নেত্রকোনায় চলছে পল্লী বিদ্যুতের সমিতির শাটডাউন: জেলার ৮৬টি ইউনিয়ন অন্ধকারে

নেত্রকোনায় পল্লী বিদ্যুতের কমপ্লিট শাটডাউন চলছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টা থেকে জেলার ১০টি উপজেলায় পল্লী বিদ্যুতের সংযোগ বন্ধ রয়েছে। এতে করে হাসপাতালের রোগীসহ দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে গ্রাহকদের। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কমপ্লিট শাটডাউন চলছিল। 

স্থানীয় বাসিন্দা ও নেত্রকোনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কার্যালয় জানা গেছে, সম্প্রতি আইবি-পল্লী বিদ্যুৎ একীভূতকরণ এবং অভিন্ন চাকুরিবিধি বাস্তবায়নসহ চুক্তিভিত্তিক ও অনিয়মিত কর্মচারীদের স্থায়ী নিয়োগের দাবিতে আন্দোলন চলমান রয়েছে। পল্লী বিদ্যুৎ কর্মকর্তাদের দাবি যৌক্তিক আন্দোলন করায় এরই মধ্যে ১০ জন কর্মকর্তার নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়। তাদের মধ্যে চারজন কর্মকর্তাকে আজ বৃহস্পতিবার সকালে আটক করা হয়। এরমধ্যে বারহাট্টা পল্লী বিদ্যুতের এজিএম মনির হোসেনকে সকাল পৌনে নয়টার দিকে আটক করা হয়। এরপর থেকে নেত্রকোনায় পল্লী বিদ্যুৎ সেবা বন্ধ করে দেয়া হয়। এতে করে পল্লী বিদ্যুতের আওতাধীন জেলায় অন্তত ৬ লাখ ৩৫ হাজার ১২৭ জন গ্রাহক ভোগান্তিতে পড়ছেন। বিদ্যুৎ না থাকায় বিশেষ করে হাসপাতালে রোগীদের বেশি ঝামেলা হচ্ছে। কর্মকাণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে জানান, প্রায় তিন ঘন্টা ধরে বিদ্যুৎ বন্ধ রয়েছে। রোগীরা খুবই ঝামেলায় পড়ছেন। স্থানীয় পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কার্যালয় বন্ধ রেখেছেন। 

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে নেত্রকোনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মাসুম আহমেদ বলেন, পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া না মানায় শাটডাউন চলছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে বারহাট্টা কার্যালয়ের এজিএমকে অন্যায় ভাবে আটক করা হয়। জেলা প্রশাসক এ বিষয়ে আমাদেরকে ডেকেছেন। ওনার সঙ্গে সভা শেষে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। 

বারহাট্টা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ কামরুল হাসান বলেন, আমাদের পুলিশের কোন সদস্য বারহাট্টা পল্লী বিদ্যুতের এজিএমকে আটক করেনি। আজ সকাল পৌনে নয়টার দিকে সেনাবাহিনী আটক করে থানায় নিয়ে আসে। কিছুক্ষণ পর আবার তারা ছেড়ে দেয়।  

জেলা প্রশাসক বনানী বিশ্বাস বলেন, নেত্রকোনায় পল্লী বিদ্যুতের কমপ্লিট শাটডাউন চলছে। পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তাদেরকে নিয়ে বসা হয়েছে। আশা করা যায় কিছুক্ষণের মধ্যে আমরা একটি ইতিবাচক সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারবো।