পথ খোলা আছে পদত্যাগ করুন, উপদেষ্টাদের উদ্দেশ্যে আহমেদ আযম

আপনারা দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হলে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে যারা উপদেষ্টা হিসেবে আছেন তাদের পদত্যাগ করার আহ্বান জানিয়েছেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আযম খান।

আজ বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘নাগরিক অবস্থান’ শীর্ষক কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে আওয়ামী সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে তৃণমূল নাগরিক আন্দোলন নামের একটি সংগঠন এ কর্মসূচি আয়োজন করে।

বিএনপি নেতা আযম খান বলেন, ‘ড. মুহাম্মদ ইউনূস দায়িত্ব নেওয়ার পরই বলেছিলেন বাংলাদেশকে ফ্যাসিবাদমুক্ত করবেন। তার সঙ্গে যারা উপদেষ্টা হিসেবে রয়েছেন তারা যদি অর্পিত দায়িত্ব পালন করতে ব্যর্থ হন তাহলে বলব- পথ খোলা আছে, দয়া করে পদত্যাগ করুন।’

তিনি আরও বলেন, ‘১৬ বছরে বিএনপির ৭০০শর বেশি নেতাকর্মী গুম হয়েছে। লাখ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। অনেককে ক্রসফায়ারে দেওয়া হয়েছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে ৫ আগস্টের পর থেকে আমরা বাংলাদেশের প্রতিটি স্থানকে দখল ও চাঁদাবাজমুক্ত করতে পাহারাদার হিসেবে কাজ করছি। অথচ কেউ কেউ বলার চেষ্টা করছেন, বিএনপি দখল উৎসবে মেতে উঠেছে। তাদের বলতে চাই, আপনারা বেসামাল হয়ে পড়েছেন। কখন কোন কথা বলেন, নিজেরাও জানেন না। সকালে এক কথা, বিকেলে অন্য কথা। আগে নিজেরা স্থির হন। বিএনপির বিরুদ্ধে বিষোদগার করে কোনো লাভ নেই। কারণ বাংলাদেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে বিএনপির নেতাকর্মী রয়েছে।’

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, ‘বাজার সিন্ডিকেট কারা নিয়ন্ত্রণ করছে, কারা জিনিসপত্রের দাম হু হু করে বাড়াচ্ছে, আমরা তাদের চিনি। সরকার তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হচ্ছে, প্রতিটি জায়গায় আওয়ামী সিন্ডিকেট ও আওয়ামী দোসররা এখনো রাম রাজত্ব করছে। তাদের দিকে না তাকিয়ে বিএনপির বিরুদ্ধে যারা কথা বলছেন তারা ভুলে গেছেন বিএনপি ১৬ বছর মাঠে অজস্র রক্ত দিয়েছে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আমরা কেউ ঘরে ঘুমিয়ে ছিলাম না, রাজপথেই ছিলাম।’

তৃণমূল নাগরিক আন্দোলনের উদ্যোগে মুহাম্মদ মফিজুর রহমান লিটনের সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, কৃষকদলের সহ সভাপতি ইব্রাহীম, যাত্রাবাড়ী থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক কাউন্সিলর বাদল সরদার, তাঁতীদল কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক জিএম আনিস, মৎস্যজীবী দলের সাবেক কেন্দ্রীয় সদস্য ইসমাঈল হোসেন সিরাজী, কৃষকদলের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পবিষয়ক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নাঈম, মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মের সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম হোসেন, বাংলাদেশ পিপলস পার্টি-বিপিপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বিলকিস খন্দকারসহ আরও অনেকে।