মদনে সরকারি অ্যাম্বুলেন্স বন্ধ থাকায় চরম ভোগান্তিতে রোগীরা
নিউজ ডেস্ক
প্রকাশ : ২১ মার্চ ২০২৪, ০৩:৪০ রাত
নেত্রকোনার মদন উপজেলাটি হাওর বেষ্টিত হওয়ায় বিভিন্ন দূর দূরান্তের থেকে গ্রাম অঞ্চলের লোকজন চিকিৎসা সেবা নিতে আসেন এই উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে। গত ১লা মার্চ থেকে ২০দিন পর্যন্ত সরকারি অ্যাম্বুলেন্স বন্ধ থাকার ফলে এলাকার রোগী ও তাদের স্বজনদের চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। এ কারণে ডেলিভারি ও মুমূর্ষ রোগীদের গুনতে হচ্ছে দ্বিগুন টাকা। হাসপাতালে হিসাব বিভাগের তথ্য অনুযায়ী গত ২২-২৩অর্থ বছর থেকে ২০২৪ শে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বকেয়া রয়েছে ১১ লক্ষ ৪৭ হাজার ৯৯৯৪ টাকা। এর মধ্য ৫ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে। এ কারণে গত পহেলা মে থেকে পাম কর্তৃপক্ষ তেল সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে। এতে চরম বিপাকে পড়েছে রোগী ও তার স্বজনেরা। ৫০ সজ্জা বিশিষ্ট এই হাসপাতালটিতে বিভিন্ন এলাকা ছাড়াও খালিয়াজুরি উপজেলা থেকে আসা সাধারণ মানুষ জন। গড়ে প্রতিদিন ২শ ৫০ থেকে প্রায় ৩শ জন রোগী চিকিৎসা সেবা নিয়ে থাকেন। সরকারি এম্বুলেন্স বন্ধ থাকায় রোগীদের ভোগান্তি ছাড়াও বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স মাইক্রো ও সিএনজি করে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যেতে হচ্ছে। এতে করে কয়েকগুণ বেশি টাকা গুনতে হচ্ছে স্বাস্থ্য সেবা নিতে আসা লোকজন।
হাসপাতালে আসা রোগীর স্বজন রত্নপুর গ্রামের সুহান মিয়া বলেন হাসপাতালে আইয়া দেহি এম্বুলেন্স নাই আমার মাথা নষ্ট তখন তাড়াতাড়ি প্রাইভেট একটা গাড়ি করইয়া ৫ হাজার টাকার মধ্যে নিয়ে গেছি ময়মনসিংহ আমার এক ছোট ভাইয়ের বউয়ের ডেলিভারি লাইগা। গোবিন্দশ্রী গ্রামের বকুল মিয়া বলেন সরকারি গাড়ি দিয়া ১হাজার চারশত ৫০ টাকা দিয়ে আমরা রোগী নিয়ে ময়মনসিং যাইতাম অহন এন আইয়া দেহি গাড়ি নাই ৫/৬ দিন আগে আমার এক বাস্তির পেটের বেদনা লইয়া আইছাল। ডাক্তার কইছে তাড়াতাড়ি ময়মনসিং লইয়া যাওন লাগবো। ময়মনসিংহ যাওনের লাইগা একটা গাড়ি ভাও করছি এই গাড়িরে ৬হাজার টাকা দিয়া লইয়া গেছি তাড়াতাড়। মদন পৌরসভার বাসিন্দা ফজলুল হক ভূঁইয়া বলেন এই হাসপাতলে দুটি এম্বুলেন্স রয়েছে একটি অনেক দিন পূর্বেই নষ্ট হয়ে পড়ে রয়েছে অন্যটি ভাল থাকলেও কি সমস্যায় এটি বন্ধ রয়েছে।সাধারণ মানুষ জরুরী রোগীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য নেত্রকোন,, ময়মনসিংহ,ও ঢাকায় নিয়ে যেতে পারত। এখন বেশি টাকা দিয়ে এম্বুলেন্স ভাড়া করে নিয়ে যেতে হচ্ছে এমনকি মাঝে মাঝে টাকা দিয়েও পাওয়া যায় না শুনলাম প্রায় ২০ দিন ধরে সরকারি অ্যাম্বুলেন্স টা বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ নুরুল হুদা খাঁনের সাথে কথা বললে তিনি বলেন জ্বালানি তেল সরবরাহকারী পাম্পে প্রায় ১২ লক্ষ টাকা বাকি পড়ায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। তবে কিছু টাকা বরাদ্দ পেয়েছি আশা করছি বাকি টাকাও বরাদ্দ পাব,পেলে কিছুদিনের ভিতরে অ্যাম্বুলেন্স সচল হবে।
নেত্রকোনা জেলার সিভিল সার্জন ডাক্তার মোঃ সেলিম মিয়া সাথে কথা বললে তিনি এ প্রতিনিধিকে বলেন,তেলের পাম্পের টাকা বকেয়া থাকার কারণে এই অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে অল্প কিছু টাকা বরাদ্দ পেয়ে দিয়েছি। পাম্প মালিকদের সাথে দুই এক দিনের মধ্যে কথা বলে অ্যাম্বুলেন্স চালু করার জন্য একটা ব্যবস্থা করা হবে।