শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারি ২০২৫, ১৬ মাঘ ১৪৩১
শিরোনাম

শিবপুর নির্বাচন অফিসে টাকা দিলেই সেবা মেলে


  রাব্বি সরকার, নরসিংদী প্রতিনিধি

প্রকাশ :  ৩০ জানুয়ারী ২০২৫, ০৭:১৬ বিকাল

নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার নির্বাচন অফিস। এই অফিসে সেবা নিতে এসে পদে পদে হয়রানির শিকার হতে হয় সেবাগ্রহীতাদের। নতুন ভোটার হওয়া, সংশোধন কিংবা স্থানান্তর যে কাজই হোক না কেন টাকা না দিলে কোনো কাজ হয় না এখানে। এমনকি টাকা ছাড়া সেবা নিতে গেলে সাধারণ মানুষ লাঞ্ছিত হওয়ারও অভিযোগ রয়েছে এ অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে। তবে টাকা দিলে দ্রুতই যে কোনো কাজ তারা করে দেন।
 
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নির্বাচন অফিসে কর্মরত কর্মচারীদের সঙ্গে প্রতিনিয়তই লেনদেন চালায় দালাল চক্রের সদস্যরা। তাদের সঙ্গে লেনদেন না করে গেলে সবকিছু সঠিক থাকার পরও দিনের পর দিন হয়রানির শিকার হতে হয় সাধারণ মানুষকে। সম্প্রতি তাদের এ অনিয়ম ও দুর্নীতির সংবাদ একাধিকবার গণমাধ্যমে প্রকাশ হলেও থেমে নেই তাদের কার্যক্রম। অদৃশ্য ক্ষমতার বলে এখনো নীরব পন্থায় চলছে তাদের এসব কার্যক্রম। এদিকে জাতীয় পরিচয়পত্রের গুরুত্বপূর্ণ সব কাজের সমাধান করতে দেরি হওয়ায় অনেকেই পাসপোর্ট ও চাকরিসহ বিভিন্ন জরুরি কাজ করতে গিয়ে প্রতিনিয়তই বিপাকে পড়ছেন।
 
ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নির্বাচন অফিসে গেলে কর্মচারীরা তাদের পছন্দের কম্পিউটারের দোকানে ট্রান্সফার করে দেন। তাদের মাধ্যমে লেনদেন শেষে কাজ আসে নির্বাচন অফিসে। তখন খুব দ্রুতই কাজটি সমাধান হয়ে যায়। তার বিনিময়ে ভুক্তভোগীকে গুনতে হয় হাজার হাজার টাকা।
 
ভুক্তভোগীরা আরও জানান, নির্বাচন কর্মকর্তা ফারিজা নূরকে সব সময় পাওয়া যায়না। যখন পাওয়া যায় তখন সারাদিন লাইনে দাঁড়িয়ে ওনার সাথে দেখা করার পর বেশিরভাগ মানুষের সাথে ধমকের সুরে কথা বলেন। অপমানজনক কথাও বলে থাকেন তিনি। অহংকারের শেষ নেই ওনার।
 
জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন করতে আসা অহিদ মিয়া নামে একজন ভুক্তভোগী বলেন, ভোটার আইডি কার্ডের ভুল সংশোধন ও নতুন ভোটার হওয়া নিয়ে এখানে চরম পর্যায়ে দুর্নীতি চলছে। কর্মকর্তাদের চাহিদা মতো টাকা না দিলে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র থাকার পরও হয়রানি হতে হচ্ছে। এ জটিলতার সুযোগকে ঘিরে এখানে সৃষ্টি হয়েছে বিশাল এক দালালচক্রের। যারা টাকা দিচ্ছে, তাদের সমস্যার সমাধান হচ্ছে। যারা টাকা দিচ্ছে না, তাদের সমস্যার কোনো সমাধান নেই। 
 
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বলেন, অফিস স্টাফদের কী বলবো, তারা কি কর্মকর্তাকে না জানিয়ে কিছু করে? সকলে মিলেই জনগণকে এক প্রকার জিম্মি করেই দিনের পর দিন এসব কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন।
 
সম্প্রতি এক সাংবাদিক শিবপুর উপজেলা নির্বাচন অফিসার ফারিজা নূরকে ফোন করায় তিনি জানান, হুটহাট কল করে বিরক্ত করবেন না।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত