এক গ্লাস জল ম্যাজিকের মতো কমাবে ডায়াবেটিস!
আরবান ডেস্ক
প্রকাশ : ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:২০ দুপুর
বিশ্ব জুড়ে ডায়াবেটিসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। আজকাল অল্পবয়সিদের শরীরেও থাবা বসাচ্ছে ডায়াবেটিস। নেপথ্যে অনিয়মিত জীবনযাপন, অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভাস, শরীরচর্চার অভাব, অতিরিক্তি দুশ্চিন্তা সহ বিভিন্ন কারণ। তবে কারণ যাই হোক না কেন, ডায়াবেটিসের মতো ক্রনিক রোগ শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। রক্তে ব্লাড সুগারের মাত্রা ঠিক রাখতে না পারলে আরও অনেক শারীরিক জটিলতা বাড়ে।
ডায়াবেটিস রোগীদের জীবনযাপনে বিভিন্ন নিয়ম মেনে চলতে হয়। বিশেষ করে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে খাওয়াদাওয়ার উপর একাধিক বিধিনিষেধ আসে৷ সঙ্গে চলে নিয়মিত ওষুধও। কিন্তু অনেক সময় তাতেও লাভ হয় না। তবে জানেন কি জল খেয়েই আপনি বশে রাখতে পারবেন ডায়াবেটিস। হ্যাঁ, ঠিকই পড়ছেন। শুনতে অবাক লাগলেও বিশেষ পদ্ধতিতে জল খেলে তা ডায়াবেটিস কমাতে সাহায্য করে।
আয়ুর্বেদের মতে, তামার পাত্রে রাখা জল খেলে ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। কিন্তু শুধুমাত্র তামার পাত্রে জল খেলেই হবে না, খেতে হবে সঠিক উপায়ে। তামার পাত্রে জল খাওয়ার উপকারিতা সকলেরই জানা। যার জন্য গত কয়েক বছরে জলের খাওয়ার পাত্র হিসেবে তামার ব্যবহার বেড়েছে। আজকাল তামার বোতল, জগ, কলসি সহ বাজারচলতি ওয়াটার পিউরিফায়ারেও ব্যবহার করা হচ্ছে তামার ফিল্টার ও স্টোরেজ।
গবেষণায় দেখা গিয়েছে, তামার মধ্যে ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করার ক্ষমতা রয়েছে। তাই তামার পাত্রে জল ধরে রেখে তা পান করলে স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে তামার পাত্রে রাখা জল। আমাদের শরীরে প্রয়োজনীয় খনিজের মধ্যে অন্যতম হল তামা। এছাড়াও তামা আমাদের শরীরে বিভিন্ন উৎসেচকের ক্রিয়া নিয়ন্ত্রণে রাখে। শরীর নিজে থেকে কপার তৈরি করতে পারে না। আর তাই ডায়েটে এমন কিছু খাবার রাখতে হয় যা থেকে প্রয়োজন মতো কপারের চাহিদা পূরণ করা যায়।
অ্যান্টিইনফ্ল্যামেটরি এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট বৈশিষ্ট্যের জন্য তামার জল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করতে, লোহিত রক্তকণিকার বিকাশে সাহায্য করে। ডায়াবেটিস রোগীরা প্রায়ই ত্বকের সমস্যা, প্রদাহের সমস্যাতেও ভোগেন। এক্ষেত্রেও তামার পাত্রে জল খাওয়া উপকার পাওয়া যায়। পেটের সমস্যা রুখতে, হজমের সমস্যা দূর করতে তামার পাত্রে রাখা জলের যথেষ্ঠ ভূমিকা রয়েছে। আর ডায়াবিটিস রুখতে হজম ঠিক মতো হওয়া খুবই জরুরি।
এক গ্লাস জল তামার পাত্রে সারা রাত রাখুন। পরদিন সকালে খালি পেটে সবার আগে ওই জল খান। এতে শরীর ভালো থাকবে, পেট পরিষ্কার হবে। সেই সঙ্গে নিয়মিত খেলে ব্লাড সুগারও থাকবে নিয়ন্ত্রণে। তবে এই তামার পাত্রে জল খাওয়ার পাশাপাশি ডায়াবেটিসের প্রয়োজনীয় ওষুধ খাওয়া এবং চিকিৎসকের যাবতীয় পরামর্শ মেনে চলা জরুরি।