ঢাকা, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১
শিরোনাম

পূর্বধলায় জমি সংক্রান্ত বিরোধে বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তানসহ গুরুতর আহত ৩


  মোস্তাক আহমেদ খান

প্রকাশ :  ১৮ জুলাই ২০২৪, ০২:৩৭ দুপুর

নেত্রকোনার পূর্বধলায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে মোঃ লিটন মিয়া (৩৫) নামে এক বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তানসহ পলাশ দত্ত (৩০) ও হিমেল সরকার (৩২) নামের দুই সংখ্যালঘুর উপর হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে।

বুধবার (১৭ জুলাই) দুপুরে উপজেলার এসিল্যান্ড অফিস (পুরাতন কোর্ট বিল্ডিং) এর সামনে এই ঘটনা ঘটে। আহত মোঃ লিটন মিয়া উপজেলার হোগলা ইউনিয়নের দামপাড়া গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত আব্দুল হেকিম কমান্ডার এর ছেলে ও পলাশ দত্ত উপজেলার বালিকা বিদ্যালয় রোডের প্রানেশ দত্তের ছেলে এবং হিমেল সরকার পূর্বধলা বালিকা বিদ্যালয় রোডের মৃত হিমাংসু সরকারের ছেলে।
এ ঘটনায় রবিবার রাতে গুরুতর আহত বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তান মোঃ লিটন মিয়ার বড় ভাই চন্দন মিয়া বাদী হয়ে পূর্বধলা থানার অফিসার ইনচার্জ বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে জানা গেছে, হামলার ঘটনায় জড়িত দিকজান গ্রামের সৈয়দ আলী ফকির ওরফে যাত্রা ফকিরের ছেলে বকুল ফকির (৫৫) এর নেতৃত্বে ১০-১২ জন অতর্কিত ভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালায়।

স্থানীয় এলাকাবাসীরা জানান, বালিকা বিদ্যালয় রোডের বাসিন্দা মেহেদী হোসেন কাচ মিয়া কিছু দিন পূর্বে দিকজান গ্রামের বকুল ফকির এর কাছ থেকে রেলওয়ের প্রথমে ৫ শতাংশ পরে ২ শতাংশ জায়গা ক্রয় করে। ৫ শতাংশ দখল বুঝিয়ে দিলেও পরে ক্রয়কৃত ২ শতাংশ জায়গা বুঝিয়ে দিতে বকুল ফকিরকে তাগিদ দিলেন সে সময় ক্ষেপণ করে আসছিল। এই নিয়ে মেহেদী হোসেন কাচ মিয়ার ছেলেদের সাথে বকূল ফকিরের বিরোধ চলছিলো। এই নিয়ে এলাকাবাসী বিচার সালিশে বসলেও  বকুল ফকির পরে ক্রয়কৃত ২ শতাংশ জায়গার দখল দিতে অস্বীকার করে আসছিলো। পরে মেহেদী হোসেন কাচ মিয়ার ছেলে পরাগ, ফরহাদ  মিয়া তার আত্মীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তান লিটন মিয়া ও প্রতিবেশী পলাশ দত্ত, হিমেল সরকারকে নিয়ে ক্রয়কৃত জায়গায় খুঁটি ঘাড়তে গেলে বকুল ফকির ক্ষুব্ধ হয়ে তার স্ত্রী, ছেলে, ভাই ও আত্মীয় স্বজনদের নিয়ে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ফরহাদ মিয়াসহ তার সাথে থাকা লোকজনের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তান মোঃ লিটন মিয়া ও পলাশ দত্ত এবং হিমেল সরকার গুরুতর আহত হয়ে প্রথমে পূর্বধলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে গেলে তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক লিটন মিয়া ও পলাশ দত্তকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। পরে জখম মারাত্মক হাওয়ায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। হিমেল সরকার পূর্বধলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা গ্রহণ করছেন।

এ বিষয়ে পূর্বধলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানসহ ৩জনের উপর হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করা হয়েছে। এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত