শেরপুরে বাড়িঘরে ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ, আহত ২
রফিক মজিদ, শেরপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৫৬ দুপুর
শেরপুরে ৩টি বাড়িতে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। এসব ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ২ জন।
গত ১৭ নভেম্বর রবিবার রাতে সদর উপজেলার কামারিয়া ইউনিয়নের ভুইয়ারচর ও কোনাচিয়াপাড়া গ্রামে ওই হামলার ঘটনা ঘটে। আহতরা হচ্ছেন ভুইয়ারচর গ্রামের মনিজুল ইসলামের স্ত্রী মোর্শেদা বেগম (৩৪) ও রঘুনাথপুর গ্রামের মৃত তোফায়েল আহমেদের ছেলে গোলাম মোস্তফা (৫৫)।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, আধিপত্য বিস্তারের জের ধরে গত রবিবার রাতে সদর উপজেলার ভুইয়ারচর গ্রামের ইট-বালু ব্যবসায়ী মনিজুল ইসলাম ও মৃত ইদ্রিস আলীর বাড়ি এবং পার্শ্ববর্তী কোনাচিয়াপাড়া গ্রামের ফল ব্যবসায়ী আব্দুর রশিদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে কামারিয়া ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক লুৎফর রহমান ও কামারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নুরে আলম সিদ্দিকীর অনুসারীরা।
ওইসময় তাদের বাধা দিতে গিয়ে আহত হয় মোর্শেদা বেগম। পরে হামলাকারীরা বাড়িঘরের আসবাবপত্র, টিভি, ফ্রিজ ভাংচুর করে এবং মনিজুলের ঘরে থাকা ৫ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা, মৃত ইদ্রিস আলীর স্ত্রীর ঘরে থাকা ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা ও আব্দুর রশিদের ঘরে থাকা ৫০ হাজার টাকাসহ কিছু গহনা লুট করে নিয়ে যায় বলেও অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা। এছাড়া একইদিন রাতে ভীমগঞ্জ বাজারে হামলা চালিয়ে গোলাম মোস্তফাকে আহত করে সন্ত্রাসীরা।
এদিকে সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন ভুক্তভোগীরা।
এব্যাপারে হামলা ও মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে কামারিয়া ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক লুৎফর রহমান বলেন, আমি দীর্ঘদিন ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছি, এখন আহবায়কের দায়িত্ব পালন করছি। আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ আমাকে ফাঁসানোর জন্য এমন অভিযোগ দিতে পারে। তবে এ ঘটনার সাথে আমার কোন সম্পৃক্ততা নেই। তবে যুবদলের দুটি গ্রুপের মধ্যে দ্বন্দ্বের জের ধরে এ হামলার ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।
এ ব্যাপারে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুবায়দুল আলম বলেন, এ ঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়েছি।তদন্তসাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।