১৮ হাজার টাকায় জমি লীজ নিয়ে বেগুন চাষ করে বছরে আয় পাঁচ লাখ
আরবান ডেস্ক
প্রকাশ : ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৩৫ বিকাল
বারোমাসি বেগুন চাষ করে এলাকায় ব্যাপক সারা জাগিয়েছে এক কৃষক। তার এই বেগুন চাষের লাভ দেখে এলাকার অনেক কৃষক এগিয়ে আসছে বলে জানান স্থানীয় কৃষকরা।
নেত্রকোনা সদরের সিংহের বাংলা ইউনিয়নের প্রতাবপুর গ্রামের কৃষক জুলহাস মিয়ার কৃষি জমি তেমন না থাকায় অন্য একজনে জমি মাত্র ১৮ হাজার টাকায় ৯০ শতক জায়গা এক বছরের জন্য লীজ নিয়ে ইস্পাহানি চৈতি বেগুন চাষ করে বছরে প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকা আয় করে। এই জাতের বেগুন বাজারে ভালো চাহিদা রয়েছে। তাই ব্যাপারিরা তার ক্ষেত থেকে বেগুন কিনে নিয়ে যায় ফলে বাজারে যাইতে হয় না। তবে ধানের চেয়ে বেগুনের চাষে লাভ বেশি বলে জানান কৃষকরা।
কৃষক জুলহাস মিয়া জানায়, চৈতি বেগুনটি বছরে সাত থেকে ৮ মাস পর্যন্ত ভালো ফলন দেওয়াই লাভের পরিমাণ অনেক বেশি। বীজ সার ও কীটনাশক লেবার সহ প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা খরচ হয়।
এবছর বাম্পার ফলন হওয়াই কৃষক জুলহাস মিয়া অনেক বেশি লাভবান। তার এই বেগুন চাষের সাফল্য দেখে গ্রামের ও আশপাশের অনেক কৃষক ধান চাষের পরিবর্তে বেগুন চাষের দিকে ঝুঁকছে। অনেকেই জানান কৃষি অধিদপ্তর থেকে যদি কোন প্রশিক্ষণ ও সহযোগিতা পাওয়া যায় তাহলে আমরাও বেগুন চাষ করতে আগ্রহী।
কৃষক জুলহাস মিয়ার আর্থিক অবস্থা আগে খুবই সূচনীয় ছিল। কিন্তু একবার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে সবজি চাষ শুরু করেন। কিন্তু বর্তমানে বেগুন চাষ করে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হয়েছেন। তিনি এখন বছরে প্রায় ৪-৫ লক্ষ টাকা আয় করছেন।
জুলহাস মিয়া আরও জানান, আমার মত অন্য কোন বেকার যুবকরা যদি উদ্যোক্তা হতে চান আমার পক্ষ থেকে আমি সহযোগিতা করব।
নেত্রকোনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক নুরুজ্জামান জানান, বেগুন চাষ করে অনেকে স্বাবলম্বী হয়েছেন। বেগুন চাষের কিছু অসুবিধা রয়েছে সময় মত কীটনাশক ও সার প্রয়োগ করতে হয়।
তাই জুলহাস মিয়ার মত অন্য কোন কৃষক যদি হাইব্রিড জাতের বেগুন চাষ করতে চাই তাহলে কৃষি সম্প্রসারণের অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে তাকে সহযোগিতা করা হবে বলে আশ্বাস দেন।