হালুয়াঘাটে বিরোধের জেরে ভাইয়ের উপর ভাইয়ের হামলা

ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার কৈচাপুর ইউনিয়নে পূর্ব শত্রুতার জেরে মির্জা জাকারিয়া (৩৬) নামে একজনকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগ উঠেছে। জাকারিয়া কৈচাপুর ইউনিয়নের রুহিপাগারিয়া এলাকার মৃত মির্জা আব্দুর রশিদ এর পুত্র। বর্তমানে তিনি হালুয়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় জাকারিয়ার স্কুল পড়ুয়া ছেলেও আহত হয়েছেন।

এ বিষয়ে ৪ জনের নাম উল্লেখ করে হালুয়াঘাট থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন জাকারিয়া।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ২৭ শে জানুয়ারী প্রতিদিনের মতো সকালে বাড়ি থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে জাকারিয়া তার দুই ছেলেকে স্কুলে নিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে হালুয়াঘাট পৌর শহরে আসছিলেন। লরকী নদী সংলগ্ন কড়ইকান্দা নামক এলাকায় পৌছালে মির্জা আব্দুল খালেক এর পুত্র শাখাওয়াত, মির্জা জহুর উদ্দিনের পুত্র মির্জা মোস্তফা, মৃত মহেজ আলীর পুত্র মো. রহমত আলী ও রহমত আলীর পুত্র মো. কাইয়ুম তার মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে। এ সময় তারা লাঠি দিয়ে তাকে এলোপাতাড়ি ভাবে মারতে থাকে। বড় ছেলে মির্জা বিহান তার পিতাকে রক্ষা করতে গেলে তাকেও মারধর করা হয়। ছোট ছেলে মির্জা সাজিদের চিৎকারে আশেপাশের মানুষ ছুটে এলে জাকারিয়াকে আহত অবস্থায় রেখে বিবাদীরা পালিয়ে যায়। এ সময় জাকারিয়ার কাছে থাকা দুই লক্ষ ৫০ হাজার টাকাও নিয়ে যায় বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হালুয়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জাকারিয়া ও শাখাওয়াত চাচাতো ভাই। দীর্ঘদিন ধরে তাদের মধ্যে জমি নিয়ে বিরোধ ছিল। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করেই এই হামলার ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। 

এ বিষয়ে বিবাদীদের বাড়িতে গিয়েও কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে মুঠোফোনে কথা হয় অভিযোগের প্রধান বিবাদী শাখাওয়াত হোসেন এর সঙ্গে। তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমার চাচা মোস্তফা বলতে পারবেন। মারধরের সময় ছিলেন কিনা জিজ্ঞেস করতে তিনি বলেন, আমি ছিলাম আরো লোকজন ছিল। মারামারির সাথে তার সংশ্লিষ্টতা নেই বলে তিনি জানান।

এ বিষয়ে হালুয়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল খায়ের বলেন, আমরা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।