কেন্দ্রীয় সহ-সমন্বয়ক খালিদ কথা বলতে পারছেন না
আরবান ডেস্ক
প্রকাশ : ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:০৫ দুপুর
পাঁচ দিন নিখোঁজ থাকার পর একা একা হলে ফেরা কেন্দ্রীয় সহ-সমন্বয়ক খালিদ হাসানকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতালটির কেবিনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) মধ্যরাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তার সহপাঠীরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন।
হাসপাতালে তার সঙ্গে থাকা আরবি বিভাগের একই বর্ষের এক শিক্ষার্থী জানান, খালিদ গত শুক্রবার নিখোঁজ হন। এরপর থেকে তাকে খুঁজে বের করতে আমরা ডিবি পুলিশের সঙ্গে কাজ করছিলাম। মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে খবর পাই খালেদ হলে ফিরেছে। সঙ্গে সঙ্গে হলে এসে তাকে বিমর্ষ অবস্থায় দেখতে পাই। সে খুব ক্লান্ত ও দুর্বল ছিল। সে কথা বলতেও চাচ্ছিল না। এজন্য আমরা তখন কেউ তার সঙ্গে কোনও কথা বলিনি। রাতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আসে এবং পরবর্তিতে তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসা হয়।
তার শরীরে কোনও আঘাতের চিহ্ন আছে কিনা জানতে চাইলে ওই সহপাঠী বলেন, হলে আমরা দেখার চেষ্টা করেছি তার শরীরে কোনও আঘাতের চিহ্ন আছে কি না। তবে কোনও চিহ্ন পাইনি। কিন্তু তার হাতে ইনজেকশন পুশ করানোর মতো একটি ছোট চিহ্ন দেখেছি।
ডিবির সঙ্গে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করেছেন তিনিও। তিনি বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যায় তাকে মতিঝিল এলাকায় দেখা যায়। এরপর কমলাপুর রেলস্টেশনের টিকিট কাউন্টারে ঢুকছেন এবং এর কিছুক্ষণ পর একাই কাউন্টার থেকে বের হয়ে যাচ্ছেন। এরপর আবার তাকে মতিঝিল এলাকায় দেখা যায়। তবে তার সঙ্গে ফোন ছিল না। তার ব্যবহৃত ফোনটি হলেই ছিল। ওই দিন কমলাপুর কাউন্টার থেকে টিকিটও কাটেননি।
এবিষয়ে ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক জানান, মধ্যরাতে ওই সমন্বয়ককে হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরবর্তীতে চিকিৎসকরা তাকে কেবিনে ভর্তি রাখেন।
এদিকে, কেন্দ্রীয় সহ-সমন্বয়ক খালিদ হাসানকে দেখতে বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢামেক হাসপাতালে যান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. নিয়াজ আহমেদ খান। ওই সময় উপাচার্য তার শারীরিক অবস্থা ও চিকিৎসার খোঁজ খবর নেন। হাসপাতালে উপাচার্য ডিউটি চিকিৎসকের সঙ্গেও কথা বলেন। এসময় উপাচার্যকে চিকিৎসক জানান, খালিদের শারীরিক অবস্থা মোটামোটি ভালো, তবে কারো সঙ্গে কথা বলতে পারছেন না।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. ফারুক শাহ, ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হামজা ও খালিদ হাসানের পিতাসহ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।