পলাশবাড়িতে জামায়াত-বিএনপি সংঘর্ষ : আহত অন্তত ১৫
সিদ্দিক আলম দয়াল
প্রকাশ : ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:১০ বিকাল
গাইবান্ধার পলাশবাড়িতে মোহদীপুর ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের শুন্য পদ নিয়ে জামায়াত ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ককটেল বিস্ফোরনের ঘটনা ঘটেছে। আজ বুধবার সন্ধ্যায় পলাশবাড়ির চৌমাথা মোড় এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এতে দুপক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে। আহতরা বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
পলাশবাড়ি থানার ওসি জুলফিকার আলী ভুট্টুু জানান,মোহদীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের পদটি অনাস্থার কারনে শুন্য হয়। এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের শূন্যপদ নিয়ে মেম্বরদের মধ্যে আলাপ আলোচনা চলে আসছিলো। বিষয়টি নিয়ে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামের মধ্যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি মোড় নিলে উত্তেজনা শুরু হয়। এঘটনা জানার পর পলাশবাড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম বিষয়টি সমঝোতা ও নিয়ন্ত্রনে আনতে মোহদীপুর ইউপি মেম্বারদের নিয়ে আজ বিকেলে তার অফিসে আলোচনায় বসেন। সেই আলোচনা মেম্বারদের সাথে আসেন বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীরাও উপস্থিত হন। কে হবেন ভারপ্রাপ্ত ইউপি চেয়ারম্যান এই নিয়ে দু পক্ষের মধ্যে তর্কবিতর্কের এক পর্যায়ে সংঘর্ষে রুপ নেয়। পরে বাধ্য হয়ে উপজেলা নির্বার্হী অফিসার কামরুল ইসলাম তার অফিস রুম থেকে সবাইকে বের হওয়ার অনুরোধ করে তিনিও তার অফিস ত্যাগ করেন । কিন্তু কিছুক্ষনের মধ্যে গোটা পলাশবাড়ি থমথমে অবস্থা শুরু হয়। জামায়াত-বিএনপির নেতাকর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন । এসময় কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরনের শব্দ শোনাযায় বলে নির্বার্হী কর্মকর্তা স্বীকার করেন । স্থানীয়রা জানান ,বর্তমানেও পরিস্থিতি উত্তপ্ত রয়েছে। চলছে দুই পক্ষের মধ্যে একাধিকবার ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া । অবস্থার বেগতিক দেখে ঢাকা রংপুর মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। অবস্থা বেগতিক দেখে পলাশবাড়ি থানা পুলিশ মাঝখানে অবস্থান নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা করছে। পুলিশ জানায় ঘটনা নিয়ন্ত্রনে এসেছে তবে লাঠিশোঠা নিয়ে এক পক্ষ পলাশবাড়ি চৌমাথায় অবস্থান নিয়ে আছে ও অন্যপক্ষ অপরদিকে অবস্থান নিয়েছে। এলাকায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে গাইবান্ধা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে পলাশবাড়িতে । এছাড়াও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে পলাশবাড়িতে সেনাবাহিনীর টহল বাড়ানো হয়েছে বলে গাইবান্ধার পুলিশ সুপার মো: মোশারফ হোসেন জানিয়েছেন।