গারো পাহাড়ে মধু চাষের বানিজ্যিক সম্ভাবনা
ক্লোডিয়া নকরেক কেয়া
প্রকাশ : ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:২৪ বিকাল
আশিকুর রহমান (২৭) ইন্টারমিডিয়েট কমপ্লিট করতে পারেনি সংসারের টানা পোরেন এর কারনে। খুলনার সাতখিরা থেকে এসেছে নালিতাবাড়ী উপজেলার পাহাড়ি এলাকা কাটাবাড়ি টিলায়। বর্তমানে আশিক মধু চাষের টাকা দিয়ে সংসারের খরচ সহ ছোট্ট এক ভাইয়ের লেখাপড়ার খরচ চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন বাবার পাশে দাড়াতে পেরেছি ,সংসারের হাল ধরতে পেরেছি এটাই আমার সফলতা। তাদের দলে তারা ৪ জন এসেছে ,তালেব আলী ,মিলন হোসেন ,জুলফিকার আলী এবং আশিক।
পাহাড়ি টিলার উপরে সাড়ি সাড়ি করে বসানো মৌমাছির বাক্স। গুন গুন গুঞ্জরনে মুখর হয়ে আছে অরন্য। আশিকের সাথে কথা বলে জানা গেলো মৌমাছি আর মধু আহরণের গল্প। জানা গেলো সাধারণত ডিসেম্বর থেকে এপ্রিলের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত মধু আহরণ করে মধু চাষিরা। পাহাড়ি এলাকায় বিভিন্ন রকমের ফুল ফোটে তাই পাহাড়ে সারাবছরই মধু চাষের জন্য উপযোগী পরিবেশ থাকে। জানা গেছে প্রতি বাক্স থেকে ১৩-১৪ দিন পর পর ৫-৬ কেজি করে মধু পাওয়া যায়। পাহাড়ি ফুলের প্রতি মন মধুর মুল্য ১৬-১৭ হাজার টাকায় তারা বিভিন্ন কোম্পানির কাছে বিক্রি করে। আশিক জানান এ বছর ৪ টা এরিয়াতে তারা বক্স বসিয়েছে প্রায় ৭০০ ,সেখানে বিনিয়োগ করেছে প্রায় ৪ লাখ টাকা এবং সেখান থেকে সব খরচ বাদ দিয়ে ৫ লাখ টাকা লাভ হবে বলে আশা করছে মধু চাষি আশিক। আশিক বলেন পড়াশুনার পাশাপাশি মধু চাষ করে সাবলম্বি হওয়া যায়। মধু টিলা বাতকুচির অরন্যে মৌচাষ করছে ইয়াসিন আলী (৩৫) ইসমাইল (৩৮) তাদের সাথে কথা বলে জানা যায় স্বল্প পুজির ব্যাবসা মধু চাষ কিন্তু অধিক লাভজনক একটি ব্যাবসা এটি। প্রতি সিজনে সব খরচ বাদ দিয়ে তাদের ৪- ৫ লক্ষ টাকা লাভ হয় যা দিয়ে তাদের সংসার সাচ্ছন্দে চলে। জানা যায় নালিতাবাড়ী উপজেলার পাহাড়ি এলাকায় উচু নিচু টিলা আর বন জংগলের মধ্যে প্রায় ৯/১০ টি দল মৌমাছির বাক্স বসিয়েছে মধু আহরণের জন্য।
বন বিভাগের কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন বিষয়টি আমি অবগত নই, তবে মৌমাছি চাষ ফুল,ফলের পরাগায়নে সহায়তা করে।