মামলা দিয়ে হয়রানি করতে থাকে৷ পুলিশ গ্রেপ্তার করে নিয়ে আশে নাহিদকে।  রিমান্ড হয়, তার পক্ষে স্বাক্ষী না থাকায় আদালতে নাহিদ দোষী সাব্যস্ত হন এবং তার ফাঁসির আদেশ হয়। অসহায় নাহিদ কারাগারের দিনগুলোতে সৃষ্টিকর্তাকে স্বরণ করেন। স্মরণ করতে থাকেন তার একমাত্র বোনের কথা, তার একমাত্র ভালোসার কথা, সাংস্কৃতিক চর্চার স্মৃতি, পেছনে ফেলা আসা সুন্দর জীবন এর কথা।

 

অবশেষে নাহিদ এর ফাঁসি হয়। তার পরেই সবার সামনে আসে সত্য ঘটনা। প্রমান হয় নাহিদ নিরপরাধ। 

 

সমাজের মানুষের প্রতি মানুষের হিংসা, বিদ্বেষ, ভূল তদন্তের বিষয় গুলো ফুটে উঠে নাটকটিতে।

 

মোট ২৬ জন শিল্পী অভিনয় করেন। নাটকটি দেখে উপস্থিত দর্শকরা এর ভুয়সী প্রসংশা করেন এবং নাট্যকার এর গল্পের পটভুমি এবং অভিনয় শিল্পীদের সুনিপুণ অভিনয়েরও প্রসংসা করেন৷