বিষ প্রয়োগে ১৪ বন্ধুকে হত্যার অভিযোগে থাই নারীর মৃত্যুদণ্ড
আরবান ডেস্ক
প্রকাশ : ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৪৭ দুপুর
থাইল্যান্ডে বিষাক্ত সায়ানাইড দিয়ে ১৪ জন বন্ধুকে হত্যার দায়ে সারারাত রংসিউথাপর্নকে নামের এক নারীর মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন দেশটির আদালত। এটি তার বিরুদ্ধে ওঠা একাধিক মামলার প্রথম রায়। ‘অ্যাম সায়ানাইড’ নামে পরিচিত পাওয়া এই নারীকে মনে করা হচ্ছে থাইল্যান্ডের ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়ানক সিরিয়াল কিলারদের অন্যতম। খবর বিবিসির।
গত বছর ভ্রমণের সময় এক ধনী বন্ধুর খাবার ও পানীয়তে বিষ মিশিয়ে হত্যার দায়ে ৩৬ বছর বয়সি ওই নারীকে দোষী সাব্যস্ত করেন ব্যাংককের একটি আদালত। মৃত বন্ধুর পরিবার বলেছিল, তার স্বাভাবিক মৃত্যু হয়নি। পরে ময়নাতদন্তে তার দেহে সায়ানাইডের উপস্থিতি পাওয়া যায়। এরপর পুলিশ সারারাতকে গ্রেফতার করে।
তদন্তে জানা যায়, ২০১৫ সাল থেকে এভাবে বিষ দিয়ে আরও বেশ কয়েকজনকে হত্যা করেছেন তিনি। তিনি টার্গেট করেছিলেন, এমন এক ব্যক্তি বেঁচে যান বলে অভিযোগ রয়েছে।
পুলিশ বলছে, থাই গণমাধ্যমে 'অ্যাম সায়ানাইড' নামে পরিচিতি পাওয়া সারারাত জুয়ার নেশায় আসক্ত ছিলেন। ঋণ শোধ করতে তিনি বন্ধুদের টার্গেট করতেন।
হত্যার পর বন্ধুদের গয়না ও মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি করতেন তিনি। সিরিপর্নের মা থংপিন কিয়াটচানাসিরি বলেন, রায় ঘোষণার সময় সারারাত হাসছিলেন। নিজের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সারারাত।
পুলিশ আরও জানায়, গত বছরের এপ্রিলে ৩২ বছর বয়সি বন্ধু সিরিপর্ন খানওংকে সঙ্গে নিয়ে ব্যাংককের পশ্চিমে অবস্থিত রাচাবুরি প্রদেশে ভ্রমণ করতে গিয়েছিলেন সারারাত। সেখানে একটি নদীতে তারা একটি বৌদ্ধ আচারে অংশ নিয়েছিলেন।
সারারাতকে সিরিপর্নের পরিবারকে ২০ লাখ বাথা (৫৭ হাজার ৬৬৭ ডলার) ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
এদিকে সারারাতের প্রাক্তন স্বামী সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা এবং তার আইনজীবীকে প্রমাণ লোপাটের দায়ে যথাক্রমে এক বছর চার মাস ও দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হেওচে। সারারাতের প্রাক্তন স্বামী বিতুন রংসিউথাপর্ন গত বছর আত্মসমর্পণ করেন। পুলিশ জানায়, তিনি সম্ভবত সারারাতকে তার প্রাক্তন প্রেমিক সুতিসাক পুনকোয়ানকে বিষপ্রয়োগে সাহায্য করেছিলেন।